ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সুন্দর দেখানোর উদ্দেশ্য আবার
অনেকে বদ নযর থেকে হেফাযতের উদ্দেশ্যে শিশুর কপালে টিপ দেয়। এটা ঠিক নয়। এটি বদ নযর রোধ করে না। শিশুকে বদ নযর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করার জন্য কী করতে হবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শিখিয়েছেন।
সহীহ বুখারীর এক হাদীসে এসেছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রা. এর জন্য এই দোয়া পড়ে আল্লাহর আশ্রয় চাইতেন-
ﺃُﻋِﻴْﺬُﻛُﻤَﺎ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻴْﻄَﺎﻥٍ ﻭَّﻫَﺎﻣَّﺔٍ ﻭَّﻣِﻦْ
ﻛُﻞِّ ﻋَﻴْﻦٍ ﻻَﻣَّﺔٍ .
অর্থ : সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদনজর হতে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি।
দোয়াটি এক সন্তানের জন্য পড়লে ‘উয়ীযুকা’, দুইজনের জন্য ‘উয়ীযুকুমা’ আর দুইয়ের অধিক হলে ‘উয়ীযুকুম’ বলতে হবে। এর সাথে আয়াতুল কুরসী, তিন কুল ও হাদীসের অন্যান্য দোয়া তো আছেই।
তাছাড়া কপালে টিপ দেয়া বিধর্মীয় হিন্দুয়ানী সাংস্কৃতি । আর বিধর্মীয় সংস্কৃতি সম্পৃক্ত কোন বিষয় কোন মুসলমানের জন্য গ্রহন করা কখনো বৈধ হতে পারে না ।কেননা হাদীস শরীফে আছে........
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ «
ﻣﻦ ﺗﺸﺒﻪ ﺑﻘﻮﻡ ﻓﻬﻮ ﻣﻨﻬﻢ » ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ / 3512 ) ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺑﺮﻗﻢ ( 3401
তরজমাঃ- যে ব্যক্তি যার অনুসরণ করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।(তথ্যসূত্র : তাফসীরে মা-রেফুল কোরআন)
(২)
আপনি নিজে কালোটিপ লাগাবেন না।তবে শাশুড়ির সাথে ঝগড়া লাগাবেন না। উনাকে বিধান জানিয়ে দিবেন। তারপর শাশুড়ি যদি কালোটিপ দেন, তাহলে এতেকরে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)
আল্লাহ কাছে দু'আ করতে থাকুন। হযরত ইউনুস আঃ এর দু'আ বেশী বেশী করে পড়বেন।