আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
356 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
১......একদিন রাগ করে বলেছিলাম তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই তখন আমার স্বামী কষ্ট  পেয়ে অনেক ইমোশনাল হয়ে গেছে মরে যাবে এটা সেটা অনেক কিছু বলে তারপর বলেছে, আমাকে কারো দরকার নাই এমন কেউ আমার সাথে থাকার দরকার নাই,,আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম  যাও তুমি স্বাধীন,, আজ থেকে তেমার কাছে আমি মরে গেছি।।।  পরে আমি আমার স্বামীকে  জিঙ্গেস করেছি এগুলো কেন বলেছো তখন আমার স্বামী বলেছে তুমি তোমার মতো স্বাধীন ভাবে  চলতে পারবে আমি তোমাকে কোন কিছুতে বাধা দিব না।।।এগুলো বলে যে তালাক হয় সেটাও আমার স্বামী জানে না।।আমি জিজ্ঞেস করলাম তোমার কি তালাকের নিয়ত ছিল তখন সে বলল তালাক দিব কেন।।। তার তালাকের কোন নিয়ত ছিল না

২.আরেক দিন ঝগড়া হয়েছে তখন ঝগড়ার এক  পর্যায়ে আমার স্বামী বলেছে পরের অধ্যায়টা কিন্তু ভয়াবহ হবে,,  তখন আমি বলেছি তার জন্য প্রস্তুত আছি,,,আমার স্বামী বলে জানি আমি,,পরে আমি বললাম লাইফে যে সুখ নেই বুঝে গেছি,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি এগুলো বলে বলে চলে যেতে চাও যাও তুমি মুক্ত।।।।।আমি সাথে সাথেই জিঙ্গেস করেছি তুমি কি তালাক দিলে নাকি তখন সে আমার সাথে আর কোন কথাই বলে নি মোবাইল অফ করে দিয়েছে।।সকালে যখন কথা হয়েছে তখন বললাম তুমি তালাকের নিয়তে বলেছো তখন আমার স্বামী বলে আমি কখনোই তোমাকে তালাাকের নিয়তে বলি নি।।।তুমি ঝগড়া করছিলে তাই থামানোর জন্য বলেছি,, কারন তুমি মুক্ত বললে ভয় পাও আমি এটা বললে তুমি  ঝগড়া থামিয়ে দিবে তাই বলেছি।।।।আমার কোন তালাকের উদ্দেশ্য ছিল না।।আর আমার স্বামী বলে এসব শব্দে নাকি তাালক হয় না।।।।।। ১-২ নং মোবাইলে মেসেজে কথা  হয়েছে

৩..আরেকদি আমরা শুয়ে কথা বলতেছি কেন ঝগরাহয় নি।। তখন সম্ভবত অন্য মেয়ে নিয়ে কথা হচ্ছিল  তাই আমি অভিমান করে বলেছি আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও।।ওই সময় আমার স্বামী আমাকে ধরে রাখছিল তখন ওনি আমার থেকে হাতটা সরিয়ে নিয়ে বলে ওকে দিলাম/ নাকি ছেড়ে দিলাম বললো সেটা মনে নেই।।আমি বললাম তালাক দিয়েছ আমার স্বামী  বলে তালাক দিব কেন তুমি বলেছে ছেড়ে দিতে তাই আমার হাত সরিয়ে নিলাম আমি ধরে রাখাতে তুনি অস্বস্তি ফিল করতেছ তাই হাত সরিয়ে নিলাম এটা বুঝিয়েছে।। আমি ছেড়ে  দিতে বলেছি সে এটা বুঝতে পারে নি সে মনে করেছে আমাকে ধরে রাখাতে আমি বলছি ছেড়ে  দিতে, তাই হাত সরিয়ে নিয়ে বললো দিলাম।
হুজুর খুব টেনশনে আছি এতে কি তালাক হবে

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)একদিন রাগ করে বলেছিলাম তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই, তখন আমার স্বামী কষ্ট পেয়ে অনেক ইমোশনাল হয়ে গেছে, মরে যাবে, এটা সেটা অনেক কিছু বলে, তারপর বলেছে, আমাকে কারো দরকার নাই, এমন কেউ আমার সাথে থাকার দরকার না,আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম  যাও তুমি স্বাধীন, আজ থেকে তেমার কাছে আমি মরে গেছি।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এই কথাবার্তা মুযাকারায়ে তালাকের সময় হয় নাই, তাই স্বামীর তালাকের নিয়ত ব্যতিত তালাক পতিত হবে না। 

(২)আরেক দিন ঝগড়া হয়েছে তখন ঝগড়ার এক  পর্যায়ে আমার স্বামী বলেছে পরের অধ্যায়টা কিন্তু ভয়াবহ হবে,,  তখন আমি বলেছি তার জন্য প্রস্তুত আছি,,,আমার স্বামী বলে জানি আমি,,পরে আমি বললাম লাইফে যে সুখ নেই বুঝে গেছি,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি এগুলো বলে বলে চলে যেতে চাও যাও তুমি মুক্ত।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এই কথাবার্তা মুযাকারায়ে তালাকের সময় হয় নাই, তাই স্বামীর তালাকের নিয়ত ব্যতিত তালাক পতিত হবে না। 

(৩)আরেকদিন আমরা শুয়ে কথা বলতেছি কোনো ঝগড়া হয়নি। তখন সম্ভবত অন্য মেয়ে নিয়ে কথা হচ্ছিল,তাই আমি অভিমান করে বলেছি, আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও। ওই সময় আমার স্বামী আমাকে ধরে রাখছিল তখন ওনি আমার থেকে হাতটা সরিয়ে নিয়ে বলে, ওকে দিলাম/ নাকি ছেড়ে দিলাম বললো সেটা মনে নেই। আমি বললাম তালাক দিয়েছ আমার স্বামী বলে তালাক দিব কেন? তুমি বলেছে ছেড়ে দিতে তাই আমার হাত সরিয়ে নিলাম আমি ধরে রাখাতে তুনি অস্বস্তি ফিল করতেছ তাই হাত সরিয়ে নিলাম এটা বুঝিয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখানে তালাক হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...