বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
রাতের মধ্যে ভেঙ্গে ভেঙে মোট ১০০আয়াত তিলাওয়াত করলেও হবে।
তব্র ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পরে সূর্যোদয়ের পূর্বে তিলাওয়াত করলে উক্ত হাদীসের উপর আমল হবেনা।
(০২)
ফজরের ওয়াক্ত আসার পর বিতর আদায় করবেন।
এক্ষেত্রে এটি কাজা হিসেবে আদায় হবে।
(০৩)
এক টানা পুরোটা পড়া আবশ্যক নয়। সকাল ৫০ দুপুরে ৫০ বিকেলে ১০ আয়াত এভাবে করে পড়লেও হবে।
(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বললে মিথ্যা হবেনা।
এটি তাওরিয়াহ,নিয়ত শুদ্ধ রেখে এমনটি বলা যাবে।
(০৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَرَّ بِسَعْدٍ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ فَقَالَ ” مَا هَذَا السَّرَفُ ” . فَقَالَ أَفِي الْوُضُوءِ إِسْرَافٌ قَالَ ” نَعَمْ وَإِنْ كُنْتَ عَلَى نَهَرٍ جَارٍ ”
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সা’দ (রাঃ)-কে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করছিলেন। তিনি বলেনঃ এই অপচয় কেন? সা’দ(রাঃ) বলেন, উযূতেও কি অপচয় আছে? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ যদিও তুমি প্রবহমান নদীতে থাকো। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অযুতে প্রত্যেক অঙ্গ ধোয়ার ক্ষেত্রে তিনবারের বেশি পানি ব্যবহার করলে অপচয় হবে।
এক্ষেত্রে তিনবার ধোয়ার পরেও যদি আপনি নিশ্চিত হোন যে এখনো পুরোপুরি পানি পৌছেনি,সেক্ষেত্রে ওযর বশত হওয়ায় এটি অপচয়ের শামিল হবেনা।
বিনা ওযরে তিনবারের বেশি পানি ব্যবহার করলে অপচয় হবে।