আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
423 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। শায়েখ আমার সব গুলো পয়েন্ট একটু কষ্ট করে পরার অনুরোধ রইলো আমি অনেক পেরাশানিতে আছি শায়েখ।আমি  বিয়ের পর তালাক নিয়ে ভিডিও দেখার পর থেকে আমার মাথায় শুধু এসব কিছুই ঘুরে, আমার মনে হয় সব কথাই তালাক হয়ে যাচ্ছে। মনের ভেতর খালি সন্দেহ হই।আমি এমনিতে ঠিক থাকি আমার বুঝ আছে আগুন কি পানি কি সবই বুঝ আছে আমার কিন্তু আমার মাথায় এইসব কথাই খালি আসে আমার সন্দেহ হই তখন আমি আমার স্ত্রীকে বলেছি এবং তাকে বলেছি আমাকে সাহায্য করো এইসব থেকে বের করো আমাকে।এসব কিছু নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে আমার প্রায়ই সমস্যা হয়। খুবই সাধারণ কথা ও আমার মনে হয় আমার ধারা তালাক হয়ে যাচ্ছে।তাই একদিন আমার স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে এমন কোন কিছু হয়ে যায় বা তালাক ভুলক্রমে হয়ে যায় তাহলে কি আমি তোমাকে আর বিয়ে করতে পারব না। তখন আমার আবার মনের মধ্যে ওই সব কিছু ঘোরাঘুরি শুরু হয়ে যায়, আমি রেগে যাই কারণ আমি তাকে বারবার করে বলেছি এ সকল কোন কথা না বলতে আমার সমস্যা হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে যে তুমি যাও কথাটা বললেও হয়তোবা তালাক পতিত হয়ে যাবে। তখন কিছু কথা কাটাকাটি হয় এবং রাগে আমি নিজের কথাগুলো তাকে বলি এসএমএস এর মাধ্যমে।

১.তুই চাস আমি এসব কই,আমার সবতো নিছস এখন আমার শান্তি ও নে, যা প্লিজ যা, শান্তিতে থাক তুই,  যা এখন,দূরে যা, সর এখান থেকে। প্লিজ তোমার যা মন চায় তুমি তা করো, আমি আর এসবের লোড নিতে পারতেছি না, আমি মরণ চাই।

২. তুই তালাক সম্পর্কে জানবি এটা আমাকে কইতে হইবো। গুগুলে  বইরা আছে এসব কিছু, তোর জন্য আর কোন পথ নাই জানার।তালাক সম্পর্কে জানতে চাও,বল আর কি জানতে চাও,

৩.আর কথা কইস না, তুই চাস আমি এইসব কই,তুই চাস আমি উল্টাপাল্টা কথা কই, তুই ইচ্ছা করে এসব করস, তুই আমারে বিগ্রাইয়া দিছস এইসব বইলা। আমার জীবন যাইবো তালাকের মাসালা নিতে নিতে। আমি যদি মইরা যাইতাম তাইলেও তোমার এসব কমত না। তুই চাস  আমারে ধ্বংস করতে, আমি ঠিক হয়ে যাইতাম কেন আমাকে আবার ধ্বংস করতে নাকি?

৪. দুই তালাক পর্যন্ত বউ ফিরিয়ে নেওয়া যায়, তিন তালাক হলে বউ ফিরিয়ে নেওয়া যায় না অন্য কেউরে বিয়ে করতে  হয় তারপর কোন কারনে যদি ওদের তালাক হয় তখন আবার আগের জামাই বিয়ে করতে পারে, আর প্রত্যেক তালাক হওয়ার পর তিন মাসের  ভিতর বউকে বউ হিসেবে গ্রহণ করলে বিয়ে করা লাগবে না। তিন মাসের উপর গেছে তালাক যে দিছে কখন আবার নিউ করে বিয়ে করা লাগবে।সেম ২ তালাক এর সময় ও কিন্তু তিন তালাক হলে আর বউ গ্রহণ করা যায় না। এরপর আমি (১,২,৩ কইলাম) এমন একটা কথা বলেছি।আমি যে ( ১,২,৩ কইলাম)  এই কথাটা আমার স্ত্রীকে বলেছি তখন আমি তালাক এর যে নিয়ম বলেছি এইটা বুঝিয়েছি না তালাক বুঝিয়েছি তা ঠিক করে বলতে পারছি না আমার সন্দেহ হচ্ছে, এমন অবস্থায় কি তালাক পতিত হবে?

৫.তোমার থেকে আমি টাকা নিয়েছিলাম তাই এমন করতেছ নাকি, ঈদের আগে তোমার টাকা দিয়া দিমু,
৬. ঘরে কি অন্য কেউ আছে যে তুই সময় দিবি,নাকি অন্য কেউ পাইছোস এখন আমারে আর ভালো লাগেনা।
৭.দোয়া করোম আল্লাহ যাতে করে নতুন কেউ মিলায় দেয়। তাতে কি তালাক পতিত হবে?
৮. আল্লাহ যদি ভাবে তোমার  জন্য অন্য কেউ আছে আমার থেকে ভালো তাইলে আলহামদুলিল্লাহ, আর যদি ভাবে না আমার জন্য অন্য কেউ ভালো আছে তাইলেও আলহামদুলিল্লাহ।কথায় আছে না আল্লাহ মানুষের জন্য ভালোটাই রাখে। তো আল্লাই জানে কোনটা কার জন্য ভালো। আমি আল্লাহর উপর ছাইরা দিছি। আল্লাহ যা ভালো মনে করে।আমি গুনাগার পাপী আর আমার পাপের ফল দুনিয়াতেই ভোগ কইরা যাইতে হইবো না তাই  আমার বিয়েতে কোন বরকত নাই আমি বিয়ে করেও আল্লারে হ্যাপি করতে পারি নাই।  আল্লাহ যদি চায় তাহলে কবুল করব আমাদের রিলেশন আর না চাইলে কিছু করার নাই। এইটা আমি হতাশ হয়ে কষ্টে বলছিলাম তাতে কি তালাক পতিত হবে?
৯.দোয়া কর নিজের জন্য নিজে কিভাবে শান্তিতে থাকতে পারো।আমি আমাদের রিলেশন নিয়ে কনফিউসডে থাকমু নে এমনিই ধ্বংস হবো। আমাকে ঠিক করতে হবে না তোমার, এক মাস ধরে চিলাই ও যখন বুঝাইতে পারছিনা যে আমি রোগী তো আর পারতাম না।আমি যে একটা জায়গায় গিয়ে আরাম পামু এমন জায়গা নাই আমার আমার সব সমস্যা কমু আর আমার সব সমস্যা ঠিক কইরা দিব আর আমারে আগলায়া রাখব আর আমার এই সমস্যা ধারে কাছে যাইতে দিব না এমন জায়গা নাই আমার। তুমি আমারে ঠিক করবা আমার কলিজা আছে আমি কি কমু আমার কলিজা আমারে ঠিক করব এমন অপশন নাই আমার।তোর কাছে কি সুখ পামু আমি?  এইসব আশা করা বেকার। আমাকে কাছে নিয়ে আদর কইরা সামলাইতে হবে না আমাকে।আমার ভিতরে বুঝ আইসা পরছে আমি নিজে নিজেই সামলাইয়া যামু,চুপ হয়ে গেলাম আমি কলিজা।

১০.আমি তোমাকে আমার প্রবলেমের কথা বইলা ভুল করছি,আমি যদি জানতাম তুই এমন করবে তাহলে আমি বলতাম না তোরে আমার প্রবলেমের কথা, এটাও বুঝলে বুঝাইয়া লাভ নাই আমি মইরা গেলেও বুঝাইতে পারতাম না,ভালো লাগতেছে না নিখোঁজ হইয়া যামুগা, অনেক দূরে চলে যাবো আমি।

১১.আমি যে তোমাকে একটা কথা বলছিলাম তোমরা না মেয়েরা মা জাতি, তোমার মধ্যে কি একটু মায়া নাই, এইটা তো আমি হয়তো আর কথা বোঝানোর জন্য বলছিলাম কিন্তু এখন মনে হইতেছে এইটা যে বলছি এইটা দিয়া কিছু হইবো না তো?

১২. আমার স্ত্রী আমাকে বলে আমি যদি তোমার সমস্যার কারণ হই তাহলে আমি এখন থেকে নিজেকে  দূরে রাখবো তোমার থেকে। এখন আমি যদি তোমার সমস্যা হই তাহলে আমি নিজেকে দূরে রাখবো আমি চুপ থাকব। তখন "আমি বলছিলাম  যেমন তোমার ইচ্ছা", এইটা বলাতে কি তালাক পতিত হবে?

১৩.একদিন আমার স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে এমন কোন কিছু হয়ে যায় বা তালাক ভুলক্রমে হয়ে যায় তাহলে কি আমি তোমাকে আর বিয়ে করতে পারব না। আমার স্ত্রী যে আমাকে এই কথা বলেছে তাতে কি তালাক পতিত হবে?
আমি প্রচন্ড রেগে গিয়ে তার সাথেই কথাগুলো বলি,আমার বিয়ে হয়েছে কিন্তু সে তার বাবার বাসায় থাকে। আমি ফোনে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি যাতে কোন সমস্যা না হয়, আমি ভয়ে কথা বলি না যদি কিছু হয়ে যাই এইজন্য। আমি কি করবো কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিনা, আমাকে দয়া করে এই সকল কিছু থেকে বের হওয়ার উপায় বলবেন। শায়েখ আমার সব গুলো পয়েন্ট  এর উত্তর আলাদা ভাবে দিলে অনেক উপকৃত হবো।একটু কষ্ট করে পরার অনুরোধ রইলো। আমি অনেক পেরাশানিতে আছি শায়েখ।
শায়েখ আমি অনেক পেরাশানিতে আছি। আশা করছি আপনি এর সঠিক সমাধান দিবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।

যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
(মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ 

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ، وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً، وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ، وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ، وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ، وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ، وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ.
احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري: 363. 364، موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت
برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة الاسلامية

সারমর্মঃ  
২য় প্রকার,কেনায়া বাক্য।
এর দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু তালাকের নিয়ত অথবা অবস্থার ভিত্তিতে তালাক হবে। কেনায়া বাক্য দুই প্রকার। এর মধ্যে তিনটি শব্দ এমন আছে, যার দ্বারা  তালাকে রজয়ী পতিত হয়। 
সেগুলো হলোঃ- তুমি ইদ্দত পালন করো,তুমি তোমার গর্ভাশয় মুক্ত করো,তুমি এক।

আর কেনায়া তালাকের অন্যান্য শব্দ,যেক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করলে বায়েন তালাক হয়। তিন তালাকের নিয়ত করলে তিন তালাক পতিত হয়। 
যদি দুই তালাকের নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হয়।
যেমনঃ- তুমি বিচ্ছিন্ন, তুমি সম্পর্ক মুক্ত,তুমি ভিন্ন,তুমি হারাম,তুমি শুণ্য,তুমি মুক্ত,তোমার রশি তোমার কাঁধে,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হও,আমি তোমাকে তোমার পরিবারের জন্য হেবা-দান করলাম,আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,আমি তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি আযাদ,তুমি ঘোমটা পড়,তুমি ওড়না দ্বারা নিজেকে আবৃত করো,তুমি আড়াল হও (পর্দা করো), তুমি বিদূরিত হও, তুমি বের হয়ে যাও,তুমি চলে যাও,তুমি দন্ডায়মান হও (দাঁড়িয়ে যাও), তুমি অন্য স্বামী খুজো।
স্বামীর যদি এখানে নিয়ত না থাকে,তাহলে এ সব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা। তবে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে হলে কাযা'আন তালাক হবে। দিয়ানাতান তালাক হবেনা,কিন্তু যদি নিয়ত করে,তাহলে তালাক হবে।
আর যদি মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে না হয়,বরং রাগ ও ঝগড়াঝাটির অবস্থায় হয়,তাহলে প্রত্যেকটি কেনায়া বাক্য বলার দ্বারাই তালাক হবে,কিন্তু যেসব বাক্য দিয়ে গালি গালাজ উদ্দেশ্য করা হয়,সেসব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু যদি নিয়ত করে,তাহলে তালাক হবে।

(কুদুরী ৩৬৩.৩৬৪. হেদায়া শরহুল বিদায়াহ ১/২৪১,শরহে বিকায়াহ ২/৭৭)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে কেনায়া বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে আপনার তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক পতিত হবেনা। 

তবে মুফতী সাহেবদের ফতোয়া অনুপাতে আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনোভাবেই তালাক হবেনা।

(২.৩)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৫)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৬)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৭)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৮)
তাতে তালাক হবেনা।

(০৯)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(১০)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(১১)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(১২)
এটা বলাতে তালাক হবেনা।

(১৩)
আপনি টেনশন মুক্ত থাকুন। 
এগুলো বিষয় মাথাতেই আসতে দিবেননা।
,
তালাকের কোনো মাসয়ালা পড়বেননা,তালাক সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা।

আরো করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
 শেয়েখ ১.এর  সমাধান কি? আর আপনি যে বললেন যে সহবাস না থাকলে এমনটা হবে না.কিন্তু আমি তো আমার স্ত্রীর সাথে থেকেছি। তার মাসালা কি হবে  
by (574,050 points)
তালাক হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...