আসসালামু আলাইকুম হযরত,
যে প্রশ্নটা করতে যাচ্ছি, তার ব্যাকগ্রাউন্ড টা কেবল ভাষায় প্রকাশ করা একটু জটিল, তবুও চেষ্টা করতে যাচ্ছি ইন শা আল্লাহ।
১। প্রথমত আমি মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্র। আমাদের পুরো ব্যাচে ২০০ জন এর মতো ছাত্র - ছাত্রী এবং এ ২০০ জনকে মোট ৪ টি শাখায় ভাগ করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে আমি ও আমার দুই বন্ধু রুম এ এমনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছিলাম। এর মধ্যে আমি ঘ সেকশন এ এবং বাকি দুজন খ সেকশন এ। কথা প্রসঙ্গে "খ সেকশন এর আমাদের আরেক বন্ধু কিছুদিন আগে বিয়ে করেছে" এই প্রসঙ্গ চলে আসে।
আমার দুই বন্ধু এরপর বলে যে, তাদের বিবাহপূর্ব সম্পর্ক ছিলো যদিও বা তার আহলিয়া মেডিকেল জীবনের শুরু থেকেই পরিপূর্ণ পর্দা করেন, এবং দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে এই সম্পর্কের কথা আমার দুই বন্ধুর সেকশন অর্থাৎ খ সেকশন এর সবাই জানে। ওরা এই কথা বলার পর আমি বলি যে - খ সেকশন এর ই একজন আপু আছেন যিনি পর্দা করেন এবং তিনি ব্যাচ এর ফিমেইল দের মধ্যে একজন গুরাবা এর মতো।
এখন আমি সেই আপু সম্পর্কে কিভাবে ধারণা করলাম যে তিনি গুরাবা সে ব্যাপারে বলি-
মেডিকেলে আমাদের মানুষের হাড় কিনে পড়তে হয় সাধারণত। কিন্তু এই কেনাবেচা যে হারাম তা জানার পর আমি একটি বোনস ব্যাংকে যোগাযোগ করে বলি যে আমার বিনা লেনদেনে এক সেট কঙ্কাল দরকার। উনারা এরপর আমাকে বলেন যে- বিনা লেনদেনে দেয়া যাবে কিন্তু পুরো এক সেট কঙ্কাল না, বরং সেটা দুই ভাগ করে আমার মেডিকেল এর ই সেই আপুকে দিতে হবে, কেননা তিনিও লেনদেন ব্যতীত কঙ্কাল এর জন্য আবেদন করেছিলেন। কঙ্কাল এর এই ঘটনার সময়, যার সম্পর্কে আমি মন্তব্য করেছিলাম, সেই আপুকে প্রথম চিনতে পারি। এরপর তার এক মাহরাম এর মাধ্যমে আমি তার ভাগের হাড় গুলো তাকে দিয়ে দেই। আমি তাকে কখনো সামনে থেকে দেখিও নি, কথাও হয়নি।
তবে আমাদের মেডিকেল কলেজে প্রায় ই বিভিন্ন ফাহেশা কাজ কর্ম যেমন গান বাজনা হয়, অনেকের অনেক হারাম রিলেশন এর কথা ফাস হয়। তো এরকম কোনো জায়গায় কখনো কারো মুখে তার নাম শুনি নি বা ব্যাচ গ্রুপ এ কখনো তার কোনো ম্যাসেজ ও চোখে পড়েনি। এ থেকে আমি আসলে তার ব্যাপারে মন্তব্যটি করেছিলাম যে তিনি একজন গুরাবা।
এখন আমার প্রশ্ন হলো-
আমি যে মন্তব্য করেছিলাম - খ সেকশন এর ই একজন আপু আছেন যিনি পর্দা করেন এবং তিনি ব্যাচ এর ফিমেইল দের মধ্যে একজন গুরাবা এর মতো।
আমার এই মন্তব্য করাটা কি হারাম হয়েছিলো কিংবা হাতের যিনা, চোখের যিনা, মুখের যিনা সম্পর্কিত যে হাদিস আছে, আমার ওই কথাটা কি মুখের যিনা এর আওতায় পড়ে যাবে কি?
২।
দুই নাম্বার প্রশ্ন হলো, আমাদের কিছু ক্লাস থাকে দুই ঘন্টার।আবার সেই ক্লাসের পরপর ই অন্য সাবজেক্ট এর কোনো না কোনো পরিক্ষা আছে। এখন কোনো এক শিক্ষক এর ক্লাস এ তার লেকচার না শুনে, অন্য সাবজেক্ট এর বই পরলে সেটা কি গুণাহ হবে? আদবের খেলাফ অবশ্যই হবে, কিন্তু এটা কি গুণাহ বা শিক্ষকের হক তরক করা এর আওতায় পড়বে?