আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আগের প্রশ্নের লিংক এটা।।  - https://ifatwa.info/76768

হুজুর পয়েন্ট আকারে উত্তর গুলো দিয়েন।।

আগের  প্রশ্নগুলোই আবার করেছি।।। হুজুর দয়া করে উত্তর দিবেন।।।আর কখনো আপনাকে বিরক্ত করবো না এবার উত্তর দিয়ে দিলে।।আগের প্রশ্নে বলেছেন এসব ওয়াসওয়াসা দ্বারা কোন সমস্যা হবে না।।।কিন্তু  ১-৩ নাম্বার পয়েন্ট গুলো বলার সময় ওয়াসওয়াসা ছিল না।।।এই ১-৩  নাম্বার পয়েন্ট এর ঘটনাগুলোর পর ওয়াসওয়াসা শুরু হয়েছে।।
১,২ আর ৩ নাম্বার পয়েন্ট  কথাগুলো বলার পর আপনাদের ওয়েবসাইটের সন্ধান পায়।। অতীতের এসব ঘটনার পর ৩ মাস ধরে শুধু তালাকের মাসালাই পড়ছি ইউটিউব আর আপনাদের ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন সাইটে।।

কিছুদিন পড়া অফ থাকে তারপর আবার পড়া শুরু করি।।।স্বামী কিছু বললেই  মনে হয় তালাক হয়েছে।।একটার সমাধান পেলে আরেকটা মনে হয়।।মাথায় মধ্যে সারাক্ষণ শুধু তালাকের চিন্তাই ঘুরে।।আমি না চাইতেও শুধু তালাকের চিন্তাই  মাথায় আসে।।খালি শুধু মনে হয় আমার ৩ তালাক হয়ে গেছে,, একটার পর একটা সব ঘটনা আমার মনে হয়।।স্বামী কে জিজ্ঞেস করলে বলে তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি।। উপর মেয়েরা কিভাবে তালাক নেয় এটা দেখার পর মাথা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে শুধু মনে হচ্ছে আমিও মুখ দিয়ে বলে ফেলছি কিভাবে নফসের উপর তালাক নিতে হয়।।।।।দয়া করে সমাধান দিবেন।স্বামীকে ও এতোবার জিজ্ঞেস করেছি যে এখন ওনিও আমার উপর বিরক্তি।। এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলেই এখন রেগে যায়

১......আমি আর আমার স্বামী দুজন দুই জায়গায় থাকি।।একদিন আমি আমার স্বামীকে আসতে বলেছিলাম সে আসে নি তাই আমার খুব খারাপ লেগেছি,,,পরে রাতে আমার স্বামী আমাকে মেসেজ দিয়ে বলতেছে আমার সাথে কি কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না? আমি কষ্ট পেয়ে বলেছিলাম তোমাকে আমার দরকার নেই,, এই কথাটা মূলত আমি কষ্ট পেয়ে বলেছি,,,তখন আমার আমার স্বামী বলে এই কথাটাও শুনতে হলো আমাকে তোমার দরকার নেই,,এটা আগে কেন বলনি,,তখন আমি বলছি এখন মনে হয়েছে তখন মনে হয় নি,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি আমার ডিরেক্ট বলে দিয়েছো আমায় চাও না তখন আমি বলছি হুম চায় না,,তখন আমার স্বামী বলে তোমার কাছে এই সম্পর্ক টা খেলা ছিল মাত্র তখন আমি বলছি হুম খেলা ছিল,,,সে এই কথাগুলো বলতেছে তাই আমি তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বলেছিলাম এই কথাগুলো।।তারপর আমার স্বামী বলে তুমি কেন আমার জীবন টা নষ্ট করলে,,আমি আর কখনো তোমাকে বিরক্ত করবো না,যেহেতু তুমি আমায় চাও না বিশ্বাস করো এই মুখ তেমাকে আর দেখাবো না,,তখন আমি বললাম কই যাবা,,তখন আমার স্বামী বলে যেহেতু আত্মসম্মান নিয় বেঁচে থাকতে হবে তাই আর বেঁচে থাকবো না,,,আমি বললাম বেচে থাকবো না মানে নি,,তখন আমার স্বামী বলে আত্মহত্যা করবো,,আমি বললাম কি বলো এসব আত্মহত্যা মহাপাপ,,,তখন আমার স্বামী বলে জীবন একটা সম্পর্ক ও একটা,,যেহেতু সম্পর্ক টাই নেই তাহলে বেঁচে থেকে কি লাভ,,তখন আমি বার বার কল দিচ্ছি কল ধরে নি,,আমাকে বলতেছে কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই,,তখন আমি,বলি এগুলো আমার মনের কথা না,,একবার কল ধরো,,,,পরে আমার স্বামী বলে আমাকে তোমার দরকার নেই এই কথাটা শুনার,,আগে মরে গেলাম না কেন,,এতোটা ব্যক্তিত্বহীন হয়ে গেছি৷  আল্লাহ তুমি আমায় কেন এতোবড় সাজা দিলে কেউ আমাকে বলবে দরকার নেই,, এরকম ইমোশনাল আরো অনেক কথা বলেছে,,,তারপর আমি বলেছি তোমাকে ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো,,তখন আমার স্বামী বলে আমি যা বলি এক কথা বলি।।।তারপর আমি বললাম তোমাকে আমি খুব ভালেবাসি,,, প্লিজ কলটা ধরো,,,।।তখন আমার স্বামী বলে আমাকে কারো দরকার নাই এমন কেউ আমার সাথে থাকার দরকার নাই,,আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম  যাও তুমি স্বাধীন,, আজ থেকে তেমার কাছে আমি মরে গেছি।।। your are freedom...

এসব কেনায়া বাক্য সম্পর্কে জানতাম না,,, পরে আমি আমার স্বামীকে  জিঙ্গেস করেছি এগুলো কেন বলেছো,তখন আমি বললান আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম এসব বাক্যে বললে নাকি তালাক হয়,,তখন আমার স্বামী বলে এসব বলে কেউ তালাক দেয় নাকি,, তখন আমার স্বামী বলেছে তুমি চাকরী করো তোমার মতো স্বাধীন ভাবে চলতে পারবে,অন্য দশটা মেয়ের মতো এগুলে বুঝিয়েছি,,আমি বললাম তুমি তালাকের নিয়তে বলো নি,, তখন আমার স্বামী বলে তালাক কেন দিব,,বিয়ে করেছি কি তালাক দেওয়ার জন্য।।।।

২.আরেক দিন ঝগড়া হয়েছে,তখন আমার স্বামী বলে তোমার মতো মেয়েকে কেন যে বিয়ে দিল,,তারপর আমি বললাম তোমার মতো ছেলেকে বিয়ে করে আমার আফসোস করতে হচ্ছে,, তখন আমার স্বামী বলে আফসোস করতে কে বলেছে ভালো দেখে চলে যাও,,,তারপর বলছে এতো তর্ক স্বামী সাথে করলে জাহান্নামী,,,আমি বলেছি যারা মেয়েদের সাথে রংঢং করে কথা বলে তারাও জাহান্নামী,,পাতানো বোন থেকে শুরু করে কোন কিছু বাদ দেন নি,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি সীমা লঙ্ঘন করিও না,,,পরের অধ্যায় টা কিন্তু ভয়াবহ হবে,  তখন আমি বলেছি তার জন্য প্রস্তুত আছি,,,আমার স্বামী বলে জানি আমি,,পরে আমি বললাম লাইফে যে সুখ নেই বুঝে গেছি,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি এগুলো বলে বলে চলে যেতে চাও যাও, তুমি মুক্ত।।।।।আমি সাথে সাথেই জিঙ্গেস করেছি তুমি কি তালাক দিলে নাকি তখন সে আমার সাথে আর কোন কথাই বলে নি মোবাইল অফ করে দিয়েছে।।সকালে যখন কথা হয়েছে তখন বললাম তুমি তালাকের নিয়তে বলেছো।। তখন আমার স্বামী বলে আমি কখনোই তোমাকে তালাাকের নিয়তে বলি নি।।।তুমি ঝগড়া করছিলে তাই থামানোর জন্য বলেছি,, কারন তুমি মুক্ত বললে ভয় পাও আমি এটা বললে তুমি  ঝগড়া থামিয়ে দিবে তাই বলেছি।।।।আমার কোন তালাকের উদ্দেশ্য ছিল না আর নিয়ত ও ছিল না,,,।আর আমার স্বামী বলে এসব শব্দে নাকি তাালক হয় না।।(পরে জিজ্ঞেস করেছিলাম পরের অধ্যায় ভয়াবহ বলেতে কি বুঝিয়েছেন তখন আমার স্বামী বলে ঝগড়া আরো বাড়বে বুঝিয়েছে)।।।

 ১ ও ২ নাম্বার পয়েন্টে আমি কোন তালাক চাই নি কথাগুলো শুধু অভিমানে বলেছিলাম বলে আমার মনে পড়ে।।।কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় আবার তালাকের নিয়তে বলেছিলাম কিনা।।।হুজুর এখন আমার এতে সন্দেহ হচ্ছে।। সঠিক মনে করতে পারছি না

৩..আরেকদি আমরা শুয়ে কথা বলতেছি কোন ঝগরা হয় নি।। তখন সম্ভবত অন্য মেয়ে নিয়ে কথা হচ্ছিল  তাই আমি অভিমান করে বলেছি আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও।।ওই সময় আমার স্বামী আমার মাথার কাছে হাত দিয়ে রাখছিল তখন ওনি আমার থেকে হাতটা সরিয়ে নিয়ে বলে ওকে দিলাম/ নাকি ছেড়ে দিলাম বললো সেটা মনে নেই।।আমি বললাম তালাক দিয়েছ নাকি,,,তখন আমার স্বামী  বলে তালাক দিব কেন তুমি বলেছে ছেড়ে দিতে তাই আমার হাত সরিয়ে নিলাম তরপর বললো আমি ধরে রাখাতে তুমি অস্বস্তি ফিল করতেছ তাই হাত সরিয়ে নিলাম ।। আমি ছেড়ে  দিতে বলেছি সে এটা বুঝতে পারে নি সে মনে করেছে আমাকে ধরে রাখাতে আমি বলছি ছেড়ে  দিতে, কিছুদিন পর আবার জিজ্ঞেস করেছি আমি যে ছেড়ে দিতে বলেছি তুমি কি সত্যি বুঝ নি,,তখন আমার স্বামী বলে না আমি মনে করেছি তোমার থেকে হাতটা ছেড়ে দিতে বলেছো।।যতবার জিজ্ঞেস করেছি সে একি কথা বলে আমি আমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছি আমার স্বামী তা বুঝতে পারে নি,,বলল আমি মনে করছি তোমার হাতটা ছেড়ে দিতে বলেছো।।,, তখন আমি বললাম তুমি তে আমার হাত ধরে রাখে নি,,আমার মাথায় কাছে হাত দিয়ে রাখছিলে,,তখন স্বামী বলে একি,,পরে আবার বলি সত্যি বুঝনি আমি ছেড়ে দিতে বলছি,,তখন আবার বলে না আমি বুঝি নি.।।।

৪। ঝগড়া  কবে বলেছিলাম ডিভোর্স লেটার পাঠাই দিব। তখন আমার স্বামী বলে ওকে পাঠাই দিও।।পরের দিন স্বামী মেসেজ দিয়ে বলে কই ডিভোর্স লেটার পাঠালে না তো।।আমি বললাম মেয়েরা পাঠাতে পারে না,,আপনি পাঠান আমি সই করে দিব।।।  স্বামী বলে আমি কেন পাঠাব আমি তে বলিনি,,, যদি না পাঠাও তাহলে আরেকবার ডিভোর্স দিবা  বলো তাহলে আমি ওই ৩  টা শব্দ বলে দিব।।তখন আমি বললাম তখনের জন্য অপেক্ষা করে কি লাভ এখনই বলে দেন,,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি শুধু মৌখিকভাবে বলে ডিভোর্স দিবা তাহলে আমার শেষ বাক্য হয়ে যাবে।।।এরপর আমি আর কিছু বলি নি,,,কিছু দিন আগে আমি মেসেজ গুলো দেখতে গিয়ে এই মেসেজ গুলা চোখে পরে,,,পরে আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করি তুমি যে আমাকে  বললা তুমি শুধু মৌখিক ভাবে বলো ডিভোর্স দিবা তখন আমার শেষ বাক্য হয়ে যাবে তার মানে কি।।।তখন আমার স্বামী বলে তুমি যদি চূড়ান্ত ভাবে বলো ডিভোর্স দিবা তাহলে আমি ঐ শব্দটা বলে দিব  এটা বুঝিয়েছি।।।তারপর আমি বললাম তুমি কি ডিরেক্ট তালাক হয়ে যাবে এটা বুঝাইছো  আমার স্বামী বলে না এটা বুঝায়নি,,বলেছি শেষ বাক্য হয়ে যাবে মানে তুমি ডিভোর্স দিবা বললে আমি আমি এই বাক্যটা বলে দিব এটা বুঝায়ছি।।।।

তারপর একদিন আমি আমার আপার কাছে বলছি সে যদি এমন করে আমার চাকরী করা নিয়ে তাহলে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিব।।।এখন কি এতে কোন সমস্যা হবে।।এটা কি কোন শর্তযুক্ত তালাক,,আমার বোন কে যে বলেছি ডিভোর্স দিয়ে দিব এতে কি কোন সমস্যা হবে।।।

৫।। ফোনে আমার স্বামী একদিন বলতেছে,, তোমার স্বামী অনেক গরীব,,তখন আমি বললাম তুমি যে এতো গরীব তাতো আমি জানতাম না।।তখন আমার স্বামী বলে তোমার সামনে অনেক সোনালী দিন পড়ে আছে তুমি যদি মনে করো আরো ভালো লাইফ লিড করতে চাও তাহলে চলে যাও,,,আমি বললাম আমি কি চলে যাব বলছি নাকি।।।তখন আমার স্বামী বলে তুমি যদি মনে করো আরো ভালো থাকতে চাও তাহলে চলে যাও।।। তখন আরো বলি তুমি তালাক না দিলে যাব কিভাবে,, স্বামী বলে আমি কেন দিব আমি তো বিয়ে করেছি তালাক দেওয়ার জন্য না,, তখন আমি বলেছি আচ্ছা চলে যাব।।। শুধু মুখেই বলেছি যাব কিন্তু আমার কোন তালাকের নিয়ত ছিল না।।।সাথেই আমি আাবার তাকে জিজ্ঞেস করেছি তুমি কি তালাকের নিয়তে বলেছো তখন আমার স্বামী বলে তালাকের নিয়তে কেন বলবো।।আমি তো বিয়ে করেছি ছাড়ার জন্য না।।

 এতে কি আমার তালাক হবে,,আর অধিকার দেওয়া বুঝালে কি সাময়িক সময়ের জন্য নাকি?

৬।।একদিন স্বামীকে তালাকের মাসালা বুঝাচ্ছিলাম যে স্বামী যদি বলে আমি  তোমাকে তালাক দিলাম তাহলে তালাক হয়ে যাবে।।।তখন আমার স্বামী বলে - (১।আমি কি তোমাকে তালাক দিলাম এটা বলছি নাকি?  ২। আমি তোমাকে তালাক দিলাম এভাবে বলছি আমি ?)) এই দুই ভাবের যে কোন এক ভাবে বলেছে আমার সঠিক মনে নেই।।। আমাকে তালাক দেওয়ার কোন উদ্দেশ্য ছিল না আর আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেনি,,শুধু বোঝাচ্ছিলাম বলে স্বামী আমাকে প্রশ্ন করেছে আমি এভাবে বলছি নাকি।।।অনেক দিন পর আবার জিজ্ঞেস করেছি তুমি কথাটা কিভাবে বলেছিলা।।।।তখন স্বামী বলে এখাবে বলছি- আমি কি তোমাকে তালাক দিলাম এটা বলছি নাকি? এই কথাগুলো দুইদিন হয়েছে।

৭।।মেয়েরা কিভাবে নফসের উপর তালাক নেয় এর মাসালা পড়লে কি কোন সমস্যা হবে,,,আপনাদের ওয়েবসাইটে এমন অনেক প্রশ্ন আছে এগুলো শব্দ করেই পড়েছি,,,তাতে কি আমার নিজের উপর পতিত হবে।। কিভাবে মেয়েদের উপর প্রদান করে তাও পড়েছি তাতে কি সমস্যা হবে।।

৮।।।আজ নিজে নিজে বলতেছি আমার স্বামী তো আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম এটা না বলে,, আমি তোমার থেকে মুক্তি নিলাম এটাও বলতে পারতো।।।তাতে কি আমার নিজের উপর পতিত হওয়া বুঝাবে।।।আমি যদিও নিজেকে বলিনি,,পরে আবার মনে হচ্ছে নিজেকে বললাম নাতো।।।

৯।।আরেকদিন ফোনে কথা বলার সময় আমি স্বামীকে বলতেছি বয়স করে বিয়ে হলে নাকি ভালো বিয়ে হয়,,তখন স্বামী বলে কেন তোমার ভালো বিয়ে হয় নি।।আমি বললাম না,,তখন স্বামী বলে বিয়ে ভালো না হলে চলে যাও,,আমি বলেছি তালাক দিয়ে দাও চলে যায়,,তখন স্বামী বলে আমি কেন দিব,, আমি তো বলিনি আমার বিয়ে খারাপ হয়েছে আল্লাহ তোমার সাথে আমার বিয়ে দিয়েছে তাতেই আলহামদুলিল্লাহ,, আমি তোমাকে নিয়ে ভালে আছি।।তারপর বলে আমি সবসময়ই তোমাকে বলি তুমি স্বাধীন তোমার কোন ব্যাপারে আমি হস্তক্ষেপ করবো না,,তুমি তোমার মতো চলতে পারবে,,,স্বাধীন টা সে তালাকের জন্য বলেনি। তার তালাকে নিয়ত ছিল না বলেছে।।আমার ইচ্ছে হলে চলে যেতে বলেছে,,, এতে কি তালাক হবে,,তালাকে অধিকার দিলে কি সাময়িক  এব জন্য।

১০।।মজা করে  ফোনে কথা বলার সময় বলেছিলাম আমাকে একজন বলেছে আমি চলে গেলে বিয়ে করবে,,তখন স্বামী বলে যাও নিষেধ করছে কে,,,আমি বললাম আমি যেতে হলে তো তোমার আমাকে ছাড়তে হবে,,তখন আমার স্বামী বলে আমি কেন ছাড়বো,,আমি কি বিয়ে করবো নাকি,, তুমি করবা কিভাবে করবা সেটা তুমি জানো।।তখন আমি বললাম তাহলে তো আর আমি বিয়ে করতে পারবো না।।তখম বলে বিয়ে করলে কি দাওয়াত দিবে আমাকে তখন আমি বললাম না,,আমি অন্য কাউকে বিয়ে করলে তুমি পরপুরুষ থাকবা তাই দিব ন,,,এখানে তালাকের কোন নিয়ত ছিল মা,,,শুধু  মজা করে কথাগুলো হয়েছে।।।

১১।।  মাসালা জানার জন্য হুজুর সাথে কথা বলছিলাম,,স্বামী বার বার কল দিচ্ছিল,,পরে যখন রিসিভ করলাম  স্বামী জিজ্ঞেস করাতে বলছিলাম হুজুর  সাথে কথা বলছি,,তখন রাগে বলে যাওগা হুজুরের সাথেই,,,,বার বার যখন বলতেছে যাওগা তখন আমি বলছি তোমার যদি আমাকে ভালো না লাগে  আমার বোনের সাথে কথা বলে তালাক দিয়ে দাও।।।আমাকে দেলাও,,তখন আমার স্বামী বলে আমি দেওয়ার কি আছে তুমি তো গেছগাই,,,,,,পরে আমি বললাম তুমি কি তালাকের নিয়তে বলেছো,,আমার স্বামী বলে না আমার খুব রাগ হয়েছে  তুমি হুজুরের সাথে কথা বলাতে তাই রাগে বলছি।।স্বামী বলে বার বার কল দিচ্ছি আমার কল না ধরে হুজুর এর সাথে কথা বলছো তাই রাগে বলছি।।।কোন তালাকের নিয়ত ছিল না।।

আমাদের কি তালাক হয়েছে,, আমরা কি একসাথে থাকতে পারবো।।আমাদের বিবাহে কি কোন সমস্যা হয়েছে হুজুর।।
by (10 points)
হুজুর একটু পয়েন্ট আকারে উত্তর গুলে দিবেন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়াসওয়াসা রোগীদের বর্তমান ও অতীতের বিষয়ে তালাকের ওয়াসওয়াসার কারণে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...