আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
109 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
১)কেউ যদি ফতুয়া চায়  মুফতির কাছে অথবা কোন বড় শায়েখের কাছে  আর যিনি ফতুয়া দেবেন তিনি যদি ভূল ফতুয়া দেন । আর যিনি ফতুয়া গ্রহন করলেন উনি ভূল ফতুয়ার উপর আমল করলেন। এর দায়ভার কার উপর পড়বে?
২) প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন ঠিকমত না শুনে তাড়াহুড়ো করে যদি ফতুয়া দেয় আর প্রশ্নকর্তা সে অনুযায়ী আমল করে তারজন্য কে দায়ী হবে ?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তে ভুল ফতোয়া প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।
অজ্ঞতাবশত ফতোয়ারও কোনো সুযোগ নেই। 
,
কারন এই বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।      
,
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৫৭ নং হাদীসে এসেছে 

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ»

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে। 
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪২।
,
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُه عَلى مَنْ أَفْتَاهُ وَمَنْ أَشَارَ عَلى أَخِيهِ بِأَمْرٍ يَعْلَمُ أَنَّ الرُّشْدَ فِي غَيْرِه فَقَدْ خَانَه

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ভুল ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ- বিনা ‘ইলমে (বিদ্যায়) ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে এর গুনাহ তার ওপর বর্তাবে যে তাকে ফাতাওয়া দিয়েছে। আর যে ব্যক্তি তার কোন ভাইকে (অপরকে) এমন কোন কাজের পরামর্শ দিয়েছে, যা কল্যাণ হবে না বলে সে জানে, সে নিশ্চয়ই তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, সহীহুল জামি‘ ৬০৬৮। ইমাম দারিমীও এটিকে (হাদীস নং ১৫৯) হাসান বলে উল্লেখ করেছেন।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এর দায়ভার ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।

(০২)
প্রশ্নটি স্পষ্ট থাকা সত্ত্বেও যদি ফতোয়া প্রদানকারী পুরো প্রশ্ন বা আংশিক প্রশ্ন না পড়েই ফতোয়া প্রদান করে,এক্ষেত্রে সেই ফতোয়া যদি ভুল হয়,আর প্রশ্নকর্তা সে অনুযায়ী আমল করে,
তাহলে এর দায়ভার ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।

★তবে বিষয়টি প্রশ্নকর্তার নিকটে এলোমেলো মনে হলে  সে ফতোয়া অনুযায়ী আমল করার পূর্বে অন্য যেকোনো ভাবে (কমেন্টের মাধ্যমে,বা মেসেজের মাধ্যমে বা মুফতী সাহেবকে ফোন দিয়ে) স্পষ্ট করার চেষ্টা করবে।
সেরকম সুযোগ না হলে প্রয়োজনে অন্য মুফতী সাহেবের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...