আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
reshown by
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
প্রশ্নঃ মুসলিম মহিলারা অমুসলিম মহিলাদের সাথে এক বিছানায় ঘুমাতে পারবে?

1 Answer

+1 vote
by (574,470 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

মুসলিম অমুসলিম এক রুমে থাকাকেই কখনো শরীয়ত অনুমোদন দিতে পারে না।
সেহেতু এক বিছানায় থাকাকে কোনোভাবেই শরীয়ত জায়েজ বলেনা।
এটা পুরোপুরি নাজায়েজ।     

আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”।(আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)

হযরত জারীর ইব্ন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﺍﻧﺎ ﺑﺮﻳﺊ ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻳﻘﻴﻢ ﺑﻴﻦ ﺍﻇﻬﺮ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ! ﻟﻢ؟ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺮﺉ ﺍﻱ ﻧﺎﺭﻫﻤﺎ -
“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”।
,
আরো জানুনঃ 
,
একই তোষকের নিচে সমলিঙ্গের একাধিক জন শয়ন করা নিষিদ্ধের আওতাধীন।কাপড় ব্যতীত বা একেবারে ছোট্ট কাপড় পরে শয়ন করা মাকরুহে তাহরিমা বা হারাম।আর কাপড় পরিধান পূর্বক শয়ন করা মাকরুহে তানযিহি।
আরো জানুনঃ 
,
,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মুসলিম মহিলা অমুসলিম সামনে পুরুষের ন্যায় হুকুম রাখে।
অর্থাৎ যেমনি ভাবে পুরুষ এর সামনে মহিলাদের পর্দা করতে হয়,ঠিক তেমনি অমুসলিম মহিলাদের সামনেও মুসলিম মহিলাদের পর্দা করতে হবে।
যদিও এক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারগন মতবিরোধ করেছে,   তবে এটাই গ্রহনযোগ্য মত।
(তাদের অনুসারী গন সেই মতানুযায়ী আমল করতে পারবেন। ) 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত এক বিছানায় মুসলিম মহিলা আর অমুসলিম মহিলা ঘুমানো জায়েজ হবেনা।
নাজায়েজ।      
,
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ {النور:31}.

তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে,

فالشاهد من الآية هو قوله تعالى: " أو نسائهن " أي النساء المسلمات، والكافرة ليست من نساء المسلمة، 
এই আয়াতে মহিলা দ্বারা মুসলিম মহিলা উদ্দেশ্য। 

(সুতরাং কাফের মহিলা এই বিধানের আওতায় নয়। তাদের সামনে পর্দা করতে হবে। ) 
.
في الموسوعة الفقهية: ذهب جمهور الفقهاء: (الحنفية والمالكية وهو الأصح عند الشافعية) إلى أن المرأة الأجنبية الكافرة كالرجل الأجنبي بالنسبة للمسلمة، فلا يجوز أن تنظر إلى بدنها، وليس للمسلمة أن تتجرد بين يديها، لقوله تعالى: {ولا يبدين زينتهن إلا لبعولتهن أو آبائهن أو آباء بعولتهن أو أبنائهن أو أبناء بعولتهن أو إخوانهن أو بني إخوانهن أو بني أخواتهن أو نسائهن}. أي النساء المسلمات، فلو جاز نظر المرأة الكافرة لما بقي للتخصيص فائدة، وقد صح عن عمر رضي الله عنه الأمر بمنع الكتابيات من دخول الحمام مع المسلمات. ومقابل الأصح عند الشافعية أنه يجوز أن ترى الكافرة من المسلمة ما يبدو منها عند المهنة، وفي رأي آخر عندهم أنه يجوز أن ترى منها ما تراه المسلمة منها وذلك لاتحاد الجنس كالرجال. والمذهب عند الحنابلة أنه لا فرق بين المسلمة والذمية ولا بين المسلم والذمي في النظر، وقال الإمام أحمد في رواية عنه: لا تنظر الكافرة إلى الفرج من المسلمة ولا تكون قابلة لها. وفي رواية أخرى عنه أن المسلمة لا تكشف قناعها عند الذمية ولا تدخل معها الحمام.  انتهى.
وفي أسنى المطالب لزكريا الأنصاري: (وتحتجب مسلمة عن كافرة) وجوبا، فيحرم نظر الكافرة إليها لقوله تعالى: {أو نسائهن} [النور: 31]. والكافرة ليست من نساء المؤمنات، ولأنها ربما تحكيها للكافر، فلا تدخل الحمام مع المسلمة، نعم يجوز أن ترى منها ما يبدو عند المهنة على الأشبه في الأصل. قال الأذرعي: وهو غريب لم أره نصا، بل صرح القاضي والمتولي والبغوي وغيرهم بأنها معها كالأجنبي، وكذا رجحه البلقيني، وهو ظاهر. فقد أفتى النووي بأنه يحرم على المسلمة كشف وجهها لها، وهو إنما يأتي على القول بذلك الموافق لما في المنهاج كأصله في مسألة الأجنبي لا على ما رجحه هو كالرافعي. انتهى.
সারমর্মঃ  মুসলিম মহিলা অমুসলিম সামনে পুরুষের ন্যায় হুকুম রাখে।
অর্থাৎ যেমনি ভাবে পুরুষ এর সামনে মহিলাদের পর্দা করতে হয়,ঠিক তেমনি অমুসলিম মহিলাদের সামনেও মুসলিম মহিলাদের পর্দা করতে হবে।
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মুসলিম মহিলা অমুসলিম মহিলার  সাথে এক বিছানায় ঘুমাতে পারবেনা।
এটি নাজায়েজ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...