আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
346 views
in ওয়াসওয়াসা by (19 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম,

প্রশ্ন 1: অতিতে কিভাবে ডিভোর্স শব্দটা বললো এ নিয়ে সন্দেহ থাকলে কি সমস্যা হবে???

যেমন আমি আগে বন্ধুদের দের সাথে বাহিরে ঘুরতে গেলে বা পার্কে গেলে, কোন রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে খাবার ভালো না লাগলে বলতাম,ডিভোর্স দিলাম,,রেস্টুরেন্টকে উদ্দেশ্য করে। জায়গাটা ভালো না লাগলে সেইম কথাটা বলতাম।। বা কেউ খারাপ হইলেও ওভাবে বলতাম ডিভো** দিলাম ঐ লোকটারে। তারপরও মনের মধ্যে সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা আমি কিভাবে কোন ভাবে এই  তালা** এর শব্দ গুলা বলতাম। উদ্দেশ্য ছাড়া কি বিষয়ে বলছিলাম মনের ভিতর হঠাৎ সন্দেহ তৈরি হয়। কোন কিছুই সঠিক মনে নাই।

তারপরও কি উদ্দেশ্য কি বিষয় নিয়ে কাকে কি বলছিলাম সঠিকভাবে নিশ্চিত ভাবে মনে নাই এ নিয়া মনের মধ্যে সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা হয়।। 

তবে মনের মধ্যে প্রবল ধারনা হয় যে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কখোনো কিছু বলি নাই।। তারপরও মনের মধ্যে  ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহ বেড়েই যাচ্ছে।

এর জন্য কোন সমস্যা হবে হুজুর?????



প্রশ্ন 2 :
অতিতে কোন কথায় স্ত্রীকে তার মায়ের সাথে তুলনা করেছি নাকি এ নিয়ে মনের মধ্যে সন্দেহ হচ্ছে যিহারের মাসালা পড়ার পড়।
মনের ভিতর ওয়াসওয়াসা তৈরি হচ্ছে যে অতিতে যিহার এর কোন কথা বলছিলাম নাকি.
এই ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহের জন্য যিহারের কোন সমস্যা হবে??
কেউ যদি স্ত্রী মিলনকালে স্ত্রীকে কখনো মা অথবা মায়ের সাথে তুলনা করেছে কিনা এই বিষয়ে সন্দেহ করে তাহলে কি যিহার হবে নাকি যিহার হবেনা ?

প্রশ্ন 2: কেনায়া শব্দ নিয়ে জানতে চাই।

আমরা প্রায় সময়ই কিছু কিছু কথা দৈনন্দিন জিবনে বলে থাকি স্ত্রীকে যেমন:

তুমি ভার্সিটিতে একা চলে যাও।
তুমি একা অফিসে চলে যাও।
তুমি একা চলে যাও বাসায়।।
তুমি বাবার বাড়ি চলে যাও।
তুমি একা ঢাকা চলে যাও।
তুমি একা একা চলে যাও বাড়ি।

এখানে প্রত্যেকটা কথাই বলা হইছে ভার্সিটি,অফিস বা কোন স্থানের যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে বলা হইছে।।।

আমার প্রশ্ন হইলো,,,,চলে যাও কেনায়া শব্দ।

 এখন দৈনন্দিন জিবনে অনেক কথায় হিসাব নিকাশ করে বলা যায় না,,,,এক্ষেত্রে এসব কথার দ্বারা কি কোন সমস্যা হয়???

প্রশ্ন: 3

কেউ যদি শর্তযুক্ত করে ডিভোর্স এর কথা উল্লেখ করে কিন্তু ডিভোর্স এর সংখ্যা উল্লেখ না করে তাহলে কয়টি ডিভোর্স পতিত হবে???
ডিভোর্সের সংখ্যা উল্লেখ না করলে শর্তযুক্ত ডিভোর্স  দিলে কয়টি পতিত হয়?

প্রশ্ন 4 :
কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে,
তুমি যদি তোমার মাকে কিছু বলো,তাহলে ডিভোর্স দিবো বা দিয়ে দিবো........এই শর্তে ভবিষ্যৎকালিন শব্দ দিবো আছে।। এক্ষেত্রে কি ডিভোর্স পতিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।

যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
(মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এর জন্য কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে এসব কথার দ্বারা কোন সমস্যা হয়না।

তবে এক্ষেত্রে "তুমি বাবার বাড়ি চলে যাও"
বাক্যটি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের উদ্দেশ্যে বললে তালাক পতিত হবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হবে। 

(০৪)
★শরীয়তের বিধান হল "তালাক দিয়ে দিবো","ছেড়ে দিয়ে দিবো", এ কথা গুলি বলার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
কারণ, ভবিষ্যতের দিকে তালাকের সম্বন্ধ করলে তালাক পতিত হয় না।
এগুলো ওয়াদা মূলক কথা মাত্র,এতে তালাক পতিত হয়না।
(রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৪; হেদায়াহ ১/২৮০।)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে ডিভোর্স পতিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
হুজুর প্রশ্ন ২ এর উত্তর টা তো দিলেন না। ওখানে প্রশ্ন ২ :
এই ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহের জন্য যিহারের কোন সমস্যা হবে??
by (564,870 points)
এই ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহের জন্য যিহার সংক্রান্ত কোন সমস্যা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...