আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
158 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ
একজন ছেলে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, ছেলের সাথে ইমেইলের মাধ্যমে কথা হয়েছে। ছেলের ফ্যামিলিতে আমার কথা জানানো হয়েছে কিন্তু আমার ফ্যামিলিতে এখনো বিষয়টা জানানো হয়নি। বাসায় গিয়ে সামনাসামনি বসে ছেলের সম্পর্কে জানাতে চাচ্ছিলাম। ছেলে তার ছবি পাঠিয়েছে, দেখেছি আমি। এখন ছেলে আমাদের বাসায় যাওয়ার আগে আমাকে দেখতে চাচ্ছে। পছন্দ হলে বাসায় যাবে পরিবার নিয়ে, পছন্দ না হলে বাদ দিবে। বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে মেয়ের পরিবারের এতো এতো টাকা খরচ করানো তার পছন্দ না। তাই আগে আমাকে দেখতে চায়, পছন্দ হলে সামনে আগাবে। কিন্তু আমি ছবি দিতে ইচ্ছুক নই তাই আমি যেখানে থাকি ছেলে সেখানে এসে আমাকে দেখতে চায়। কিন্তু এখানে আমার পরিবারের কেও নেই। আমার বান্ধবীরা আছে।

তো আমি কি আমার ২-১ জন বান্ধবীকে নিয়ে ছেলের সাথে দেখা করতে পারবো? নাকি দেখা করতে গেলে মেয়ের মাহরাম থাকা জরুরী? এতো অল্প সময়ে আমার বাসা থেকে কেও আসতে পারবেনা। তাই জানতে চাচ্ছিলাম একা না গিয়ে আমার ২-১ জন বান্ধবিকে নিয়ে গেলে হবে কিনা। তারাও পর্দা করে যাবে। ছেলের সাথে কথা বলার সময় তারা একটু দূরে থাকবে। এভাবে কি ছেলের সাথে দেখা করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে।কথা বলতে পারবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,

(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)

যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)

وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ خَطَبْتُ امْرَأَةً فَقَالَ لِىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «هَلْ نَظَرْتَ إِلَيْهَا؟» قُلْتُ : لَا قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّه أَحْرٰى أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا»

মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জনৈকা নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে, তুমি কি তাকে দেখেছ? আমি বললাম, না, দেখিনি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তাকে দেখে নাও। কেননা, এই দেখা তোমাদের মাঝে (বৈবাহিক সম্পর্ক) প্রণয়-ভালোবাসা জন্ম দিবে। 
(নাসায়ী ৩২৩৫, তিরমিযী ১০৮৭, ইবনু মাজাহ ৮৬৬৫, আহমাদ ১৮১৫৪, সহীহাহ্ ৯৬, সহীহ আল জামি‘ ৮৫৯।)

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّىْ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِى اعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا».

 (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে) তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে। 
(মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৪৬, আহমাদ ৭৮৪২, সহীহাহ্ ৯৫।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পাত্রী দেখার সময় নিয়ম হলো একাকিত্ব হওয়া যাবেনা। পাত্রীর পক্ষ হতে একজন মাহরাম থাকবে।
পাত্রের পক্ষ থেকে একজন মাহরাম মহিলা থাকলে অনেক ভালো হবে।

সর্বপরি প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করে এভাবে ছেলের সাথে দেখা দেয়া জায়েজ হবেনা।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...