আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)

সুন্নত ও ফরজ সালাতের মধ্যে অন্য সালাত, মসজিদে না গিয়ে বাসায় জামাতে সালাত আদায়, নামাজ পর কাপড়ে নাপাকের উপস্থিতি জানতে পারা, WorldBox God Simulator গেম, মক্কা মদীনার নিরাপত্তা, পরিচয় গোপনকারী ইসলাম প্রচারকারী ও জিহাদ নিয়ে প্রশ্ন।

 

  1.  সুন্নত ও ফরজ নামাজের মধ্যে অন্য নামাজ পড়ার বিধান কী? যেমন ধরুন আমি জোহরের সুন্নত পড়ে ফেলেছি, এখন জামাতের জন্য অপেক্ষা করছি। এই সময়টায়তে কি জাওয়ালের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে পারি? একইভাবে, ফরজ নামাজ শেষে জাওয়ালের নামাজ আদায় করে এরপর জোহরের সুন্নত আদায় করতে পারি?
  2.  আমার আব্বু কোনো কারনে মসজিদে যান না, কোনো শরয়ী কারন না, এখন আমি যদি বাসায় তার সাথে জামাতে সালাত আদায় করি তবে ওয়াজিব পালন হয়ে যাবে কী? আমি কি গুনাহগার হবো? যদি এটা জায়েজ হয়, তবে উত্তম কোনটি? মসজিদে গিয়ে জামাতে সালাত আদায় করা না কি বাসায় আব্বুর সাথে সালাত আদায় করা? যদি তিনি শরয়ী কারনে মসজিদে না যেতেন তবে কোনটি উত্তম হতো? উল্লেখ্য, মসজিদ থেকে খালি গলায় আজান দিলে আমার বাড়িতে শোনা যায় না।
  3.  ধরা যাক আমি দোকান থেকে কেনা নতুন কাপড় কিনে না ধুয়ে এক সপ্তাহ সালাত আদায় করলাম। এরপর একদিন কাপড় বিক্রেতা আমাকে জানালো তার কাপড়ে নাপাকি লাগানো ছিলো। তখন কি আমাকে পুরো সপ্তাহের সালাত কাযা করতে হবে? একইভাবে, আমি যদি অনেকদিন একটা জায়নামাজে সালাত আদায় করার পর জানতে পারি জায়নামাজটা নাপাক ছিলো তখন কী করবো?
  4. WorldBox নামের একটা গেম আছে, এখানে একজন একটা দুনিয়া তৈরি করতে পারে এবং সেখানে মানুষ, প্রানী ইত্যাদি তৈরি করতে পারে। সে ঐ দুনিয়াতে যা খুশি করতে পারে। মূলত গেমটাকে বলা হচ্ছে God Simulator, খেলোয়ার এখানে নিজে তথাকথিত ইশ্বরের ক্ষমতা রাখে। দয়া করে ভিডিয়োটায় এর বৈশিষ্ট্যগুলো দেখবেন।https://www.youtube.com/watch?v=QGYAs8GG5xQ এই গেম খেলা কি হারাম
  5.  আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজিদে মক্কা নগরী বলেন, এখানে যে প্রবেশ করবে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। (সম্ভবত মদিনা সম্পর্কেও এরমম কথা আছে, সঠিক জানা নেই।) ইয়াজিদ কীভাবে মক্কার উপর আগ্রাসন চালাতে পারলো? যদি কোনো শত্রু রাষ্ট্র মক্কা/মদিনার উপর মিসাইল ফেলে তবে কি আল্লাহ সেই মিসাইল থেকে নগরদুটিকে রক্ষা করবেন? না কি শুধু কাবাকে রক্ষা করবেন? কিয়ামতের আলামত হিসেবে কাবা ধ্বংস হওয়ার আগে কাবা ধ্বংস হওয়া কি সম্ভব?  এধরনের প্রশ্ন করা কি খারাপ?
  6. কেউ যদি পরিচয় গোপন রেখে অনলাইনে ইসলাম প্রচার করে, লোকদের ইসলামের পথে ডাকে এবং নানা বিষয়ে নসিহত করে তবে তার কোথা শোনার ক্ষেত্রে মূলনীতি কী হবে? নিচে একটি চ্যানেলের লিংক দেওয়া হলো, এধরনের ব্যাক্তির বয়ান কি সাধারন মানুষ শুনবে? https://www.youtube.com/channel/UCdC58Fno7uiux5-fDWb3F4Q
  7.  একদল উলামা যদি জিহাদের দিকে ডাকেন অন্যদল যদি বলেন এখন জিহাদ করার সময় নয় তখন সাধারন মানুষ কোন দলের কথা শুনবে? বিশেষ করে যে দল জিহাদের সময় হয়নি বলেন তারা যদি অপরদলকে খারেজি বলেন?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো,যেই ফরজ নামাজের পর সুন্নাত নামাজ আছে,সেই ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর দেড়ি করা ছাড়াই সুন্নাত আদায় করা মাসনুন।
অবশ্য 
 «اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَام تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام» 
বা এই জাতীয় দোয়া পড়ার সুযোগ রয়েছে।
এর থেকে বেশি দেড়ি করা মাকরুহে তানযিহি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَلَّمَ لَمْ يَقْعُدْ إِلَّا مِقْدَارَ مَا يَقُولُ: «اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام» . رَوَاهُ مُسلم

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফরজ) সালাতের সালাম ফিরাবার পর বসতেননা তবে শুধু এ দু‘আটি শেষ করার পরিমাণ সময় অপেক্ষা করতেন, ‘‘আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, ওয়া মিনকাস্ সালা-ম, তাবা-রকতা ইয়া- যালজালা-লি ওয়াল ইকর-ম’’ (অর্থা- হে আল্লাহ! তুমিই শান্তির আঁধার। তোমার পক্ষ থেকেই শান্তি। তুমি বারাকাতময় হে মহামহিম ও মহা সম্মানিত)।
( সহীহ : মুসলিম ৫৯২, মিশকাত৷ ৯৬০)

یکرہ أخیر السنة إلا بقدر اللہم أنت السلام الخ قال الشامي: لأن السنة من لواحق الفریضة واتوابعہا ومکمّلاتہا فلم تکن أجنبیة عنہا․ (الدر المختار: ۱/ ۲۴۶، ط: زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ-
সুন্নাত আদায় দেড়ি করা মাকরুহ,তবে আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, (শেষ পর্যন্ত)  পড়া সমপরিমাণ সময় দেড়ি করা যাবে।
কেননা সুন্নাত ফরজ নামাজের তাবে'।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফজর নামাজের সুন্নাতের পর কোনো নফল নামাজ পড়া যাবেনা।
জোহরের,আসরের,ঈশার ফরজ নামাজের পূর্বে সুন্নাত আদায়ের পর নফল পড়া যাবে।

তবে যেসব ফরজ নামাজের পর সুন্নাত আছে,সেসব নামাজের পর নফল না পড়ে আগে সুন্নাত পড়তে হবে।

সুন্নাত আদায়ের পরে নফল পড়তে হবে।
নতুবা সুন্নাহর খেলাফ হবে।

(০২)
কোনো এক সময়ে ওযর বশত এভাবে বাড়িতে জামাত করলে সেটির অনুমতি রয়েছে।
তবে প্রশ্নের বিবরন মতে এভাবে বিনা ওযরে নিয়মিত বাসায় জামাত করলে ওয়াজিব আদায় হবেনা।

এক্ষেত্রে আপনি মহিলা হলে আপনার গুনাহ হবেনা।
তবে আপনি পুরুষ হলে আপনার গুনাহ হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبَّادٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ حَافِظُوا عَلَى هَؤُلَاءِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَإِنَّ اللهَ شَرَعَ لِنَبِيِّهِ صلي الله عليه وسلم سُنَنَ الْهُدَى وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلَّا مُنَافِقٌ بَيِّنُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يُقَامَ فِي الصَّفِّ وَمَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَلَهُ مَسْجِدٌ فِي بَيْتِهِ وَلَوْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ وَتَرَكْتُمْ مَسَاجِدَكُمْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ صلي الله عليه وسلم وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ صلي الله عليه وسلم لَكَفَرْتُمْ .

‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা সঠিকভাবে আযানের সাথে এই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের প্রতি সবিশেষ নযর রাখবে। কেননা এই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতই হচ্ছে হিদায়াতের পথ। মহান আল্লাহ তাঁর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য হিদায়াতের এ পথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমাদের (সাধারণ) ধারণা, স্পষ্ট মুনাফিক ব্যতীত কেউ জামা‘আত থেকে অনুপস্থিত থাকতে পারে না। আমরা তো আমাদের মধ্যে এমন লোকও দেখেছি, যারা (দুর্বলতা ও অসুস্থতার কারণে) দু’জনের উপর ভর করে (মাসজিদে) যেত এবং তাকে (সলাতের) কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়া হত। তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার ঘরে তার মাসজিদ (সলাতের স্থান) নেই। তোমরা যদি মাসজিদে আসা বাদ দিয়ে ঘরেই (ফরয) সলাত আদায় কর তাহলে তোমরা তোমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতকেই বর্জন করলে। আর তোমরা তোমাদের নাবীর সুন্নাত ত্যাগ করলে অবশ্যই কুফরীতে জড়িয়ে পড়বে।
(আবু দাউদ ৫৫৯.মুসলিম)


حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمَلِيحِ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ الأَصَمِّ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ فِتْيَتِي فَيَجْمَعُوا حُزَمًا مِنْ حَطَبٍ ثُمَّ آتِيَ قَوْمًا يُصَلُّونَ فِي بُيُوتِهِمْ لَيْسَتْ بِهِمْ عِلَّةٌ فَأُحَرِّقُهَا عَلَيْهِمْ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ইচ্ছা হয়, আমি আমার যুবকদের লাকড়ির বোঝা জমা করার নির্দেশ দেই, অতঃপর যারা কোন কারণ ছাড়াই নিজ নিজ ঘরে সলাত আদায় করে, সেগুলো দিয়ে তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেই।
(আবু দাউদ ৫৪৯.তিরমিজি)

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِي بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لَا يَشْهَدُونَ الصَّلَاةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ "

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ইচ্ছা হয়, (লোকদেরকে জামা‘আতে) সলাত আদায়ের নির্দেশ দেই এবং কাউকে লোকদের সলাত আদায় করাবার হুকুম করি, অতঃপর লাকড়ি বহনকারী কিছু লোককে সাথে নিয়ে আমি বেরিয়ে পড়ি। সেগুলো দ্বারা ঐসব লোকের ঘর-বাড়ি আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য যারা জামা‘আতে (সলাত আদায় করতে) উপস্থিত হয়নি।
বুখারী হাঃ ২৪২০), মুসলিম (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ, অনুঃ জামা‘আতে সালাতের ফাযীলাত,) আবু দাউদ ৫৪৮)।

(০৩)
এক্ষেত্রে নাপাকির পরিমান এক দিরহাম (বর্তমান ৫ টাকার কয়েন) থেকে কম হলে সবগুলি নামাজ হয়ে যাবে। 

আর নাপাকির পরিমান এর চেয়ে বেশি হলে সবগুলি নামাজের কাজা আদাউ করতে হবে।

(০৪)
এই গেম খেলা জায়েজ নেই।

(৫.৬.৭)
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না। 
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!

প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
শায়খ, দয়া করে যদি বলতেন চার নম্বর প্রশ্নের গেমটি খেলা কেন জায়েজ নেই। এতে আমার মন শান্ত হত এবং সকল সন্দেহ দূরীভূত হত, আর অন্যকেউ জিজ্ঞেস করলে তাকে ব্যখ্যা দিতে পারতাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...