জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
তিন শব্দের নাম রাখা যাবে।
এ ব্যপারে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কোন নির্দেশনা খুজে পাইনি।
(০২)
أَمَة ج إِمَاء [أمو]
[আমাহ,আমাতুন] শব্দের অর্থঃ-
দাসী
বাঁদী
বান্দী
ক্রীতদাসী
চাকরানী।
★আমাতুল্লাহ শব্দের অর্থঃ- আল্লাহর দাসী। আলাহর বান্দী।
أَمِنَ [س] (أَمْن ، أَمَان)
[আমিনা,আমেনা] শব্দের অর্থঃ-
নিরাপদ থাকা
নিরাপদ হওয়া
নিশ্চিন্ত থাকা।
عَائِش [عيش]
['আ'ইশ,আইশাহ] শব্দের অর্থঃ-
জীবিত
সুখী জীবন যাপনকারী
সচ্ছল
★পুরো নাম আরবিতে
أمةالله آمنة عائشة
مُؤْمِن ج مُؤْمِنُون [أمن]
[মু'মিন,মোমেন] শব্দের অর্থঃ-
বিশ্বাসী
মুমিন
ঈমানদার
আস্থাশীল
আস্থাবান
মুসলিম
জুয়াইরিয়া একটি আরবী শব্দ। এর অর্থ হল, ছোট বালিকা। তাছাড়া এটি ছিল একজন উম্মাহাতুল মুমিনীনের নাম। রাসূল (সা.) স্বয়ং তাঁর এ নাম রেখেছিলেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَن ابنِ عبَّاسٍ قَالَ: كَانَتْ جُوَيْرِيَةُ اسْمُهَا بَرَّةُ فَحَوَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمَهَا جُوَيْرِيَةَ وَكَانَ يَكْرَهُ أَنْ يُقَالَ: خَرَجَ مِنْ عِنْدِ برة. رَوَاهُ مُسلم
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিবি ’’জুওয়াইরিয়াহ্’’-এর নাম ছিল ’’বাররাহ্’’। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর নাম পরিবর্তন করে ’’জুওয়াইরিয়াহ্’’ রেখেছিলেন। এজন্য যে, কেউ বলবে, আপনি ’’বাররাহ্’’ কথাটি তিনি খারাপ মনে করতেন।
(মুসলিম ১৬-(২১৪০), সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২১১, আল মুসতাদরাক ৬৭৮৩, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৮৯৪, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১৯৮১।)
★পুরো নাম আরবিতে
أمة الله مؤمنة جويرية
(০৩)
আকীকার জন্য ভেড়া দেয়া যাবে।
যেই প্রানী দিয়ে কুরবানী জায়েজ,সেই ধরনের প্রানী দিয়ে আকীকাও জায়েজ।
لَا يُجْزِئُ فِي العَقِيقَةِ مِنَ الشَّاةِ إِلَّا مَا يُجْزِئُ فِي الأُضْحِيَّةِ
যে ধরনের বকরী কুরবানীর জন্য বৈধ সেই ধরনের বকরী আকীকার জন্যও বৈধ। [জামে তিরমিজী, বর্ণনা নং-১৫২২]
আকীকার ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও আকীকা করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে।
দাতঁ ছাড়া ছাগল দিয়ে আকীকা করা যাবেনা।
কেননা এর বয়স এক বছরের কম।
এক বছরের কম কোন ছাগল দিয়ে আকীকা দেয়া যাবেনা।
(০৪)
আকীকার গোশত পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেই খেতে পারবে।
হযরত আয়েশা রা. বলেন, (আকীকার গোশত) নিজে খাবে, অন্যদের খাওয়াবে এবং সদকা করবে।
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১২/৩২৭, হাদীস : ২৪৭৪৩, ২৪৭৩৭; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/৩২৯, ৩৩০, ৩৩১)
قال الموفق فى المغنى: وسبيلها فى الاكل والهدية والصدقة سبيل الاضحية (اعلاء السنن -17/127)
সারমর্মঃ-
আকিকার গোশত খাওয়া,হাদিয়া ও সদকাহ করার ক্ষেত্রে কুরবানীর ন্যায় একই বিধান প্রযোজ্য ।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরবানীর গোশতের ন্যায় আকীকার গোশত তিন ভাগ করা মুস্তাহাব।
এটি শুধু মুস্তাহাব বিধান, ওয়াজিব নয়
সুতরাং তিন ভাগ করে নিজের, আত্মীয় ও গরীবদের দেয়া। বা নিজেই পুরোটা রেখে দেয়া। সবই জায়েজ।