ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ঘরে থাকলে তাদের দ্রুত বিয়ে দেওয়ার বিধান ইসলাম দিয়েছে। মা-বাবার কর্তব্য হচ্ছে মেয়েকে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যবস্থা না করেন তাহলে গুনাহগার হবেন। বিয়ের জন্য চেষ্টা করছেন কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না সময় যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে তার মা-বাবা গুনাহগার হবেন না। মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যাপারে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের গুনাহ হবে, কোনো সন্দেহ নেই।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه
তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)
عن محمد بن عمر بن علي بن أبي طالب، عن أبيه، عن علي بن أبي طالب، أن النبي صلى الله عليه وسلم قال له: " يا علي، ثلاث لاتؤخرها: الصلاة إذا آنت، والجنازة إذا حضرت، والأيم إذا وجدت لها كفئًا".
(1 / 320، باب ما جاء في الوقت الأول من الفضل، ابواب الصلوٰۃ، ط:شركة مكتبة ومطبعة مصطفى البابي الحلبي - مصر)
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’
(তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫)
যখন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং কুফু বা সমমানের পাত্র-পাত্রী পাওয়া যায়, অভিভাবকের দায়িত্ব তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। ছেলে-মেয়েদের যত দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করা যাবে ততই তারা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারবে।
مصنف عبد الرزاق :
"عن يحيى بن أبي كثير قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «إذا جاءكم من ترضون أمانته وخلقه فأنكحوه كائنًا من كان، فإن لاتفعلوا تكن فتنة في الأرض وفساد كبير»، أو قال: «عريض»".
(6/ 152، کتاب النکاح، باب الاکفاء، رقم الحدیث:10325، ط:المجلس العلمی ، الھند)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাষ্ট্রীয় ভাবে যেসব মুসলিম দেশ আছে সেখানকার রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রি যিনি আছেন তার উপর এবং সমাজের লোকজনদের উপর প্রত্যেক পুরুষ আর নারী যারা বালেগ হয়েছে তাদের বিবাহ করে দেয়া আর পুরুষদের কর্মসংস্থান করে দেয়া এই দুইটি ফরজ নয়।
এ দায়িত্ব নিজেদের ও নিজেদের অভিভাবকদের উপর।
বিবাহের সামর্থ্য না রাখলে রাসুলুল্লাহ সাঃ রোযা রোজা পালন করার আদেশ করেছেন, কেননা রোজা হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
ﻳَﺎﻣَﻌْﺸَﺮَ ﺍﻟﺸَّﺒَﺎﺏِ ﻣَﻦِ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻉَ ﻣِﻨْﻜُﻢُ ﺍﻟْﺒَﺎﺀَﺓَ ﻓَﻠْﻴَﺘَﺰَﻭَّﺝْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُﺃَﻏَﺾُّ ﻟِﻠْﺒَﺼَﺮِ ﻭَﺃَﺣْﺼَﻦُ ﻟِﻠْﻔَﺮْﺝِ ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﻌَﻠَﻴْﻪِﺑِﺎﻟﺼَّﻮْﻡِ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﻪُ ﻭِﺟَﺎﺀٌ
হে যুবসমাজ! তোমাদেরমধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিবাহ করা কর্তব্য। কেননা বিবাহ হয় দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন রোজা পালন করে। কেননা রোজা হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম। (বুখারী ৫০৬৫; মুসলিম ১৪০০)