আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
295 views
in পবিত্রতা (Purity) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম,
(১) রান্নার কাটাকুটো করতে যেয়ে তো প্রায়ই হাতে, আঙ্গুলে কেটে যায়। সবসময় পানি ছেনার কারনে কাটা জায়গায় পাকে এবং কষানী বের হয়। এগুলো যে কয়দিন থাকে সে কয়দিনে তো কাপড়ে, গামছায় গা মুছলে গেলে কষানীর রস লেগে যায়,চুলেও লেগে যায় তাইনা? যদিও তা অল্প হলেও। এখন এক মাশা পরিমান কষানী তো না হয়ত, তাহলে নামাজ কি আদায় হয়ে যাবে? কতটুকু পরিমানে কষানী বের হলে নাপাক হিসেবে ধর্তব্য হবে? এটার পরিমান কিভাবে বুঝব?

(২) মুরগীর দমে মাছফু বা প্রবাহিত রক্ত নাপাক, নাছেরও কি একই নাপাক হিসেবে ধর্তব্য হবে?

(৩) মুরগির প্রবাহিত রক্ত নাপাক। এটা কি শুধু ছিটকে যতটুকু পড়বো ওই টুকুই? বাজারের লোকরা যখন মুরগী কেটে দেয় তখন ওই প্রবাহিত রক্তও কি মুরগীর গায়ে লেগে যায় কি? এটা আমি তো বুঝিনা।  এখন বাজার থেকে মুরগী কেটে আনার পরে ঘরে মুরগী ধোঁয়া হলে কি ধোয়ার সময়ে সেই রক্ত ছিটে গায়ে লাগলে কি নামাজ হবে? বা কাপড় নাপাক হবে? রক্ত খাওয়া মাকরুক সেটা তো জানি।মাংস ধোয়ার পরে খেতে তো সমস্যা নাই। কিন্তু ওই রক্তে কি দমে মাছফু থাকে? তাই কাটা ধোয়ার সময়ের ওই রক্ত লাগলে কি নাপাকী হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!  
এক দিরহাম তথা ৫ টাকার কয়েন সমপরিমাণ কষানী বের হলে নাপাক হিসেবে ধর্তব্য হবে।
এর কম হলে সেটি মাফ হলে বিবেচিত হবে,নামাজ হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ 

(০২)
মাছের রক্ত কোনোভাবেই নাপাক নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
বাজারের লোকেরা যখন মুরগী কেটে দেয় তখন ওই প্রবাহিত রক্ত মুরগীর গায়ে লেগে যায়না।

বাজার থেকে মুরগী কেটে আনার পরে ঘরে মুরগী ধোঁয়া হলে ধোয়ার সময়ে সেই রক্ত ছিটে গায়ে লাগলে নামাজ হবে।
এই রক্ত নাপাক নয়।

وَقَدْ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: لَوْ حُرِّمَ قَلِيلُ الدَّمِ لَتَتَبَّعَ النَّاسُ مَا فِي الْعُرُوقِ، وَلَقَدْ كُنَّا نَطْبُخُ اللَّحْمَ وَالْمَرَقَةُ تَعْلُوهَا الصُّفْرَةُ، وَلِذَلِكَ فُرِّقَ بَيْنَ قَلِيلِ الدَّمِ وَبَيْنَ قَلِيلِ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ لأَنَّ قَلِيلَ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ حَرَامٌ أَكْلُهَا وَشُرْبُهَا (الجامع الصحيح للسنن والمسانيد، كتاب الطهارة، الباب الخامس الأعيان الطاهرة، الدَّمُ الْبَاقِي فِي العُرُوقِ وَاللَّحْمِ بَعْدَ الذَّبْح-22/399
সারমর্মঃ-
জবাইয়ের পর রগে ও গোশতে লেগে থাকা রক্ত নাপাক নয়,আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ বলেন,এই অল্প হারাম রক্ত যদি হারাম হতো,তাহলে রগের মধ্যে যাহা আছে,লোকেরা তার পিছনে পড়ে যেতো,,,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (564,870 points)
عن الحسن: انه كان لا يرى الوضوء من الدم الا ما كان سائلا (مصنف ابن ابى شيبة1/127، رقم الحديث-1459)

لیس لہذہ الحیوانات دم سائل، فان ما یسیل منہا اذا شمس بیض، والدم اذا شمس یسود۔ (الہدایة مع ہامشہ: ۱/۳۷، کتاب الطہارة، باب الماء الذي یجوز بہ الوضوء وما لایجوز بہ، ط: رشیدیة، دیوبند)

by (44 points)
শাইখ, সচারাচর তো ৫ দিরহাম সমপরিমাণ বের হয়না। তাই কম বের হলে, তাহলে তো কাপড়ে লাগলে, গোসলের সময়ে চুলে পানিতে লাগলে কোন কিছুই পাক করা লাগবে না, তাইনা?
by (564,870 points)
উক্ত কষানী এক দিরহাম থেকে কম হলেও সেখানে পানি পড়ার পর তাহা ছড়িয়ে যাবে।
সেক্ষেত্রে উক্ত স্থান অবশ্যই পাক করতে হবে।
by (44 points)
শাইখ, এখন আমার হাতের কাটা যায়গা শুকিয়ে গেছে প্রায় দেড় সপ্তাহ পরে আলহামদুলিল্লাহ। এন্টিবায়োটিক খেলে আল্লাহর ইচ্ছায় আরো আগে শুকাতো, তবে আমার ব্রেস্টফিডিং বাচ্চা আছে তাই খাইনি।

এখন শাইখ, বলছি যে, আপনি তো বললেন কষানী ১ দিরহাম কম হলেও পানিতে লাগলে তা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, সেজন্য ধুতে হবে। তা গোসল টোসল করার সময় তো ধুয়েছি, কিন্তু তখন তো হাত কাটাই ছিল তাই ধুতে গেলে চিপড়াতে গেলে তো কষানী লাগতই।

তো, এখন তো আমার হাত সেরে গেছে,  কষানী তো নেই আলহামদুলিল্লাহ। জায়নামাজে, নামাজের হিজাবে কষানীর সামান্য ফোঁটা টোটা লাগছে কি'না জানিনা। যদিও বা হাত থেকেই ধরলাম ঘষা লেগে সামান্য কষানী লাগে, তাহলেও এখন নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজ, নামাজের হিজাব কি ধুতে হবে? নামাজের পাটি তো অনেক মোটা, তা কোথায় লাগছে না লাগছে তার তো কোনো চিহ্ন টিহ্ন থাকবেই না, তাহলে তা কিভাবে ধুব? ১ দিরহাম বা তার কম পরিমাণ লেগে থাকলে সালাত হয়ে যাবে সেইটা তো বলছিলেন শাইখ। আমি কিছু বুঝতে পারছিনা।
by (564,870 points)
জায়নামাজে, নামাজের হিজাবে কষানীর চিন্হ/গন্ধ পেলে সেটি পাক করবেন।
নতুবা নিছক সন্দেহের ভিত্তিতে পাক করতে হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...