জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কুরআনের তরজমা, তাফসীর
পড়া বা তা শোনার দ্বারা সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হয়না।
সুরা ইউসুফ এর ০২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
অনুবাদঃ আমি আরবী ভাষায় কুরআন নাজিল করেছি,যাতে করে তোমরা বুঝতে পারো।
সুতরাং আরবী যবান ব্যাতিত অন্য যবানে কুরআন পড়া হলে সেটাকে কুরআনের তরজমা বা তাফসির বলা হবে,কুরআন বলা হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن ابن عمرؓ قال انما السجدۃ علی من سمعہا۔(المصنف لابن
ابي شیبہ ۳؍۳۹۰ رقم : ۴۲۵۲)
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নিশ্চয়ই সেজদাহ ঐ ব্যাক্তির উপর ওয়াজিব হবে যে উহা শুনেছে।
,
رد المحتار" 5 / 429:
باب سجود التلاوة من إضافة الحكم إلى سببه ( يجب ) بسبب ( تلاوة آية ) أي أكثرها مع حرف السجدة۔۔۔ ( بشرط سماعها ) فالسبب التلاوة وإن لم يوجد السماع ، كتلاوة الأصم والسماع شرط في حق غير التالي ولو بالفارسية إذا أخبر ( أو ) بشرط ( الائتمام ) أي الاقتداء ( بمن تلاها ) فإنه سبب لوجوبها أيضا ، إن لم يسمعها ولم يحضرها للمتابعة۔
সারমর্মঃ সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো তাহা তিলাওয়াত করা,,।
" رد المحتار" 5 /430،432 :
( قوله بسبب تلاوة ) احترز عما لو كتبها أو تهجاها فلا سجود عليه كما سيأتي۔۔۔و قوله بشرط سماعها ) فلا تجب على من لم يسمعها وإن كان في مجلس التلاوة شرح المنية۔
সারমর্মঃ সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হয় তাহা তিলাওয়াত করার দ্বারা,,।
সুতরাং কেহ যদি তাহা লিখে,বা হরফ হরফ করে পড়ে,তাহলে তার উপর সেজদাহ ওয়াজিব হবেনা।
لکن ذکر شیخ الإسلام أنہ لایجب بالسماع من مجنون أو نائم أو طیر؛ لأن السبب سماع تلاوۃ صحیحۃ۔ (شامی کراچی ۲؍۱۰۷، زکریا ۲؍۵۸۱، فتاوی تاتار خانیہ ۲؍۴۶۲رقم : ۳۰۰۲ زکریا )
সারমর্মঃ সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হওয়ার শর্ত হলো ছহীহ ভাবে সেই তেলাওয়াত শোনা।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 166521 নং ফতোয়াতেও উক্ত বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""কুরআনের শুধু বাংলা অনুবাদ পড়ার সময় সেজদার আয়াত আসলে সেজদাহ দিতে হবেনা।