বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা নামাযের চাবি; তাকবীর তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হারামকারী এবং সালাম তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হালালকারী।
(হাসান সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭৫) তিরমিজি ০৩)
★নামাজের মধ্যে নিয়ত পরিবর্তন করার দ্বারা নিয়ত পরিবর্তন হয়না।
অবশ্য যদি ২য় নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমাও বলে ফেলে,তাহলে সেক্ষেত্রে প্রথম নিয়ত শেষ হয়ে যাবে,এবং ২য় নিয়ত অনুযায়ী নামাজ শুরু হয়ে যাবে।
সুতরাং যদি শুধু নিয়ত পরিবর্তন করে,এবং ২য় নিয়ত অনুযায়ী তাকবিরে তাহরিমা না বলে,তাহলে প্রথমে যেই নামাজের নিয়িতে শুরু করেছিলো,সেটিই আদায় হয়ে যাবে।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 441):
"(قوله: ولاتبطل بنية القطع) وكذا بنية الانتقال إلى غيرها ط (قوله: ما لم يكبر بنية مغايرة) بأن يكبر ناوياً النفل بعد شروع الفرض وعكسه، أو الفائتة بعد الوقتية وعكسه، أو الاقتداء بعد الانفراد وعكسه. وأما إذا كبر بنية موافقة كأن نوى الظهر بعد ركعة الظهر من غير تلفظ بالنية فإن النية الأولى لاتبطل ويبني عليها. ولو بنى على الثانية فسدت الصلاة ط (قوله: الصوم) ونحوه الاعتكاف، ولكن الأولى عدم الاشتغال بغير ما هو فيه ط،
সারমর্মঃ-
যতক্ষন পর্যন্ত পরিবর্তন এর নিয়ত না করে,এই পদ্ধতিতে যে ফরজ শুরু করার পর নফলের নিয়ত করা তাকবিরে তাহরিমা বলা অবস্থায়,,,।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এভাবে নামাজ শুরুর পর নিয়ত পরিবর্তন করা যাবেনা।
তবে নিয়ত পরিবর্তন এর পাশাপাশি নতুন করে তাকবিরে তাহরিমা বললে নামাজ পরিবর্তন হয়ে যাবে,এক্ষেত্রে নতুন করে নামাজ শুরু হয়েছে বলে ধরা হবে।
আগের রাকাত গুলি বাতিল বলে গন্য হবে।
এটি নামাজ চলাকালীন যেকোনো রাকাতে যেকোনো রুকন অবস্থায় করতে পারে।
(০২)
এভাবে নিয়ত করা ঠিক নয়।
এক্ষেত্রে প্রথমবারের ফরজআ আদায় হয়নি, এই নিয়তে পরবর্তীতেও ফরজ আদায় হবেনা।
(০৩)
কাজা নামাজ জামাতে আদায় করার ক্ষেত্রে তাকবীর জোরে দিতে হবে।
(ইমাম এবং সকল মুক্তাদির নামাজ একই হতে হবে। ইমামের জোহর হলে সকল মুক্তাদীরও জোহর,ইমামের মাগরিব হলে সকল মুক্তাদীরও মাগরিব,এমন হতে হবে।)
রাতের নামাজ (মাগরিব, ইশা, ফজর) যদি দিনে জামাতে কাজা করা হয় তবে ইমাম সূরা উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করবেন। দিনের নামাজ রাতে জামাতে কাজা করা হলে তবে ইমাম সাহেব নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করবেন।
ومتی قضی الفوائت إن قضاھا بجماعة فإن کانت صلاة یجھر فیھا یجھر فیھا الإمام بالقراء ة (عالم گیری: ۱/۱۳۴، بیروت)
সারমর্মঃ-
এবং যখন ছুটে যাওয়া নামাজের কাজা জামায়াতের সহিত আদায় করে,সেক্ষেত্রে জোড়ে কিরাআত বিশিষ্ট নামাজের জামায়াতে ইমাম সাহেব জোড়ে কিরাআত পাঠ করবেন।