আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
179 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম হযরত, 
যে প্রশ্নটা করতে যাচ্ছি, তার ব্যাকগ্রাউন্ড টা কেবল ভাষায় প্রকাশ করা একটু জটিল, তবুও চেষ্টা করতে যাচ্ছি ইন শা আল্লাহ।
 
১। প্রথমত আমি মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্র। আমাদের পুরো ব্যাচে ২০০ জন এর মতো ছাত্র - ছাত্রী এবং এ ২০০ জনকে মোট ৪ টি শাখায় ভাগ করা হয়েছে।

কিছুদিন আগে আমি ও আমার দুই বন্ধু রুম এ এমনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছিলাম। এর মধ্যে আমি ঘ সেকশন এ এবং বাকি দুজন খ সেকশন এ। কথা প্রসঙ্গে "খ সেকশন এর আমাদের আরেক বন্ধু কিছুদিন আগে বিয়ে করেছে" এই প্রসঙ্গ চলে আসে। 

আমার দুই বন্ধু এরপর বলে যে,  তাদের বিবাহপূর্ব সম্পর্ক ছিলো যদিও বা তার আহলিয়া মেডিকেল জীবনের শুরু থেকেই পরিপূর্ণ পর্দা করেন,  এবং দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে এই সম্পর্কের কথা আমার দুই বন্ধুর সেকশন অর্থাৎ খ সেকশন এর সবাই জানে। ওরা এই কথা বলার  পর আমি বলি যে - খ সেকশন এর ই একজন আপু আছেন যিনি পর্দা করেন এবং তিনি  ব্যাচ এর ফিমেইল দের মধ্যে একজন  গুরাবা এর মতো। 

এখন আমি সেই আপু সম্পর্কে কিভাবে ধারণা করলাম যে তিনি গুরাবা সে ব্যাপারে বলি- 
মেডিকেলে আমাদের মানুষের হাড় কিনে পড়তে হয় সাধারণত। কিন্তু এই কেনাবেচা যে হারাম তা জানার পর আমি একটি বোনস ব্যাংকে যোগাযোগ করে বলি যে আমার বিনা লেনদেনে এক সেট  কঙ্কাল দরকার।  উনারা এরপর আমাকে বলেন যে- বিনা লেনদেনে দেয়া যাবে কিন্তু পুরো এক সেট  কঙ্কাল না,  বরং সেটা দুই ভাগ করে আমার মেডিকেল এর ই সেই আপুকে দিতে হবে, কেননা তিনিও লেনদেন ব্যতীত কঙ্কাল এর জন্য আবেদন করেছিলেন। কঙ্কাল এর এই ঘটনার সময়,  যার সম্পর্কে আমি মন্তব্য করেছিলাম,  সেই আপুকে প্রথম চিনতে পারি। এরপর তার এক মাহরাম এর মাধ্যমে আমি তার ভাগের হাড় গুলো তাকে দিয়ে দেই। আমি তাকে কখনো সামনে থেকে দেখিও নি, কথাও হয়নি। 


তবে আমাদের মেডিকেল কলেজে প্রায় ই বিভিন্ন ফাহেশা কাজ কর্ম যেমন গান বাজনা হয়, অনেকের অনেক হারাম রিলেশন এর কথা ফাস হয়।  তো এরকম কোনো জায়গায় কখনো কারো মুখে তার নাম শুনি নি বা ব্যাচ গ্রুপ এ কখনো তার কোনো ম্যাসেজ ও চোখে পড়েনি। এ থেকে আমি আসলে তার ব্যাপারে মন্তব্যটি করেছিলাম যে তিনি একজন গুরাবা।

এখন আমার প্রশ্ন হলো- 
আমি যে মন্তব্য করেছিলাম - খ সেকশন এর ই একজন আপু আছেন যিনি পর্দা করেন এবং তিনি  ব্যাচ এর ফিমেইল দের মধ্যে একজন  গুরাবা এর মতো। 
আমার এই মন্তব্য করাটা কি হারাম হয়েছিলো কিংবা হাতের  যিনা,  চোখের যিনা,  মুখের যিনা সম্পর্কিত যে হাদিস আছে,  আমার ওই কথাটা কি মুখের যিনা এর আওতায় পড়ে যাবে কি?

২। 
দুই নাম্বার প্রশ্ন হলো, আমাদের কিছু ক্লাস থাকে দুই ঘন্টার।আবার সেই ক্লাসের পরপর ই অন্য সাবজেক্ট এর কোনো না কোনো পরিক্ষা আছে। এখন কোনো এক শিক্ষক এর ক্লাস এ তার লেকচার না শুনে,  অন্য সাবজেক্ট এর বই পরলে সেটা কি গুণাহ হবে? আদবের খেলাফ অবশ্যই হবে,  কিন্তু এটা কি গুণাহ বা শিক্ষকের হক তরক করা এর আওতায় পড়বে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
গুরাবা দ্বারা আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? কমেন্টে উল্লেখ করবেন।

এভাবে কারো অগোচরে তার আলোচনা করা জায়েয হবে না।


(২)
حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রতিষ্টানে ভর্তির সময়ে প্রতিষ্টানের সকল আইন মানতে বাধ্য মর্মে আপনি সম্মতি দিয়েছেন, সুতরাং প্রতিষ্টানের নিয়ম বহির্ভূত কোনো কাজ আপনি করতে পারবেন না। সুতরাং আপনি ক্লাসের পড়া রেখে অন্য পড়া পড়তে পারবেন না।এটা সম্পূর্ণই অনিচিত হিসেবে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 205 views
...