ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/4677
মু'মিন একটি মুহুর্তও অযথা কাটাবে না।বরং সর্বদাই আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকবে।নামায পড়বে,কুরআন তিলাওয়াত করবে,নয়তো যিকির করবে।যদি ইবাদত করতে করতে মন ক্লান্ত হয়ে যায়,তখন মনকে উৎফুল্ল করতে বৈধ বিনোধনের ব্যবস্থা শরীয়তে রয়েছে।বৈধ বিনোধন সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/673
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রচলিত খেলাধুলার সবক'টাই মানুষকে আল্লাহর ধ্যানজ্ঞান থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, তাছাড়া এগুলো অনেক প্রকার হারাম কাজ সন্নিবেশিত হয়ে থাকে।যদ্দরুণ ঈদগাহের মত পবিত্রতম স্থানে এধরণের খেলাধুলার অনুমোদন না দেয়াই কর্তৃপক্ষের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। যদি কর্তৃপক্ষ নিরব থাকে বা অনুমোদন দেয়, যেজন্য সেখানে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড সম্পাদিত হয়, তাহলে কিন্তু তখন কর্তৃপক্ষকে সেই দায়ভার গ্রহণ করতে হবে।