বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এক্ষেত্রে বুযুর্গানে দ্বীন অপিরিচিত থাকা আল্লাহর প্রশান্তির নিয়ামত বলে থাকে।
তবে পিরিচিত থাকলেও যে আল্লাহর প্রশান্তির নিয়ামত বলে বিবেচ্য হবেনা,বিষয়টি এমন নহে।
(০২)
যেহেতু এই আইন এখনো বাতিল হয়নি,
তাই যারা আসলেই এই পোষ্য কোটার হকদার,তারা এটি গ্রহণ করতে পারবে।
তবে যারা হকদার নয়,তারা কোনো ভাবে এই পোষ্য কোটা গ্রহণ করতে পারবেনা।
(০৩
ইসলাম সকল জমিতেই ছেলে মেয়ে সহ সকল উত্তরাধিকার দের অংশিদারের কথা বলে।
এক্ষেত্রে ভিটার জমিতে ছেলের ন্যায় মেয়েদেরও পূর্ণ অধিকার আছে।
হ্যাঁ যদি মেয়ে সন্তুষ্টি চিত্তে ভিটার জমি না নিয়ে মাঠের তথা ফসলের জমি নেয়,সেক্ষেত্রে সেটিও জায়েজ আছে।
তবে এটি একান্তই মেয়ের ইখতিয়ার, কেউ তাকে চাপ দিতে পারবেনা।
(০৪)
সুদখোর চাই সে আত্মীয় হোক বা অন্য কোনো পরিচিত হোক,সে যেহেতু মুসলমান, তাই তার সাথে সম্পর্ক রাখা ঠিক হবে।
তবে তার দেয়া কিছু খাওয়া যাবেনা।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَاأَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
‘হে মানুষ, যমীনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৬৮]
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। (সূরা আলি ইমরান ১৩০)
হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন হানযালা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً
জেনে-শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ৩৬ জন নারীর সাথে ব্যভিচারের চাইতে অধিক গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমাদ ২১৪৫০)
উল্লেখ রয়েছে যে,
অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।
১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম।
এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।