আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
১। রাতে ১০০ আয়াত তিলাওয়াতের হাদীসের উপর আমল করার জন্য একটানা ১০০ তিলাওয়াত করা জরুরী নাকি রাতের মধ্যে ভেঙ্গে ভেঙে মোট ১০০আয়াত তিলাওয়াত করলেও হবে? এবং ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পরে সূর্যদয়ের পূর্বে তিলাওয়াত করলে কি উক্ত হাদীসের উপর আমল হবে?
২। অনেক সময় তাহাজ্জুদ শেষ করে দেখি ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে, এই সময় কি বিতির পড়া যাবে ? না গেলে এই বিতির কখন পড়বো?
৩। জুম্মাবার সুরা কাহাফ কি এক টানা পুরোটা পড়তে হবে, নাকি সকাল ৫০ দুপুরে ৫০ বিকেলে ১০ আয়াত এভাবে করে পড়লেও হবে?
৪। রিয়া থেকে বাঁচার জন্য আমল গোপন করার নিয়তে মিথ্যা বলা কি জায়েজ? যেমন কেউ কেউ খুচিয়ে খুচিয়ে জিজ্ঞাসা করে নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ি কিনা, নফল রোজা গুলো রাখি কিনা ইত্যাদী, সত্যি বললে আবার প্রসংশা করে যা নিজের মধ্যে আত্মতৃপ্তি ও অহংকার তৈরি করে। তাই যদি মিথ্যা বলি ফরজ ওয়াজিব গুলোই এখনো যথাযথ ভাবে আদায় করতে পারিনা, নফলের কথা আর কি বলবো।। এভাবে বললে কি মিথ্যা হবে?
৫। অযুতে কতটুকু পানি ব্যবহার করলে তা অপচয় হবেনা? তিন বার ধোয়ার পরে মনে হয় সবজায়গায় ঠিকমত পানি পৌছায়নি, এক্ষেত্রে করনীয় কি?
অনুগ্রহ করে এতগুলো প্রশ্ন দেখে বিরক্ত হবেন না!  আল্লাহর কসম একটি প্রশ্নও অহেতুক কৌতুল থেকে নয়।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
রাতের মধ্যে ভেঙ্গে ভেঙে মোট ১০০আয়াত তিলাওয়াত করলেও হবে।

তব্র ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পরে সূর্যোদয়ের পূর্বে তিলাওয়াত করলে উক্ত হাদীসের উপর আমল হবেনা।

(০২)
ফজরের ওয়াক্ত আসার পর বিতর আদায় করবেন।
এক্ষেত্রে এটি কাজা হিসেবে আদায় হবে।

(০৩)
এক টানা পুরোটা পড়া আবশ্যক নয়। সকাল ৫০ দুপুরে ৫০ বিকেলে ১০ আয়াত এভাবে করে পড়লেও হবে।

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বললে মিথ্যা হবেনা।
এটি তাওরিয়াহ,নিয়ত শুদ্ধ রেখে এমনটি বলা যাবে।

(০৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَرَّ بِسَعْدٍ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ فَقَالَ ” مَا هَذَا السَّرَفُ ” . فَقَالَ أَفِي الْوُضُوءِ إِسْرَافٌ قَالَ ” نَعَمْ وَإِنْ كُنْتَ عَلَى نَهَرٍ جَارٍ ”

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সা’দ (রাঃ)-কে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করছিলেন। তিনি বলেনঃ এই অপচয় কেন? সা’দ(রাঃ) বলেন, উযূতেও কি অপচয় আছে? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ যদিও তুমি প্রবহমান নদীতে থাকো। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অযুতে প্রত্যেক অঙ্গ ধোয়ার ক্ষেত্রে তিনবারের বেশি পানি ব্যবহার করলে অপচয় হবে।
এক্ষেত্রে তিনবার ধোয়ার পরেও যদি আপনি নিশ্চিত হোন যে এখনো পুরোপুরি পানি পৌছেনি,সেক্ষেত্রে ওযর বশত হওয়ায় এটি অপচয়ের শামিল হবেনা।

বিনা ওযরে তিনবারের বেশি পানি ব্যবহার করলে অপচয় হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...