জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বীর্য হল যা উত্তেজনার সাথে লাফিয়ে লাফিয়ে আটকিয়ে আটকিয়ে লিঙ্গ থেকে বের হয়।বীর্য বের হলে গোসল ফরয হয়ে যায়।
প্রস্রাবের পর লিঙ্গ থেকে যা বের হয়,সেটা দেখতে বীর্যর মতই গাঢ় থাকে,তবে এটা বীর্য না। বরং এর নাম হলো ওদী।যা গোসলকে আবশ্যিক করে না।
.
আরো জানুনঃ
,
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ
তোমরা জুনুবি হও তবে (গোসল করে) সারা দেহ পবিত্র করে নাও। (সূরা মায়েদাহ ৬)
আর জুনুবি বলা হয়, ওই ব্যক্তিকে যার বীর্য সবেগে ও উত্তেজনার সঙ্গে বের হয়েছে।
যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ خُلِقَ مِن مَّاءٍ دَافِقٍ
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে, সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। (সূরা আত্ব-তারিক্ব ৫, ৬)
রাসূলুল্লাহ ﷺ আলী রাযি.-কে বলেছিলেন,
فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ
যদি উত্তেজনা বশতঃ বীর্য নির্গত হয় তবে গোসল করবে। (আবুদাউদ ২০৬) অন্যথায় নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ঘুমের মধ্যেও কিছু বের হয়ে থাকে,অথবা স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে গোসল ফরজ হবে।
নতুবা গোসল ফরজ হবেনা।
এক্ষেত্রে সতরের অন্তর্ভুক্ত এলাকার লুঙ্গির অংগ প্রকাশ পায়,এমন ছিদ্র গুলি সব মিলে যদি সতরের কোনো এক অঙ্গের একচতুর্থাংশ সমপরিমাণ হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।