আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ
শায়খ।বিগত কয়েক মাস ধরে আমি ফজর পড়তে পারছি না। দিনের বাকি ওয়াক্ত নামাজ গুলা ও পুরো পড়তে পারছি না। এর আগে খুব সুন্দর করে ৫ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি তাহাজ্জুদ,ইশরাক, সব নামাজ পড়তে পারতাম। অনেক জিকির করতাম। অনেক ঝোক ছিল ইবাদত / নফল ইবাদতে প্রতি।
আজকে রাতে ঘুমের আগে হুট করেই সুরাহ ওয়াক্বিয়ার কয়েকটা আয়াত পড়ি। সকালে ফজরের পরে সুরাহ বাকারার কিছু আয়াত। আর অন্য সুরাহ র এক পাতা পড়ি।যখন কোরান পড়ি তখন সালাতের নিষিদ্ধ সময় ছিল। ঘুম একটু দেরিতে আসে আজকে। ঘুমের মধ্যে অদ্ভুত ২ টা স্বপ্ন দেখি
# একটা প্রচন্ড ভয়ংকর শব্দের ভয়ে আমি ঘরের সব দরজা বন্ধ করে দিতেছিলাম। আমার ছোট বোন কয়েকবার দরজা খুলে দিতেছিল।আমি বার বার অফ করি। মনে হচ্ছিল দাজ্জাল আসার সময় হয়ে গেছে। এত ভয়ংকর শব্দ এর আগে কখনো শুনি নাই।মনে হচ্ছিল শব্দটা আমাদের দিকে এগিয়ে আসতেছে।এই বুঝি সব শেষ। প্রচন্ড ভয় লাগতেছিল।নিজে বাস্তবে ফীল করতেছি, এমন মনে হচ্ছিল।
#আমার বোন আম্মাকে বলছে আমি নাকি কালো জাদু করি। এরপর আমি নিজেই বললাম এখন আর করি না এসব। আম্মা কোনো পাত্তা দেয়নাই। ছোট বোনের কাপড় কিনতে যাবে।আমি ওর পুরাতন কাপড় গুছাইয়া দিলাম।এরপর দেখলাম প্রতিবেদনে যেভাবে বলে,ওইরকম একজন বলতেছে, জ্বিন তো মানুষের সাথেই থাকে।অনেক সময় সহবাস ও করে।মানুষ টের পায় না। এরপর দেখি,আমি,অন্য একটা লোক, আর একজন বুজুর্গ লোক খেতে বসছি।অন্য লোকটা যাবার পর আমি বুজুর্গ লোক টা কে জিজ্ঞাসা করি যে "মানুষের শয়তান " কি? উনি উত্তর দিতে নিছিলো।এরপর ঘুম ভেংগে গেছে।
প্রশন হলো ঃ

১/ শায়খ, আমার স্বপ্ন গুলার ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে?
২/ আগে কখনো এমন স্বপন দেখি নাই।৩ কুল না পড়ে ঘুমাইলেও এমন স্বপ্ন দেখি নাই কখনো। জেনে শুনে কারো ক্ষতি করি নি। কালো জাদু তো দূরে থাক। এখন আমার কি করা উচিত?

৪/সালাতের নিষিদ্ধ সময়ে কি কোরান পড়া / জিকির করা/ দোয়া করা যাবে?

৩/ শায়খ, আমাদের বিয়েটা একটু লুকিয়ে হইছে। বিয়েটা যত সহজে হইছে, ততটাই কঠিন মনে হচ্ছে পারিবারিক ভাবে বিয়ের বিষয়টা।আর এটা লাস্ট এক বছর ধরে মনে হচ্ছে। এর আগে ৩ বছর সব ঠিক ছিল। আর লাস্ট এক বছর ধরে আমি আমার হাজবেন্ড এর সাথে কোনো কারন ছাড়া প্রচুর ঝগড়া করছি।কথা বলতে গেলেই মনে হয় কিছু একটা হয়ে যায় আমার। ঝগড়া, শুধু শুধুই। তার সমস্ত পরিস্থিতি বুঝার পরেও যেনো কিছুই বুঝতে পারছিনা। কারন,ছাড়া শুধু ঝামেলা হচ্ছে।সে ট্রাই করেছে ইনকামের। কিন্তু অই রকম রেগুলার কোনো ইনকাম আসে নাই।ডিপ্রেশন, হতাশা। দু জনের ই। এত ভালো একজন হাজবেন্ড পেয়েও কেমন জানি আমার নিজের উপর কন্ট্রল থাকে না, কথা বলতে গেলেই ঝামেলা করি। পুরো চেঞ্জ লাগে নিজেকে।শায়খ,এটা কি কালো জাদুর প্রভাব হতে পারে?  কারন,এই ঝামেলার বিষয়টা অস্বাভাবিক লাগে আমাদের ২ জনের কাছেই।
আমাকে দয়া করে বিষয় গুলো একটু ক্লিয়ার করবেন শায়খ। স্বপ্ন দেখার পর খুব অবাক আমি। কি,কেন হচ্ছে / হতে পারে এমন। একটু জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন- http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by (25 points)
জাযাকাল্লাহ খাইয়ান 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...