আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
301 views
in ওয়াসওয়াসা by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

আমি এবং আমার স্ত্রী তালাকে অধিকার সম্পর্কে জানতাম না। আমার স্ত্রী এখোনো জানেনা এই অধিকার দেওয়া যায় সম্পর্কে।
কিছুদিন আগে মাসালা দেখে মনে ওয়াসওয়াসা তৈরি হলো। যে সাত আট মাস আগে ম্যসেন্জারে বা whatsapp এ আমি রাগের মধ্যে হয়তো "তুমি ডিভোর্স দিতে পারো " না তোমার পরিবারের সাথে কথা বলে জানাও বা তুমি ডিভোর্স দিতে পারো,না তোমার মন না চাইলে ডিভোর্স দিতে পারো। না তোমার আমাকে ভালো না লাগলে ডিভোর্স দিতে পারো."
কতক্ষণ মনে হয় এটা বলছিলাম আবার কতক্ষণ মনে হয় হয়তো অন্য একটা বলছিলাম। মনের ভিতর ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহ হচ্ছে।

কি যে লিখছিলাম সঠিক ভাবে মনে পড়তাছে না। কারন অনেক মাস আগের কথোপকথন নিজের অজান্তে কি লিখছি সঠিক মনে পড়তাছে না। আগে ম্যসেজে কি লিখেছি সঠিক মনে না থাকারই কথা।

মানে আমি নিজের অজান্তে কি লিখেছিলাম ম্যসেজে সাময়িক অধিকার দেওয়ার কথা লিখছিলাম না আজিবন অধিকার দেওয়ার কথা লিখেছিলাম এ নিয়া মনের মধ্যে সন্দেহ হচ্ছে এবং ওয়াসওয়াসা হচ্ছে।

কি লিখেছিলাম সঠিক মনে না থাকার জন্য আর আমার এই সন্দেহের জন্য আমার স্ত্রী কি ডিভোর্স এর অধিকার পাবে???

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

তাফবীযে তালাকের সাথে কোনো শর্ত বা সময় উল্লেখ না থাকলে সেই তাফবীয বা তালাকের অধিকারটি মজলিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

সুতরাং স্বামীর কথা
"তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও"

এদ্বারা মজলিসের মধ্যে তালাকের অধিকার সীমাবদ্ধ থাকবে।

وفی الدر المختار مع رد المحتار:

"قال لها أنت طالق إن شئت فقالت شئت إن شئت أنت، فقال: شئت ينوي الطلاق أو قالت شئت إن كان كذا لمعدوم) أي لم يوجد بعد كإن شاء أبي أو إن جاء الليل وهي في النهار (بطل) الأمر لفقد الشرط..(وإن قالت شئت إن كان الأمر قد مضى) أراد بالماضي المحقق وجوده كإن كان أبي في الدار وهو فيها، أو إن كان هذا ليلا وهي فيه مثلا (طلقت) لأنه تنجيز (قال لها أنت طالق متى شئت أو متى ما شئت أو إذا شئت أو إذا ما شئت فردت الأمر لا يرتد ولا يتقيد بالمجلس ولا تطلق) نفسها".
(ج:٣,ص:٣٦,ط: دار الفكر)
সারমর্ম:-
যদি স্বামী বলে যে তুমি তালাক যখন যখন চাইবে অর্থাৎ যখন তুমি চাইবে তখন তালাক,,,,তারপর বিষয়টি ফিরিয়ে নিতে চাইলে ফিরিয়ে নেয়া যাবেনা।
এবং মজলিসের সহিত সীমাবদ্ধ থাকবেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রী ডিভোর্স এর অধিকার পেয়েছিলো।
তবে সেটি সাময়িক ছিলো,এখন তার আর সেই অধিকার নেই।

যখন মেসেজে কথা বলতেছিলেন,শুধু সেই সময়েই (মজলিসেই) তার সেই অধিকার ছিলো।
পরবর্তীতে তার আর উক্ত অধিকার নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
হুজুর উপরের ঐ কথাগুলা লিখছিলাম নাকি তাও সঠিক মনে নাই। অন্য ভাবে অন্য কথাও লিখতে পারি হয়তো।

কি লিখেছিলাম সঠিক মনে না থাকার জন্য আর আমার এই সন্দেহের জন্য আমার স্ত্রী কি ডিভোর্স এর অধিকার পাবে???
by (559,140 points)
মনে না থাকলে স্ত্রীর সহায়তা নিতে পারেন।
স্ত্রীরও মনে না থাকলে মেসেজ চেক করবেন।

মেসেজ ডিলিট হয়ে গেলে এক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের অধিকার পায়নি বলে ধরে নিবেন।
by (17 points)
অনেক আগের কথা তো মনে নাই কারো,,,আর হুজুর ম্যসেজ তো অনেক আগেই ডিলেট হয়ে গেছে।
by (559,140 points)
এক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের অধিকার পায়নি বলে ধরে নিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...