আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রুগি শুধু সন্দেহ হয়।
১/ স্ত্রী স্বামীকে বলছে বিয়ের আগে কখনো সম্পর্ক থাকাকালীন কি বলছিলা "" বিয়ে হলেও তালাক না হলেও তালাক"?স্বামী বলে না,কখনো বলি নি..
আর বিয়ের আগে হারাম সম্পর্ক ছিলো, এখন হলো বৈধ।ঐ কথা "বলে থাকলেও "তালাক হবে না।
এই যে এখানে বললো "" বলে থাকলেও" তালাক হবে না।এতে কি তালাক হয়ে যাবে?এটা কি কোন স্বীকারোক্তির মাঝে পরে?কোথায় যেন পড়েছিলাম,মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলেও তালাক হয়ে যাবে।মানে যদি না দিয়াও বলে দিছে।
প্লিজ আমাকে বলুন "" বিয়ের আগে বলে থাকলেও তালাক হবে না"" স্বামীর এই কথায় কি কোন সমস্যা হলো কি না?

২/ স্ত্রীর এমন প্রশ্ন শুনে স্বামী যদি বলে "ধরো তখন এমন কথা বলছি" তাতে কি হইছে?ঐসব কোন সমস্যা না।এ কথয় কি তালাক হবে?এই যে বললো "ধরো এমন কথা বলছি"। এগুলাতে কোন কোন নিয়ত ছিলো না। এখন তার এ কথা কি স্বীকারোক্তিতে পরে গেলো?

৩/আবার স্বামি যদি রেগে বলে, আরে এমন কিছু বলি নাই বিয়ের আগে,বললেও হবে না" বললাম তো।এতে কি বিয়েতে সমস্যা হবে?

৪/কথাচ্ছলে যদি জামাই বলে" আমি তোমাকে তালাক দিয়ে দিলাম"এরপর আর একসাথে থাকতে হলে এমন নিয়ম পালন করতে হবে।এমন যদি কথা প্রসঙ্গে বলে তাহলে কি তালাক হবে?

৫/ অথবা স্বামী বলে এমনি কোন কিছু বুঝানোর জন্য বলছে,তোমাকে বুঝানোর জন্য বলছি "ধরো তোমাকে ছেড়ে দিলাম" স্ত্রী বললো,হ্যা। এতে কি সমস্যা হবে?

৬/তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি মানে কি?জোর করে বা কোন কিছু থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যা করে এমন বললে তালাক নয়ে যাবে,এটা বুঝানো হইছে?তাহলে উপরের "ধরো দিলাম"বা "" এমন কথা আগে বললেও হবে না" এসব কথায় তালাক না হয়ে থাকলে কেন তালাক হবে না?এটাও এক ধরনের স্বীকারোক্তি

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)স্ত্রী স্বামীকে বলছে বিয়ের আগে কখনো সম্পর্ক থাকাকালীন কি বলছিলা "" বিয়ে হলেও তালাক না হলেও তালাক"? স্বামী বলে না,কখনো বলি নি..
আর বিয়ের আগে হারাম সম্পর্ক ছিলো, এখন হলো বৈধ।ঐ কথা "বলে থাকলেও "তালাক হবে না।
এই যে এখানে বললো "" বলে থাকলেও" তালাক হবে না।এতেকরে তালাক হবে না।

(২) স্ত্রীর এমন প্রশ্ন শুনে স্বামী যদি বলে "ধরো তখন এমন কথা বলছি" তাতে কি হইছে?ঐসব কোন সমস্যা না।
এ কথায়ও  তালাক হবে না। এই যে বললো "ধরো এমন কথা বলছি"। এগুলাতে কোন কোন নিয়ত ছিলো না। এখন তার এ কথা দ্বারা তালাক হবে না।

(৩) স্বামি যদি রেগে বলে, আরে এমন কিছু বলি নাই বিয়ের আগে,বললেও হবে না" বললাম তো।

এতেও বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪) কথাচ্ছলে যদি জামাই বলে" আমি তোমাকে তালাক দিয়ে দিলাম"এরপর আর একসাথে থাকতে হলে এমন নিয়ম পালন করতে হবে।

এমন যদি কথা প্রসঙ্গে বলে তাহলে তালাক হবে কি না? সেটা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা রয়েছে।স্বামী কি জন্য কোন নিয়তে বলছে? সেটা স্বামী নিজে কোনো মুফতি সাহেবের কাছে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জেনে নিবেন।

(৫)অথবা স্বামী বলে এমনি কোন কিছু বুঝানোর জন্য বলছে,তোমাকে বুঝানোর জন্য বলছি "ধরো তোমাকে ছেড়ে দিলাম" স্ত্রী বললো,হ্যা। এতেও সমস্যা হবে না।কেননা এখানে বুঝানোর স্বার্থে বলছে।

(৬)তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি বলতে কিছু নাই।মিথ্যা স্বীকারোক্তির দ্বারা তালাক হয় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...