আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
১)ফজর গোসলে তো প্রথমে শরীরের নিম্নাংশ ধুয়ে এরপর উপরাংশ তথা দুই বাহু মাথা পিঠ ইত্যাদি ধৌত করা হয়।এখন কারো যদি শরীরের নিম্নাংশের নাপাকী ধোয়ার পরে শরীরের উপরের অংশেও নাপাক লেগে থাকে। এক্ষেত্রে উপরের অংশ ধোয়ার সময় শরীর দিয়ে যে পানি গড়িয়ে যাবে এতে কি নিচের অংশ আবার নাপাক হয়ে যাবে?আবার ধুতে হবে?

যদি মাথা থেকে অনেক পরিমান পানি ঢালা হয় তাহলে কি অনেকবার পানি ঢালার দ্বারা নিচের অংশও পাক হয়ে যাবে?

২)শরীরে কোথাও নাপাকী লাগলে যেমন হাতের উপরে নাপাকী লাগলো। তা তিনবার ধুলে তো পানি পুরো হাত বেয়ে গড়িয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে কি ওই তিনবার ধৌত করার দ্বারা পুরো হাত পাক হয়ে যাবে?নাকি আবার হাতের নিচের অংশ ধুইতে হবে?

৩) নাপাক শরীরে যদি ১০-১৫ বার পানি ঢালা হয় অর্থাৎ অনেক পরিমান পানি ঢালা হয় কিন্তু হাত দিয়ে ডলে নাই। হাত দিয়ে না ডলে অনেক পরিমান পানি ঢালার দ্বারা কি শরীর পাক হবে?

৪)যদি সম্পূর্ন শরীর নাপাক হয়ে যায় তাহলে কিভাবে পাক হবে?কয়বার পানি বা কতটুকু পানি ঢালতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,140 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
এক্ষেত্রে উপরের অংশ ধোয়ার সময় শরীর দিয়ে যে পানি গড়িয়ে যাবে এতে নিচের অংশ আবার নাপাক হয়ে যাবে। আবার ধুতে হবে।
এক্ষেত্রে মাথা হতে একটু ভালোভাবে পানি ঢেলে দিলে নিচের অংশও পাক হয়ে যাবে।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা যদি মাথা থেকে অনেক পরিমান পানি ঢালা হয় তাহলে  অনেকবার পানি ঢালার দ্বারা নিচের অংশও পাক হয়ে যাবে।

(০২)
এক্ষেত্রে ওই তিনবার ধৌত করার দ্বারা পুরো হাত পাক হয়ে যাবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে শরীরের নাপাকি চলে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে শরীর পাক হবে।
নতুবা নয়।

(০৪)
আগে পুরো শরীরে পানি ঢেলে সব স্থান কচলিয়ে নিয়ে আবারো পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 196 views
0 votes
1 answer 192 views
...