আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
১.তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোন মহিলা যদি বলে আমি বিবাহিত না বা আমি বিবাহিতদের মধ্যে পড়িনা এর মধ্যে কোনো বাক্য বলার কারনে কি তালাক হবে? এগুলো কেনায়া বাক্য বলে বিবেচিত হবে?

২.স্বাভাবিক কথা বার্তা বলতে পারছি না।বলতে বলতে হঠাৎ করে তালাকের চিন্তা মাথায় চলে আসে।এখন কি করবো?
৩.স্বামী যদি বলে তুমি তালাক দিবা তাহলে কি তালাকের অধিকার পাবে স্ত্রী?

৪.শুধু "বাতিল" শব্দটা বললে কি কোন মহিলার নিজের উপর তালাক হবে?যাকে তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে

৫.তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোন মহিলা যদি শুধু "একা" বা " "একা একা" এতটুকু শব্দ বলে তাহলে কি ঐ মহিলার নিজের উপর তালাক হবে??

৬.এখানে উল্লেখিত কোনো প্রশ্ন করার কারনে কি আমার নিজের উপর তা** হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

৭.তালাক শব্দটা "তা**" এভাবে লিখলে (যেমনটা ৬ নং এ দেয়া হয়েছে) কি তালাক হয়? যদি তালাকের কথা ঐ সময়ে মাথায় চলে আসে(৬ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে)

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এর মধ্যে কোনো বাক্য বলার কারনে তালাক হবেনা। এগুলো কেনায়া বাক্য বলে বিবেচিত হবেনা।

(০২)
তালাকের চিন্তা মাথা থেকে দূরে সরে দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় জরূরী কাজে সদা মগ্ন থাকবেন।
রাত্র ও দিনে একাকী না থাকার পরামর্শ থাকবে। 

(০৩)
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বামী যদি বলে "তুমি তালাক দিবা" তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে।
তবে সেটি সেই মজলিস পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে। 

(০৪)
না,এক্ষেত্রে শুধু "বাতিল" শব্দটা বললে কোন মহিলার নিজের উপর তালাক হবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রে ঐ মহিলার নিজের উপর তালাক হবেনা।

(০৬)
এখানে উল্লেখিত কোনো প্রশ্ন করার কারনে  আপনার নিজের উপর তালাক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

(০৭)
না,এভাবে লিখলে তালাক হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (56 points)
এখানে ২ নং প্রশ্নে কি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়া হয়েছে?? 
by (564,870 points)
না,এক্ষেত্রে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়া হয়নি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...