বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) জরুরত হলে কেবল তখনই অমুসলিম লেখকদের বই পড়া যাবে। যদি সেখানে ইসলাম বিদ্বেষী কিছু না থাকে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের জীবনযাত্রার কথা থাকলে পড়া যাবে। তবে অযথা পড়া যাবে না।
(২)
এমন গল্প, যেখানে সামাজিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সমাজের হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে বা বিজ্ঞানের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে বা বর্তমান প্রাণিজগৎ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে, তাহলে সেগুলো পড়লে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয় এবং মানুষের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলো জ্ঞানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এ জন্য এ ক্ষেত্রে সেগুলো জায়েজ। কারণ, নিষিদ্ধ বা হারাম কাজ সেখানে নেই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুসলিম লেখকদের রচিত বই যেমন,উপন্যাস,গল্প ইত্যাদি। এগুলোতে হারাম কোনো কিছু না থাকলে, সেই বই পড়া যাবে।
(৪)অমুসলিম বৃদ্ধ পুরুষদের সামনে মুসলিম নারীরা শরীরের সবকিছুই ঢেকে রাখবে।
(৫)অমুসলিমদের অনুকরণ করলে (স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায়) ইমান চলে যাবে না। তবে গোনাহ হবে।
(৬)শিক্ষাক্ষেত্রে বা কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় অমুসলিম শিক্ষক,সহপাঠী, সহকর্মীদের কাছে শিখতে হয়। এক্ষেত্রেও শুধুমাত্র শিখা যাবে তবে তাদের অনুকরণ জায়েয হবে না।করলে গোনাহ হবে।
(৭)কোনো অমুসলিম থেকে কোনো খাবার তৈরি শিখলে যদি সেই খাবারে হারাম কিছু না দিয়ে বানানো হয়, সেটা জায়েয।এটাকে অনুকরণ বলা যাবে না।
সাদৃশ্য গ্রহণ তিন ভাবে হতে পারে।
(১)ফিতরী তথা জন্মগত বিষয়ে সাদৃশ্য গ্রহণ। এটা হারাম হবে না।
(২)পদ্ধতির অনুসরণ।যেমন তারা যেভাবে খাবার গ্রহণ করে বা হাটাচলা করে,তাদের এগুলোর অনুসরণ।এগুলো হারাম হবে তখন,যদি পূর্ব থেকেই মুসলমানদের আলাদা কোনো পদ্ধতি থাকে।
(৩)কাফিরদের ধর্মীয় বিষয়ের অনুসরণ। এটা সর্বাবস্থায় হারাম।(ইমদাদুল আহকাম-১/২৮৫)