আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্ উস্তাজ।

প্রশ্ন:১-  আমার এক দ্বীনি বোন দ্বীনের প্রকৃত বুঝ পাওয়ার আগে অনলাইনে একটা ছেলের সাথে হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলো। যদিও সেই ছেলে কখনো তাকে দেখেনি। তাদের শুধু মেসেজে এবং ফোনে কথা হতো। সে এখন তাওবাহ করে সেখান থেকে ফিরে এসেছে।
সে সম্প্রতি কুরআনে পড়েছে, সূরা নুরের শুরু দিকে অবিবাহিতদের জন্য ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে ১০০ টি বেত্রাঘাতের কথা বলা হয়েছে এবং সেটার তাফসিরে দেওয়া আছে যে খিলাফত আমলেও এই শাস্তি চালু ছিলো। তাহলে এখন কি তাকেও এই শাস্তি দিতে হবে? যদি হয় তাহলে কিভাবে দেওয়া হবে? (যেহেতু বর্তমানে সরকারিভাবে এই শাস্তি চালু নেই) এই শাস্তি না দেওয়া হলে কি তার তাওবাহ কবুল হবে?
প্রশ্ন:২-  আমার এক পরিচিত ভাই একটি অনলাইন শপ খুলেছে। তার কাজ মূলত মানুষের কাছ থককে বই অর্ডার নেয় এবং বইয়ের মূল্য নেয়। তারপর অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে উক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, নাম্বার দিয়ে অর্ডার করে এবং অর্ডারকৃত বই সরাসরি ক্রেতার কাছে চলে যায়। সেই ভাই বইগুলো হাতে পায় না। সে শুধু মধ্যস্থতা করে বলতে পারেন। আমি জানি না এতে সে কোনো লাভাংশ পায় কি না। কিন্তু যদি এতে সে সামান্য কিছু হলেও লাভাংশ পেয়ে থাকে তবে সেটা কি হালাল হবে? যেহেতু বইগুলো সে নিজে কিনো তারপর বিক্রি করে না, বরং উক্ত ব্যক্তির হয়ে শুধু অর্ডার করে দেয়।

প্রশ্ন:৩-  বিতরের সলাত কাযা পড়ার সঠিক নিয়ম কী? বিতরের সলাত কাযা কি এক রাকাত পড়া যাবে? আর কাযা করার সময় দুআ কুনুত কততম রাকাতে পড়বো?

জাঝাকুমুল্লহু খইরন ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ

1 Answer

0 votes
by (591,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إنْ شَهِدَ أَرْبَعَةٌ عَلَى امْرَأَةٍ بِالزِّنَا فَنَظَرَ إلَيْهَا النِّسَاءُ فَقُلْنَ هِيَ بِكْرٌ لَا حَدَّ عَلَيْهِمَا وَلَا عَلَى الشُّهُودِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَكَذَا إذَا قُلْنَ هِيَ رَتْقَاءُ أَوْ قَرْنَاءُ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ. 
যদি চারজন ব্যক্তি কোনো পুরুষের উপর যিনার সাক্ষ্য দেয়,অতপর বিজ্ঞ মহিলারা ঐ মহিলার দিকে তাকিয়ে বলে, মেয়ের তো এখনো সতিচ্ছেদ বা যোনীচ্ছেদ হয়নি, বা মেয়ের যোনীপথ বন্ধ,জড়ায়ুর মুখ বন্ধ, তাহলে মেয়ের উপর হদ কায়েম হবে না।এবং সাক্ষীদের উপরও হদ কায়েম করা হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/১৫৩)


আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
وَعَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «ادرؤا الْحُدُودَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنْ كَانَ لَهُ مَخْرَجٌ فَخَلُّوا سَبِيلَهُ فَإِنَّ الْإِمَامَ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعَفْوِ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعُقُوبَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: قَدْ رُوِيَ عَنْهَا وَلم يرفع وَهُوَ أصح
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমদের যথাসম্ভব দণ্ডযোগ্য শাস্তি থেকে যদি সামান্যতম অব্যাহতির উপায় থাকে, তাহলে তাকে ছেড়ে দাও। কেননা শাসকের ক্ষমা করার ক্ষেত্রে ভুল করা শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে ভুল করার চেয়ে উত্তম। (মিশকাত-৩৫৭০,তিরমিযী ১৪২৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/53048

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনে কারীমে যিনার শাস্তি ১০০ টি বেত্রাঘাত বলা হয়েছে, এই আয়াতে যিনার দ্বারা শারিরিক সম্পর্ককে বুঝানো হয়েছে। তাছাড়া এই শারিরিক সম্পর্ক সম্পর্কে নিজের স্বীকারোক্তি বা চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রয়োজন। সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়া ব্যতিত যিনা ব্যভিচারের অপবাদকে গ্রহণ করা যাবে না।


(২)
মাল নিজের হস্তগত হওয়ার পূর্বে বিক্রয় করা যাবে না। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত ক্রয়-বিক্রয় জায়েয হবে না।এবং প্রফিট করাও জায়েয হবে না।

(৩)
বিতিরের নামাযকে আদায় করার সময় যেভাবে পড়তে হয়, কাযার সময়ও সেভাবে পড়তে হবে।

বিতিরের কাযা রয়েছে। যেভাবে তাকে তার ওয়াক্তে আদায় করতে হয় সেভাবে তার কাযা পড়তে হবে।এক্ষেত্রে হানাফি মাযহাব মত আদ্বা এবং কাযার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৭/৩৬৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/629


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (591,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্। 
উস্তাজ বিতরের সলাত কি এক রাকাআত পড়া যায়?
by (591,600 points)
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী তিন রাকাত পড়তে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...