জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শুরুতেই একটি মাসয়ালা লক্ষ্য করিঃ
পেশাব ইত্যাদি দৃশ্যমান নয় এমন নাপাকী দ্বারা যদি কাপড় অপবিত্র হয়, তাহলে প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে পর পর তিনবার ধৌত করার দ্বারা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি নাপাকী রক্ত ইত্যাদির মত দৃশ্যমান হয় তাহলে নাপাকী দূর করার দ্বারাই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে একবার বা তিনবার ধৌত করার প্রশ্ন নেই।
আর নাপাক কাপড় ধৌত করার সময় প্রত্যেকবার ভিন্নভাবে বালতি ধুয়ে পাক করার প্রয়োজন নেই। তৃতীয়বার কাপড়টি ধৌত করার পর তা পাক হয়ে যাবে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় বার বালতি থেকে পানি সবটুকু ফেলে দিয়ে পরবর্তী বারের জন্য পানি নেয়া প্রয়োজন।
[ দুররে মুখতার, ১:৩০৮, ১:৩২৮, ১:৩৩১ ফাতাওয়া আলমগীরী, ১:৪২]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""বালতি নাপাক হলে তা পানির ট্যাপের নিচে রেখে ধোয়ার পর যখন বালতি উপুড় করে এই পানি ফেলে দেয়া হয় তখন যদি বালতি ভালো ভাবে ধোয়া হয় (তিন বার ধুয়ে পানি ফেলে দেওয়া হয়) তাহলে যদিও বালতি একবারে শুকিয়ে যায়না বরং বালতির সাথে কিছু পানি লেগেই থাকে।
তারপরেএ বালতি পাক হয়ে যায়।
বালতির গায়ে লেগে থাকা এই পানি পাক।
এখানে কোনো নাপাকি নেই।
,
(০২)
হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)
,
وغير المرئية بغسلهاثلاثا والعصر كل مرة
অদৃশ্যমান নাপাক বস্তু তিন বার ধৌত করত্র হবে।এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
(নুরুল ইযাহ ৫৬)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ভালো ভাবে জোড়ে চিপলে হাতের সমস্যা হয়,তাহলে আপাতত এতটুকু চিপতে হবে যে সেটা রেখে দিলে পানির ফোটা পড়া বন্ধ হয়ে যায়,বা তার নিকটবর্তী হয়।
,
যদি তাও সমস্যা হয়,তাহলে অন্যের সাহায্য নিতে পারেন,বা সেটা কিছুক্ষনের জন্য নাড়িয়ে দিবেন,যখন ফোটা ফোটা পড়া বন্ধ হয়ে যাবে,তখন আবার ধৌত করবেন।
এইভাবে ২ বার করে পড়ের বার একেবারে নেড়ে দিবেন।
,
কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে সমস্যা হলে সাভাবিক ভাবে চিপলেও হবে।
আরো জানুনঃ
,
(০৩)
যদি উক্ত নাপাক (ভেজা) কোনো জায়গায় রাখা হয়,চাই সেটা দড়ি হোক,বা পাইপ হোক,যদি ভেজা অংশটুকু সেই দড়ি,পাইপে লাগে,তাহলে সেটিও নাপাক হয়ে যাবে।
সেটাকেও ধুয়ে পাক করতে হবে।
,
আর যদি কাপড় তিনবার ধোয়ার পর দড়ি,পাইপে রাখা হয়,তাহলে সেই ভেজা লাগার দ্বারা উক্ত দড়ি বা পাইপ নাপাক হবেনা।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
(০৪)
সতর্কতামূলক কাপড় ধোয়ার শেষে সেই টেপও ধুয়ে দিবেন।
ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ