আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
এক মহিলার পাঁচ তারিখে হায়েয শুরু হয়ে ৮ তারিখে শেষ হয় এরপর ১১ তারিখ পর্যন্ত কোন রক্ত বের হয় না কিন্তু ১২ তারিখে এক দুই ফোঁটা রক্ত বের হয়েছে (তার নিয়মিত হায়েয হচ্ছে তিন এরপর ৩দিন কিছু বের হয় না কিন্তু সপ্তম দিনে এক দুই ফোঁটা বের হয় , এরকমটা প্রতি মাসেই হয় )

এরপর স্বামী তাকে ২০ তারিখে তিন তালাক দেয় তালাক দেওয়ার পর ২৫ তারিখে হায়েয শুরু হয়ে ২৮ তারিখ শেষ হয় ।

এখন জানার বিষয় হলো ২০ তারিখে তালাক দেওয়ার পর ২৫ তারিখে শুরু হয়ে ২৮ তারিখে বন্ধ হওয়া হায়েযকে ইদ্দতের প্রথম হয়ে গণনা করা যাবেকি কোন না করেন না হয় তাহলে কখন থেকে ইদ্দত গণনা করবে???

বিশেষ দ্রষ্টব্য যদি প্রথম হায়েস ৮ তারিখে বন্ধ হওয়ার সাব্যস্ত করা হয় তাহলে ২৮ তারিখে শেষ হওয়া দুই হারিয়ে যে মাঝে ২০-২১ দিন হয় আর আর ১২ তারিখে এক দুই ফোঁটা রক্ত বের হওয়া হায়েয ধরা হলে ২৫ তারিখে শুরু হওয়ার দুই হাযেরর মাঝে ১২-১৩ দিন হয়
এখন সে কোন তারিখ হিসেবে ইদ্দত পালন করবে।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।

এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

বিস্তারিত জানুনঃ
,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে  
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
পাঁচ তারিখে হায়েয শুরু হয়ে ৮ তারিখে হায়েজ বন্ধ হওয়ার পর  ১২ তারিখে যে এক দুই ফোঁটা রক্ত বের হয়েছে,এটি যেহেতু ১০ দিনের মধ্যেই হয়েছে,তাই এটিও হায়েজ।

এক্ষেত্রে ১২ তারিখের যেই সময়ে তার রক্ত আসা বন্ধ হয়েছে,তারপর থেকে পবিত্রতার সর্বনিম্ন পরিমান ১৫ দিন গণনা করতে হবে।

সেই হিসেবে ২৭ তারিখে এসে পবিত্রতার সর্বনিম্ন পরিমান ১৫ দিন শেষ হবে।

তাই ২৫ তারিখে শুরু হওয়া এই স্রাবকে হায়েজ ধরা হবেনা।
তাই এটি ইদ্দতের ১ম হায়েজ বলে গন্য হবেনা।
,
২৮ তারিখে যে স্রাব এসেছে,এর পরে যদি ১০ দিনের মধ্যে আবারো রক্ত আসে,তাহলে সেটিকে হায়েজ ধরা হবে। এটি ঐ মহিলার ইদ্দতের ১ম হায়েজ বলে গন্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...