ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
وهي واجبة على الحر المسلم المالك لمقدار النصاب فاضلا عن حوائجه الأصلية كذا في الاختيار شرح المختار، ولا يعتبر فيه وصف النماء ويتعلق بهذا النصاب وجوب الأضحية، ووجوب نفقة الأقارب هكذا في فتاوى قاضي خان.
ভাবার্থ-নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া জরুরী নয়।শুধু তাই নয়, বরং এ পরিমাণ মালের মালিকের উপর কোরবানী ও নিকটাত্মীয়দের ব্যয়ভার গ্রহণ ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1811
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মালের মালিকের উপর ফিতরা ওয়াজিব। এই ব্যক্তির কোনো সন্তান ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পূর্বে জন্ম নিলে তার ফিতরাও তার পিতাকে আদায় করতে হবে। তবে যেই ব্যক্তির উপর ফিতরা ওয়াজিব নয়, সেই ব্যক্তির কোনো সন্তান ঈদের দিন জন্ম নিলে তার পিতার উপর তার ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব হবে না।
(২)
সুদী ব্যাংক সমূহে একাউন্ট খুলে টাকা গচ্ছিত রাখা যাবে কি না?
এ সম্পর্কে বলা যায় যে,বর্তমান সময়ে বাসায় টাকা-পয়সা রাখা অনেকটা অনিরাপদ।অন্যদিকে সুদ হারাম,এবং সুদী কাজে সাহায্য করাও হারাম।
তাই বলা যায় যে,এসমস্ত ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখা যাবে না।কেননা তখন ব্যাংক কর্তৃত আইনগতভাবে উক্ত টাকা সুদী কারবারে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও ব্যাংক চাহিবামাত্র গ্রাহককে উক্ত টাকা দিতে বাধ্য থাকে।এজন্যই উলামায়ে কেরাম পরামর্শ দেন যে,উক্ত ব্যাংক সমূহে কারেন্ট একাউন্ট খুলে টাকা রাখতে হবে।কেননা কারেন্ট একাউন্টের টাকা আইনগতভাবে ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেনা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/753
(৩)
কেউ যদি দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজে প্রথম রাকাতে ভুলে একটা সেজদা করে উঠে যায় অথবা দ্বিতীয় রাকাতে যদি একটি সেজদা করে বৈঠকে বসে যায়,তাহলে তাকে অবশিষ্ট সিজদা আবার দিতে হবে।এবং শেষে সাহু সিজদা দিতে হবে। নতুবা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৪)
তারাবিহর নামাযে দুই রা'কাত পর বৈঠক না করে যদি চার রাকাত পড়া হয়, এবং শেষে সাহু সিজদা দেওয়া হয়, তাহলে দুই রাকাতই গণ্য হবে। কেননা তারাবিহর নামায দুই রাকাত হিসেবে প্রমাণিত।আর প্রত্যেক দুই রাকাতি নামাযের শেষ বৈঠক ফরয।
(৩)
আপনার প্রত্যেকটি প্রশ্নতে রাগ অভিমানের চিহ্ন ফুটে উঠছে! এর কি বাস্তব কোনো কারণ আছে? না কি এমনিতেই! যাইহোক, মুহতারাম!
মাদরাসার মুহতামীম সাহেব, গরীব ছাত্রদের পক্ষ থেকে উকিল বা প্রতিনিধি হিসেবে যাকাত গ্রহণ করেন। ছাত্ররা ভর্তি ফরমের একটি কলামে মুহতামীম সাহেবকে উকিল নিযুক্ত করতঃ দস্তখত করে থাকে।
(৪)
বাবরি চুল রাখলে কোনো অংশকে কর্তন করা যাবে না।
(৫)
শুধু স্বর্ণ থাকলে স্বর্ণের নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।আর শুধু রূপা থাকলে রূপার নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।টাকা থাকলে রূপার নেসাব সমপরিমাণ হলে যাকাত আসবে।
কিছু স্বর্ণ এবং কিছু রূপা থাকলে স্বর্ণ এবং রূপাকে মিলিত করে উভয়টির মূল্য যদি রূপার নেসাব সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলে যাকাত আসবে।
(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/২৭৭)
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৬/৮৭)
ویضم الذھب إلی الفضة وعکسہ بجامع الثمنیة قیمة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الزکاة، باب زکاة المال، ۳:۲۳۴، ط: مکتبة زکریا دیوبند)، أما العروض فتضم قیمتھا إلی الذھب أو الفضة ویکمل بھا نصاب کل منھما، قال ابن قدامة: لا نعلم في ذلک خلافاً، وفي ھذا المعنی العملة النقدیة المتداولة (الموسوعة الفقہیة، ۲۳: ۲۶۸)۔
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1203
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বর্ণ বা রূপা যে কোনো একটির নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত চলে আসবে।যেহেতু বর্তমানে রূপার বাজারমূল্য নিতান্তই কম,তাই রূপার নেসাব পূর্ণ হওয়াই স্বাভাবিক সুতরাং মূল্য অনুপাতে রূপাকেই মানদন্ড সাব্যস্ত করা হয়ে থাকে।
(৬)
কোন যুবসমাজ মাসজিদে ইফতারির আয়োজন করল এখন যদি সেখানে কোনো হিন্দু ছেলে নিজ ইচ্ছায় টাকা দেয়, তাহলে তার এই টাকা ইফতারিতে খরচ করা যাবে।
(৭)
মাকরুহ দুই প্রকার,(ক) মাকরুহে তাহরিমী (খ) মাকরুহে তানযিহি।
মাকরুহে তানযিহিতে লিপ্ত হলে সাধারণত গোনাহ হওয়ার কথা না। তবে নিয়মিত করলে সেটা মাকরুহে তাহরীমিতে পতিত হতে পারে।সেক্ষেত্রে মাকরুহে তাহরীমির গোনাহ হবে।
মাকরুহে তাহরীমিতে লিপ্ত হলে, গোনাহ হবে,তবে হারামের চেয়ে কম গোনাহ হবে।