আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
মুহতারাম,আমার বাবা তার পেনশনের ১৫ লক্ষ টাকা একটা ব্যাবসায় ইনভেস্ট করেছে।এবং এর উপর ১ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে।তবে আমার বাবার কিছু ঋন রয়েছে।যেমন জমি বাবদ ২ লক্ষ,২ জনের নিকট ঋন সারে তিন লক্ষ,ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় বাবদ প্রায় এক লক্ষ টাকা এবং জমি বন্দক বাবদ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা,মোট-প্রায় সারে ৯ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে।তবে,জমির বন্দক এর পদ্ধতি যেহেতু নাজায়েজ,তাই পরবর্তীতে চুক্তি নবায়ন করে ইজারা হিসেবে দেওয়া হয়েছে।এবং জমির বন্দক হিসেবে যে তিন লক্ষ টাকা ঋন নেওয়া হয়েছিল,সেটা চুক্তি নবায়নের মাধ্যমে জামানত হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

সুতরাং,উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করত উক্ত সম্পদের উপর জাকাত হবে কি?জাকাত হলে কত টাকা হবে?ঋনের টাকাটা কি বাদ দিয়ে জাকাত হিসেব করতে হবে?জমি বন্দক বাবদ উক্ত জামানতের টাকাটা কি ঋন হিসেবে বিবেচিত হবে?

দয়া করে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাহাবাইন রাহ এর মতে প্রতেক প্রকার দাইনে যাকাত ওয়াজিব।তবে ইমাম আবু-হানিফা রাহ দাইনকে তিন প্রকারে বিভক্ত করে থাকেন।

(১)دين قوي (শক্তিশালী ঋণ) এটা দ্বারা সেই টাকা বা মাল উদ্দেশ্য যা কাউকে ধার দেয়া হয়েছিলো,বা ব্যবসায়িক পণ্যর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো।কিংবা এমন কোনো গৃহপালিত পশুর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো যে প্রাণীর উপর যাকাত ওয়াজিব ছিলো।এমন দাইনে চল্লিশ দিরহাম পরিমাণ উসূল হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে।(যখন থেকে পাওনা ছিলো তখন থেকে এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে তথা হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের যাকাত তখন আদায় করতে হবে।

(২)دين متوسط (মধ্যবর্তী ঋণ) ব্যবসায়িক পণ্য ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর বিনিময়ে কারো উপর কোনো পাওন থাকলে, সে মালে যাকাত সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা রাহ থেকে দু'টি বর্ণনা পাওয়া যায়।(ক) শক্তিশালী দাইনের মত সেই মালে যাকাত ওয়াজিব হবে।তবে চল্লিশ নয় বরং দুইশত দিরহাম পরিমাণ উসূল হওয়ার পর অতীতের সমস্ত বৎসরের যাকাত ওয়াজিব হবে।
(খ)পরবর্তী দুর্বল দাইনের মত অতীতের বৎসর সমূহের যাকাত ওয়াজিব হবে না।বরং যখন দুইশত দিরহাম পরিমাণ উসূল হবে, এরপর থেকে সেই মালে এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরেই যাকাত ওয়াজিব হবে।এবং এটাই গ্রহণযোগ্য মত।

(৩)دين ضعيف (দুর্বল ঋণ) ঐ মাল যা কোনো মালের বিনিময় হিসেবে ওয়াজিব হয়নি।যেমন মহরের টাকা।এই মাল হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের কোনো যাকাত দিতে হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/২৭১)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবার যেই সমস্ত ঋণ রয়েছে, সেই ঋণের টাকা যে দিন উসূল হবে, সেইদিন পূর্বের সকল বৎসরের যাকাত দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...