আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। আমি একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিমা। মাহরাম নামাহারাম মেনে চলার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ।তবে আমার পরিবার এর দ্বীনদার না। কালকে আমাকে একজন আলেম ছেলে দেখতে এসেছিলো। সে কিনা হাটহাজারী থেকে পড়াশোনা করেছে মাশা আল্লাহ। তবে ছেলেকে আমি যখন বিভিন্ন প্রশ্ন করি এতে জানতে পারি সে মাহরাম না মাহরাম মেনে চলেন না।আর আমাদের এখানে ছেলের ভাবীও এসেছিলো আমি নিজের চোখেই দেখেছি তারা অবাদে কথা বলে। জামাতের সাথে রেগুলার নামায পড়তে পারেন না মাদ্রাসার কাজের কারণে। আরও অনেক কিছুই আছে এমন। তো তারা চলে যাওয়ার পর আমি বাবাকে জানাই ছেলে এমন আমার ভালো লাগে নাই। আমার বাবা এটা শুনে আমাকে যা নয় বলে গালাগালি করেছে যা প্রকাশ করার মত না। আরও বলেছে ছেলে হাফেজ, হাটহাজারি থেকে পড়ে আসা মাওলানা তার থেকে কি আমি বেশি বুঝি। আরও অনেক কিছু। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি আব্বু আম্মুকে শর্ত দিয়েছে আমি যদি এই ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি না হই তাহলে আমার মাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে। এমতাবস্থায় আমি কি করবো উস্তাদ। আমি নিরুপায় হয়ে গেছি। আমার প্রশ্ন হলো হাটহাজারী থেকে পড়াশোনা করলেই কি শুধু  প্রকৃত আলেম হওয়া যায়?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এহেন পরিস্থিতিতে আপনার জন্য পরামর্শ থাকবে, আপনি প্রশ্নে উল্লেখিত পাত্রকে জিজ্ঞাসা করবেন,বিবাহের পর তার বাসায় যাওয়ার পর আপনার ইবাদত পালন,আপনার গায়রে মাহরাম মেইনটেইন ও আপনার শরয়ী পর্দা পালন সম্পর্কে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে পারবে কিনা?

যদি পূর্ণ নিশ্চয়তা দেয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত এহেন পরিস্থিতিতে উক্ত বিবাহে রাজি হতে পারেন।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
একজন সাধারণ দ্বীনদার ব্যক্তিদের জন্য প্রকৃত
হক্কানী আলেম চিনার সবচে’ সহজ পদ্ধতি হল,যে আলেমের চেহারা ও পোশাকে সুন্নতের ছাপ রয়েছে,কথায় আচরণে তাকওয়া পরহেযগারী,বিদআতের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে, সুন্নতের প্রতি থাকে সদা আগ্রহী, এবং  ভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে না, ফিতনা তৈরী করেনা,উক্ত ব্যক্তিকে আপনি হক্কানী আলেম হিসেবে বুঝে নিতে পারবেন।

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...