আসসালামু আলাইকুম।আমার স্বামী বেসরকারি একটি হাসপাতাল এ চাকরি করেন,,বেতন ১৪হাজার টাকা।আমার শশুড় অবসরপ্রাপ্ত আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।অবসর এর পর উনি ফার্মেসি চালাতেন।সম্প্রতি উনার ক্যান্সার ধরা পরায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং উনি বলতে গেলে শয্যাশায়ী।সম্পদ বলতে একটি বাসা এবং বাড়ির কিছু জমি।আমার প্রশ্ন হলো উনি পেনশান এর টাকা পাবেন প্রায় ১৪লক্ষ,,এই টাকা উনি কোনো ব্যবসায় লাগাতে পারবেন না কারণ সেই সামর্থ্য নেই।আমার স্বামীর ও অল্প বেতন,,এই টাকা নিয়ে আমাদের ঢাকায় থাকাই কষ্টসাধ্য।
১.এখন আমার শশুড় পেনশান এর যে টাকা পাবেন সেটা ইসলামি ব্যাংক রাখা কি জায়েজ হবে?আর সেখান থেকে যে মুনাফা পাবে প্রতিমাসে সেটা কি গ্রহণ করা জায়েজ হবে?(ইউটিউব এ প্রায় অনেক আলেমরা বলেছেন অন্য কোনো উপায় না থাকলে এই মুনাফা জায়েজ,,,তাহলে আমাদের জন্য জায়েজ হবে কি?)
২.বছর শেষে ১৪লাখে প্রায় ৩০-৩৫হাজার টাকা যাকাত আসবে,সেটা কি এই ১৪লাখ থেকেই দিতে হবে?কারণ এছাড়া আলাদা কোনো গচ্ছিত সম্পদ নেই।
৩.আমার শশুড় যদি মুনাফা টা গ্রহণ করেন এবং পারিবারিক ব্যয় এ ব্যবহার করেন তাহলে আমার খাবার টাও হালাল হবে না,যদিও আমার স্বামীর আয় হালাল,,মানে শশুড়বাড়ির খাবার টা হালাল-হারাম মিক্সড হবে,এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?
৪.আমার বাবা সরকারি চাকরি করেন(ঘুষ খান না),ভাই মুদি দোকানদার এবং বাকি পণ্যের পাশাপাশি সিগারেট ও বিক্রি করেন,,এক্ষেত্রে বাবার বাড়ির খাবার কি হালাল?
৫.আমার বাবা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাসা করেছেন এবং প্রতিমাসে সুদ দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংক এ এবং পেনশান পেলে তারপর পুরো লোন পরিশোধ করবেন,,এক্ষেত্রে আমার কি কোনো করনীয় আছে?
৬.আমার এক আত্বীয় ব্যাংক ৩০লক্ষটাকা ব্যাংকে রেখেছেন এবং সেটা থেকে যে মুনাফা পান সেটা দিয়ে চলেন এবং কয়েক হাজার টাকা দোকান ভাড়া পান,,ইদে উনি আমাকে ১০০০টাকা সালামী দিয়েছেন,আমি কি ধরে নিব উনার হালাল টাকা থেকে দিয়েছেন নাকি এই টাকা সাদকাহ করে দিব?