আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমার স্বামী বেসরকারি একটি হাসপাতাল এ চাকরি করেন,,বেতন ১৪হাজার টাকা।আমার শশুড় অবসরপ্রাপ্ত আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।অবসর এর পর উনি ফার্মেসি চালাতেন।সম্প্রতি উনার ক্যান্সার ধরা পরায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং উনি বলতে গেলে শয্যাশায়ী।সম্পদ বলতে একটি বাসা এবং বাড়ির কিছু জমি।আমার প্রশ্ন হলো উনি পেনশান এর টাকা পাবেন প্রায় ১৪লক্ষ,,এই টাকা উনি কোনো ব্যবসায় লাগাতে পারবেন না কারণ সেই সামর্থ্য নেই।আমার স্বামীর ও অল্প বেতন,,এই টাকা নিয়ে আমাদের ঢাকায় থাকাই কষ্টসাধ্য।


১.এখন আমার শশুড় পেনশান এর যে টাকা পাবেন সেটা ইসলামি ব্যাংক রাখা কি জায়েজ হবে?আর সেখান থেকে যে মুনাফা পাবে প্রতিমাসে সেটা কি গ্রহণ করা জায়েজ হবে?(ইউটিউব এ প্রায় অনেক আলেমরা বলেছেন অন্য কোনো উপায় না থাকলে এই মুনাফা জায়েজ,,,তাহলে আমাদের জন্য জায়েজ হবে কি?)


২.বছর শেষে ১৪লাখে প্রায় ৩০-৩৫হাজার টাকা যাকাত আসবে,সেটা কি এই ১৪লাখ থেকেই দিতে হবে?কারণ এছাড়া আলাদা কোনো গচ্ছিত সম্পদ নেই।

৩.আমার শশুড় যদি মুনাফা টা গ্রহণ করেন এবং পারিবারিক ব্যয় এ ব্যবহার করেন তাহলে আমার খাবার টাও হালাল হবে না,যদিও আমার স্বামীর আয় হালাল,,মানে শশুড়বাড়ির খাবার টা হালাল-হারাম মিক্সড হবে,এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?


৪.আমার বাবা সরকারি চাকরি করেন(ঘুষ খান না),ভাই মুদি দোকানদার এবং বাকি পণ্যের পাশাপাশি সিগারেট ও বিক্রি করেন,,এক্ষেত্রে বাবার বাড়ির খাবার কি হালাল?

৫.আমার বাবা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাসা করেছেন এবং প্রতিমাসে সুদ দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংক এ এবং পেনশান পেলে তারপর পুরো লোন পরিশোধ করবেন,,এক্ষেত্রে আমার কি কোনো করনীয় আছে?

৬.আমার এক আত্বীয় ব্যাংক ৩০লক্ষটাকা ব্যাংকে রেখেছেন এবং সেটা থেকে যে মুনাফা পান সেটা দিয়ে চলেন এবং কয়েক হাজার টাকা দোকান ভাড়া পান,,ইদে উনি আমাকে ১০০০টাকা সালামী দিয়েছেন,আমি কি ধরে নিব উনার হালাল টাকা থেকে দিয়েছেন নাকি এই টাকা সাদকাহ করে দিব?

1 Answer

0 votes
by (583,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনার শশুড়ের ঐ ১৪ লক্ষ টাকা সুদে লাগানো জায়েয হবে না।

(২)
বছর শেষে ১৪ লাখে যেই টাকা যাকাত আসবে, যদি ঐ ১৪ লক্ষ টাকা ব্যতিত আর কোনো টাকা না থাকে, তাহলে এই ১৪লক্ষ টাকা থেকেই যাকাত দিতে হবে।

(৩)
আপনার ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর। সুতরাং যেই ফান্ড থেকেই আসুক না কেন, আপনার জন্য প্রয়োজন পর্যন্ত গ্রহণ করা,খাবার দাবার করা জায়েযই হবে।

(৪)
সিগারেট বিক্রি করা জায়েয।সিগারেট ভক্ষণ করা মাকরুহ। সুতরাং আপনার বাবার বাড়ির খাবার আপনার জন্য হারাম হবে না।

(৫)
আপনার বাবাকে তারাতারি এই ঋণ ও সুদের অভিশাপ  থেকে মুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিন। বাবাকে তাগিদ দিন।এবং ভবিষ্যতে যাতে এরকম সুদে না জড়ান, সেজন্য তাকে মায়াবী ভাবে নসিহত করুন।

(৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

উত্তম হল, সতর্কতামূলক অবস্থান গ্রহণ করে ঐ টাকা সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...