আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আমাদের দেশে অধিকাংশ মসজিদে ইফতার ও সূর্যাস্ত টাইম আলাদাভাবে লেখা থাকে৷ যেমন: সূর্যাস্ত - ৬.২৫, ইফতার:- ৬.২৮

আমার প্রশ্ন হলো এভাবে  সূযাস্তের সময় যখন আপনি মেনেই নিচ্ছেন ৬.২৫ এ তাহলে আবার ৩মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের টাইম নির্ধারন করার বিধান কোথায় পেলেন? কুরআন,সুন্নাহ, ফিকহের কিতাব কোথাও কি এর অস্তিত্ব আছে?
যদি ধরে নি, বিভিন্ন টেকনিক্যাল জটিলতার আশংকায় এই ৩মিনিট সতর্কতা মুলক টাইম, তাহলে সূযাস্তের সময় ৬.২৮ লিখলেই তো হয়। এভাবে সতর্কতা টাইমের নামে সূর্যাস্ত ও ইফতারের টাইম কে আলাদা করা কি সুস্পষ্ট সুন্নাহ বিরোধী কাজ নয়?

1 Answer

0 votes
by (575,850 points)
edited by
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। সূরা বাকারা,১৮৭

★শরীয়তের বিধান হলো দেরি না করে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করা মুস্তাহাব।

মাগরিবের নামায পড়ার আগেই ইফতার করে নিবে, যেন সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করার সওয়াব পাওয়া যায়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَحَبُّ عِبَادِي إِلَىَّ أَعْجَلُهُمْ فِطْرًا " .

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমার বান্দাদের মাঝে যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে তারাই আমার বেশী প্রিয়।

(তিরমিজি ৭০০ মিশকাত (১৯৮৯), তা’লীকুর রাগীব (২/৯৫)

وَعَنْ سَهْلٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

সাহল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যতদিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে। 
(সহীহ : বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮, তিরমিযী ৬৯৯, মুয়াত্ত্বা মালিক ১০১১, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ৭৫৯২, ইবনু মাজাহ ১৬৯৭, আহমাদ ২২৮০৪, দারিমী ১৭৪১, ইবনু খুযায়মাহ্ ২০৫৯, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৫৭১৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১১৮, শু‘আবূল ঈমান ৩৬৩০, ইবনু হিববান ৩৫০২, ইরওয়া ৯১৭, সহীহাহ্ ২০৮১, সহীহ আত্ তারগীব ১০৭৩, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৯৪।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে যেই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে,এটি ইসলামিক ফাউণ্ডেশন থেকে প্রকাশিত স্থায়ী ক্যালেন্ডার দেখে সাধারণত করা হয়ে থাকে।

বিষয়টি দেশের নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কেরামদের মতামত নিয়েই করা হয়েছে 
যেহেতু সারাদিন রোযা রেখে সামান্য সময় আগে ইফতারী করলে সারাদিনের রোযাই নষ্ট হয়ে যায়,তাই ইফতারের সময় লিখতে সতর্কতামূলত ২/৩ মিনিট বাড়িয়ে লেখা হয়।

এই কারনে এতটুকু সামান্য সময়ের দেড়ির দরুন ইফতারী দেড়িতে করা হয়েছে,এমনটি বলা যায়না।

তদুপরি কেহ যদি সতর্কতামূলত লেখা সেই ২/৩ মিনিট আগেই ইফতার করে,তারও রোযা হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
...