আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
জনৈক স্বামী তার স্ত্রীকে মাঝে মাঝে কিছু কিছু কথা বলার সময় ভেংগায়। মাঝে মাঝে এভাবে বলে,"এহহ,বলছে তোমারে।" এই কথাগুলো ইসলাম/ঈমান সম্পর্কিত, স্বামীর দ্বীনের বুঝ আছে,কিন্তু কোনো বিষয়ে তার মতামতের অন্যদিকে স্ত্রী একটা মতামত নিয়ে বললে যুক্তিতে হেরে যাওয়া বা বিবিধ কারণে এমনটা করে। হুবহু বাক্যগুলো মনে নেই কিন্তু উদাহরণ দিচ্ছি-স্ত্রীকে স্বামী বললো,তুমি তাহলে এই ছুটিতে বান্ধবীর সাথে তোমার আম্মুর বাসায় যাও। আমি তো যেতে পারছি না। স্ত্রী বলল-না,মাহরাম ছাড়া যাওয়া যাবে না। মেয়ে থাকলে হবে না,মাহরাম পুরুষ লাগবে। তখন স্বামী রাগে ভেংগায় এভাবে,"হুমমম,মাহরাম পুরুষ লাগবে।" এটা একটা উদাহরণ। আরও উদাহরণ দেয়া যায়, স্ত্রী বলে,একাজ তো করা যাবে, এটা ইসলাম অনুযায়ী না করাই উত্তম। স্বামী বললো,"থাকুক।" বা,"বলসে তোমারে!?"
এরকম মাঝে মাঝেই ইসলামের কোনো একটা বিধানের কথা স্ত্রী কথা বলার সময় জুড়ে দেয়,তখন স্বামী এমন করে। এমন না যে,সে ইসলামকে ছোট করতে এমন করে,বা বিধানের সত্যতা জানলে অস্বীকারও করবে না,ঠান্ডা মাথায় থাকলেও হয়তো এমন করবে না। সাময়িক অস্বীকার করে ভেংচি দিয়ে,কিন্তু দলিল/প্রমাণ দেখালে ঠিকই মানবে,দ্বীনের বুঝ আছে যেহেতু। উনার স্বভাব বা ফিতরাতই মনে হয় এমন। একটু মতের অমিল হলে ভেংগিয়ে কথা বলে,সাথে সাথে। পরে স্ত্রী বুঝায়,এভাবে বলতে হয়না। বা ইসলামিক কোনো বিষয়ে স্ত্রী জ্ঞান দিতে গেলেও এভাবে ভেংগায়। তার কাছে নাকি নিজেকে ছোট লাগে স্ত্রীর কাছ থেকে শিখলে। স্ত্রীর ইলম বেশি,তাই তার খারাপও লাগে ইলম কম। আর নিজে থেকে জানতে চায়,স্ত্রীর থেকে না।স্ত্রীর কথায় সাথে সাথে রিয়েকশন করে জবাব দিতে গিয়েও এভাবে কিছু বলে ফেলে যা ইসলামের বেয়াদবি।
আমি মা লা বুদ্দা মিনহু নামক কিতাবে ঈমান ভংগের,কুফরি কালাম ইত্যাদির মাসয়ালগুলো পড়েছিলাম,তাই সন্দেহ হচ্ছে। এভাবে কি স্বামীর ঈমান ভেংগে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে?কী করার এখন?