ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একজন স্বামী শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পরে মনে মনে তার স্ত্রীকে নিয়ে বলল, তালাক দিলাম। এইভাবে সে মনে মনে ২ দিন স্ত্রীকে তালাক দেয়, কারন শয়তান তাকে এইসব ভাবায়।
তারপর একদিন স্বামী মুখে উচ্চারণ করে বলে, "প্রথমদিন থেকে শয়তান তালাক নিয়ে যা মনে মনে বলিয়েছে, যা ভাবিয়েছে, যা ওয়াসওয়াসা দিয়েছে, যা যা দুশ্চিন্তা দিয়েসে, তা স্ত্রীকে দিলাম"। এই বাক্য শেষ হওয়ার পরেই স্বামী আবার বলল "দিলাম, দিলাম"।
এইসব দ্বারা তালাক হবে না। কেননা প্রথমত ওয়াওয়াসাগ্রস্থ ব্যক্তির তালাকই পতিত হয়না। দ্বিতীয়ত এখানে তালাকের কোনো নিয়তই নাই।