وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে পাত্রী দেখার সময় পাত্র পাত্রীকে বা পাত্রী পাত্রিকে হাদীয়া দেওয়া জায়েয আছে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৮/২৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ مَرْوَانَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَوَاءٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَهَادَوْا فَإِنَّ الْهَدِيَّةَ تُذْهِبُ وَحَرَ الصَّدْرِ وَلاَ تَحْقِرَنَّ جَارَةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ شِقَّ فِرْسِنِ شَاةٍ "
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা একজন অন্যজনকে উপহার দাও। উপহার মনের ময়লা দূর করে। এক প্রতিবেশিনী অপর প্রতিবেশিনীকে বকরীর পায়ের এক টুকরা ক্ষুর হলেও তা উপহার দিতে যেন অবহেলা না করে।
(তিরিমিজি ২১৩০)
وفي المحیط: الرشوۃ علی أنواع: نوع منہا أن یہدي الرجل إلی رجل مالاً لابتغاء التودد والتحبب، وہٰذا حلال من جانب المہدي والمہدیٰ إلیہ، قلت: وفي الباب قولہ علیہ السلام: ’’تہادوا تحابوا‘‘۔ (رواہ البخاري في الأدب المفرد، والنسائي في الکنی وأبو یعلی في مسندہ) (تفسیر مظہري ۳؍۱۴۵ زکریا)
ঘুষ এর অনেক প্রকার আছে।
তার মধ্যে একটি হলো একজন ব্যাক্তি অপর ব্যাক্তির কাছে মুহাব্বত এর জন্য সম্পদ/মাল দিবে।
এটি উভয়ের পক্ষ থেকেই জায়েজ আছে।
قلت: ومن ذٰلک ما یبعثہ إلیہا قبل الزفاف في الأعیاد والمواسم من نحو ثیاب وحلي۔ (شامي ۳؍۱۵۳ کراچی)
যার সারমর্ম হলো কনেকে দেখার পর উঠে দেওয়ার আগে হাদিয়া দেওয়া জায়েয আছে।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত টাকা হাদিয়া।
এটি গ্রহন করা ও খাওয়া জায়েয আছে।
এক্ষেত্রে পাত্রের ইনকাম হারাম জানলে সেটি খাওয়া যাবেনা।
গরিব মিসকিনকে দান করতে হবে।
শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে পাত্রের ইনকামকে হারাম বলার সুযোগ নেই।
(০২)
ট্যাপ চালু করে ট্যাপের পানিতে সরাসরি ভালোভাবে কচলিয়ে ধোয়া হলে, এক্ষেত্রে নাপাকি চলে যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হলে এক বার ধোয়াই যথেষ্ট।
(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।