আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর
১।আমি এই বিষয় অনেক প্রশ্ন করছি কিন্তু কিছুতেই মাথা থেকে চিন্তা জাচ্ছে না।শশুর দিতে বলে নাই বরং  সে না করসিল।আমি ই তেল দিয়া দিসিলাম হইত এতে তার ভাল লাগবে এই চিন্তা করে।আমি তারে খারাপ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে স্পর্শ করি নাই এই বেপার এ আমি নিশ্চিত। কিন্তু দেওয়া কালিন কোন খারাপ চিন্তা আসছে নাকি তা মনে পরছে না।অনেক আগের কাহিনি তখন এসব জানতাম না।আর উত্তেজনা হইছিল নাকি তাও জানি না।তবে আমার মাজে মাজে শশুরকে দিয়ে শাশুড়ী কে নিয়ে খারাপ কল্পনা মাথায় আইসা পরত। এখন এগুলা গুলিয়ে ফেলতেছি হইত।শুশুরের কিছু হইছে নাকি জানিনা।কিন্তু দেওয়ার সময় যে সে নারাচ্চাড়া বা উজবিজ করা তা করে নাই।সে শুধু বলছিল তার মা নাকি কোন দিন এভাবে তেল দিয়া দেয় নাই।আমার জতটুকু মনে হই সে আমাকে খারাপ চখে দেখে না।মামুনি বইলা ডাকে।ইচ্ছা করে কখনো হাতে ছোয়া দেয় না।মাসালা জানার পর থেকে আমারি সমস্যা হইয়া গেসে।যখন বুজি যে এখন বাবুরে নিবে ছোয়া লাগবে তখন চিন্তা হতে থাকে এই ছোয়া লাগল।খারাপ চিন্তা আসল নাকি।তখন অনেক সময় ভিত্রে কাইপা উঠে।২,৩ সেকেন্ড  এর বেপার।এর মধে খারাপ কল্পনা কি করবে আবার উত্তেজনা হয়ে অন্তর কিভাবে কাপবে?

আমি এখন কি ধরে নিব হুজুর।আমার মাথা শেষ হয়ে যাচ্ছে।ভাবতে ভাবতে।তবে আমি ৮০% মনে হই তারে নিয়ে খারাপ কিছু ভাবি না।আবার ২০% সন্দিহান যে শ্যতানে কি মনে আন্সিল নাকি?

২।আমি উত্তেজনা বেপার টা বুজি না আসলে।উত্তেজনায় অন্তর কাপা কি।হটাৎ তার সাথে ছোয়া ল্গলেই আমার অন্তর কাপে।কিন্তু আমার ত তার সাথে সহবাস করতে ইচ্চা হই না।হঠাৎ ছোয়া লাগার দরুন নাকি তারে নিয়া বেসি ভাবি ভয়ে থাকি তার জন্য এমন হই।

৩।উত্তেজনা কি হুজুর তারে কাছে পাওয়ার জন্য আকাংক্ষা।তার সাথে সহবাস করার ইচ্ছা হওয়া।

৪।খারাপ চিন্তা কইরা মানে কল্পনা করে অন্তর কেপে উঠলে কিন্তু যদি তার সাথে যদি সহবাস করতে পারতাম এমন ইচ্ছা না হই আর স্পর্শ যখন হইছে খারাপ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে হই নাই  তাহলে কি হুরমত হবে।

৫।তার আচরণ আমার কাসে ঠিক লাগে।কারন সে ইচ্চা করে আমাকে যে ধরবে তা ধরে না।এখন তার মনের ভিতর কি তা বলতে পারব না।তারে জিজ্ঞেস না করে সংসার করলে কি গুনাহগার হব।

৬।ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত বেক্তির কি হুরমত হই। যদি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে না ধরে।

৭।কারও জদি উত্তেজনা নিয়ে সন্দেহ থাকে মানে হইছিল নাকি হই নাই এটা জদি না বুজতে পারে।অনেক দিন আগের ঘটনা তাই জদি স্পষ্ট মনে না আসে। একদিকে স্থির না হতে পারে।তাহলে কি ধইরা নিবে?

৮। ধরলাম হইনাই।কিন্তু সে সময় জদি সত্যি হইয়া থাকে আল্লাহ ভাল জানেন।কিন্তু তার যদি এখন ক্লিয়ার মনে না আসে।সংসার করলে কি সে গুনাহগার হবে।
৯।শর্তে বলা আছে কাম ভাবের সহিত স্পর্শ করতে হবে।এখন কারও যদি খারাপ কোন চিন্তা বা কামভাবের সহিত স্পর্শ না করে এক সময় জাইয়া খারাপ চিন্তা আইসা পরল তাহলে কি হুরমত হবে।কার ও রি আগে থেকে খারাপ কোন উদ্দেশ্য ছিল না।

১০।কেউ যদি মাঝহাব সম্পর্কে না জানে সে যখন জেটা পাইসে জেটা সঠিক মনে হইছে সেইটা পালন করছে।সে বুজে নাই একটা মানলে এটাই মানতে হবে।সে তখন ভাবত কুরআন সুন্নাহ আলোকে জেটা বেসি দলিল তাই মানি।এই হুরমত নিয়ে সমস্যা হওয়ার পর অনেক ঘাটাঘাটি করার পর জানতে পারে হানাফি তে এক রকম আহ্লে হাদিস আরেক রকম।যেহেতু সে তার জিবনে না জানার কারনে ২ টাই মানছে।এখন কি সে চাইলে তার ইচ্ছামত একটা গ্রহন করতে পারবে?নাকি তার পরিবার হাসবেন্ড হানাফি হওয়ায় তাকেও হানাফি মাঝহাব মানা ওয়াযিব।আশা করি কুরআন হাদিসের আলোকে উত্তর দিবেন

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

ই'লাউস সুনান ১১/১৩১

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল,
১–

সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় পরিধান অবস্থায় হয় তাহলে যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 
তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।   

( যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে। ) 

অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।     

২–

স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।

পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)  
সারমর্মঃ
উত্তেজিত হওয়ার সীমা হলো লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কলব তথা অন্তর কেঁপে উঠা, আগে থেকেই কেঁপে উঠে থাকলে স্পর্শ করার পর কাঁপা বেড়ে যাওয়া। 

৩-
স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। 
আগে বা পরে উত্তেজিত হলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।      

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১.২.৩.৪)
উন্মুক্ত শরীরে স্পর্শের সময় মেয়েদের উত্তেজনা বলতে বুঝায় হলো,অর্গাজমের সময় তথা সহবাসের শেষ দিকে বীর্য নির্গত হওয়ার সময় বা সহবাসের চলাকালীন চরম আনন্দের মুহুর্তে কিছু ক্ষেত্রে শরীর, অন্তর কেঁপে উঠে।

এটিই এখানে উদ্দেশ্য। 

মূলত হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হওয়ার জন্য মহিলাদের দিক হতে এই শর্ত পাওয়া অনেকটাই দুস্কর।
তাই এহেন বিষয় নিয়ে একেবারেই না ভেবে নিশ্চিন্ত মনে সংসার চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকে জিজ্ঞেস না করে সংসার করলে গুনাহগার হবেননা।

(০৬)
এক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা। 

(০৭)
হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হয়নি,এমনটিই ধরে নিবেন।

(০৮)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এমতাবস্থায় না জানার ভিত্তিতে সংসার করলে সে গুনাহগার হবেনা।

(০৯)
তাহলে হুরমত হবেনা। 

(১০)
তিনি যেই বিষয় মানছেন,তাদের সব বিষয় মানতে হবে।
আহলে হাদীস হলে সব মাসয়ালাতেই আহলে হাদীসদের মাসয়ালা মানতে হবে।

হানাফি হলে সব মাসয়ালাতেই হানাফিদের মাসয়ালা মানতে হবে।

সে চাইলে তার ইচ্ছামত একটা মত গ্রহন করতে পারবেনা। এটাকে নফসের পূজা বলে,যাহা অনুমোদিত নয় ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...