আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
কেউ যদি ফরজ নামাজের সাথে এক বা একাধিক নফল নামাজের নিয়্যত করে, তাহলে এটার বিধান কি? ফরজ নফল কোনোটাই হবে না না-কি ফরজ হবে নফল হবে না না-কি নফল হবে ফরজ হবে না। আর যদি ফরজ নফল কোনোটাই না হয় বা ফরজ বা নফল না হয়, এক্ষেত্রে এর বিধান কি? এতদিন নিয়্যত করে যা পড়েছে এগুলোর ক্ষেত্রে কি করবে? কোনোটা না হলেই বা কি করবে? নতুবা ফরজ বা নফল না হলে সেক্ষেত্রে কি করণীয়? আর এগুলোর জন্য কি গুনাহ হবে? কোনো কাজা, কাফফারা, জরিমানা ইত্যাদি আছে কি? বিস্তারিত বলার অনুরোধ রইল।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ومتى نوى شيئين مختلفين متساويين في الوكادة والفريضة، ولا رجحان لأحدهما على الآخر بطلا، ومتى ترجح أحدهما على الآخر ثبت الراجح، كذا في محيط السرخسي. فإذا نوى عن قضاء رمضان والنذر كان عن قضاء رمضان استحساناً، وإن نوى النذر المعين والتطوع ليلاً أو نهاراً أو نوى النذر المعين، وكفارة من الليل يقع عن النذر المعين بالإجماع، كذا في السراج الوهاج. ولو نوى قضاء رمضان، وكفارة الظهار كان عن القضاء استحساناً، كذا في فتاوى قاضي خان. وإذا نوى قضاء بعض رمضان، والتطوع يقع عن رمضان في قول أبي يوسف – رحمه الله تعالى -، وهو رواية عن أبي حنيفة – رحمه الله تعالى – كذا في الذخيرة”.(الفتاوى الهندية: 1/ 196)

যখন কেউ দু'টি পৃথক সমান সমান ফরযের নিয়তে কোনো একটি আ'মল করবে, যেখানে অগ্রাধিকার দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না, সেখানে দু'টি আ'মলই বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে যেখানে দু'টি আ'মলই বরাবর হবে না বরং কোনো একটিকে অগ্রাধিকার দেয়ার সুযোগ থাকবে, সেখানে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত আ'মলটাই গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। সুতরাং যদি রমজানের কাযা এবং নযরের নিয়তে কেউ রোযা রাখে তাহলে ইসতেহসানতথা বিশেষ বিবেচনায়) সেটা রমজানের কাযা রোযা হিসেবে বিবেচিত হবে। তাছাড়া কেউ যদি নির্দিষ্ট নযরের নিয়তে এবং দিন বা রাতের নফল ইবাদত হিসেবে রোযা রাখে, তাহলে সেটা নযরের রোযা হিসেবে বিবেচিত হবে। তাছাড়া কেউ যদি রমজানের কাযা রোযা এবং যিহারের কাফফারা হিসেবে রোযা রাখে তাহলে সেটা ইসতেহসানের ভিত্তিতে রমজানের কাযা হিসেবেই আদায় হবে। ঠিকতেমনিভাবে কেউ যদি রমজানের কাযা এবং নফলের নিয়তে রোযা রাখে তাহলে ইমাম আবু ইউসুফ রাহ এবং এক বিবরণমতে ইমাম আবু হানিফা রাহ মতে সেটা রমজানের কাযা রোযা হিসেবেই আদায় হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি ফরজ নামাজের সাথে এক বা একাধিক নফল নামাজের নিয়্যত করে, তাহলে শুধুমাত্র ফরয নামাযই আদায় হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 127 views
0 votes
1 answer 158 views
0 votes
1 answer 202 views
...