আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
প্রশ্ন ১) আমি অনেক তালাকের মাসলা মাসায়েল পড়তাম সারাদিন মাথায় এসব ঘুরপাক খেতো। একদিন মনে মনে তালাকের মাসলা মাসায়েল পড়ছিলাম ,পড়ার পর  চিন্তা করতে করতে হটাৎ ভুলবশত আমার মুখ ফসকিয়ে " আমি তোমাকে তালাক দিলাম ,এই কথা যদি কেউ স্ত্রীকে বলে তাহলে তালাক হয়ে যাবে " আবার বলি "তালাক অনেক খারাপ কথা কখনো স্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলা যাবেনা"। আমি প্রথমে একজন মুফতির কাছে ফতুয়া চাইতে গেলাম ।সেখানে প্রশ্ন করেছি যে আমি মাসলা মাসায়েল চিন্তা করতে করতে ভূলে "আমি তোমাকে তালাক দিলাম "। পুরো কথাটি আমি বলিনি ।পুরো কথাটি ছিল " আমি তোমাকে তালাক দিলাম ,এই কথা যদি কেউ স্ত্রীকে বলে তাহলে তালাক হয়ে যাবে " আবার বলি "তালাক অনেক খারাপ কথা কখনো স্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলা যাবেনা"।। উনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন আপনি কাকে উদ্দেশ্যে বা কোন উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন আমি বললাম আমি মাসলা মাসায়েল চিন্তা করতে করতে ভূলবশত মুখ ফসকিয়ে বের হয়েছে ,আমি স্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলিনি । উনি উত্তর দিলেন তালাক হবে না। এ বিষয়ে আমি মুফতী ইমদাদুল হুজুরের কাছে জানতে চাইলে উনিও একই কথা বলেন এবং IFATWA এর  অনেক উত্তর এমনই দেখলাম । আর তখন আমি পুরোপুরি ওয়াসওয়াসার রোগী ছিলাম। এবং আমি তাদের উক্ত ফতুয়ার উপর আমল করি।

পরবর্তীতে আমি পুরো কথাটি ," আমি তোমাকে তালাক দিলাম ,এই কথা যদি কেউ স্ত্রীকে বলে তাহলে তালাক হয়ে যাবে " আবার বলি "তালাক অনেক খারাপ কথা কখনো স্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলা যাবেনা" এইটা ৫ জনের কাছে জানতে চাই তারা সবাই একই কথা বলে এর কারনে তালাক হবেনা।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার প্রশ্নের জবাব তৈরীর প্রস্তুতি চলছে,,, 
অবশ্যই জবাব পেয়ে যাবেন,ইনশাআল্লাহ। জাযাকুমুল্লাহ। 

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-

ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...