ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুসলিম অমুসলিম যে কারো কাছ থেকে জাগতিক শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে। অমুসলিমের কাছ থেকে বৈধ হালাল টাকা গ্রহণ করতেও বাধা নাই। তবে সুদ বা মদ বিক্রয় বাবৎ অর্জিত টাকা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
অমুসলিম দেশে বসবাস, স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী হোক, যখন এ এমন আলোচনা আসে, তখন তাদের ধর্মীয় নিয়ম নীতি বা তাদের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন আসে?
তাছাড়া হাদীসে এসেছে,
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)
হযরত জারীর ইব্ন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﺍﻧﺎ ﺑﺮﻳﺊ ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻳﻘﻴﻢ ﺑﻴﻦ ﺍﻇﻬﺮ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ! ﻟﻢ؟ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺮﺉ ﺍﻱ ﻧﺎﺭﻫﻤﺎ -
“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”।
বিস্তারিত জানতে.......
মুফতী তাকী উসমানী রাহ কর্তৃক লিখিত-ফেকহী মাক্বালাত (১/২৪৩) দেখা যেতে পারে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি অন্তরে কাফিরদের দ্বীনের দাওয়াত প্রদানের নিয়ত রাখেন, তাহলে অমুসলিম দেশে যেতে পারবেন।এমনকি স্থায়ীভাবে থাকার বন্দোবস্তও করতে পারবেন। কেননা অনেক সাহাবা তাবেইন অমুসলিমদের মধ্যে এজন্য এসে বসবাস শুরু করেছিলেন,যেন তাদের নিকট ইসলামের বাণী পৌছানো যায়।
(১) অমুসলিম দেশে মেডিকেলে পড়ার জন্য যাওয়া যাবে, যদি অন্তরে দাওয়াতের নিয়ত থাকে।তবে আপনি ইতালির পরিবর্তে পর্তুগালের কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবেন।
(২)দূর দেশে অপরিচিত শহরে সর্বদা মাহরামের সাথে থাকাই উচিৎ। তবে যদি পরিবেশ বেশ নিরাপদ হয়, এবং কেউ একজন ঘরের চার দেয়ালের ভিতর আবদ্ধ থাকে, তাহলে মাহরাম ব্যতিত এমতাবস্থায় দূরের কোথাকার অবস্থান নাজায়েয হবে না।
(৩) আপনি পর্তুগালে স্বামীর সাথে বসবাস করে মেডিকেল কলেজে পড়ার চেষ্টা করবেন।
(৪)ছাড় দেয়া মনমানসিকতা তৈরী করুন।একে অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়ার চেষ্টা করবেন।
(৫) কিছুদিন পর পর ইমান আমল কমে যায়,এত্থেকে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে কোনো আলেম/মসজিদের ইমাম মুওয়াজ্জিন বা দ্বীনদার বন্ধুর শরণাপন্ন হোন।এবং তাদের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপন করার আপ্রাণ চেষ্টা করুন।