আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (51 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর, আশা করি আপনি ভালো আছেন।

প্রথমেয় ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অতিরিক্ত প্রশ্ন করার জন্য। কিভাবে কি লেখব তা বুঝতে পারছি না। তথাপি কোন উপায় না পেয়ে  মনের বেদনা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।

তামা* আর কুফরি শব্দগুলো সম্পর্কে মাসালা পরার পর থেকে সারা দিন এগুলো মাথায় আসে। ঠিক মত কথা  ও বলতে পারি না। চেষ্টা করে কুফরি জাতিয় কথা যেন মুখে না আসে। এরই মধ্যে কয়েকবার সতর্কতা মুলক ভাবে ইমান ও বিবাহ নবায়ন করা হয়েছে। বার বার এরুপ করায় আমার উপর সবাই বিরক্ত । কি করব আল্লাহর ভয়ে আমি এরুপ করেছি। ভয় লাগে। বুঝতে পারছি না কি সব হচ্ছে ।এইভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলছে।  আবার নতুন করে সমস্যায় পরলাম -

(১) মুখ ধোওয়ার সময় হটাত করে মনে পড়ল একটি গজলের কথা -

আল্লাহু আল্লাহ কিয়া করো ।(আমার ধারণা ছিল এটি আল্লাহু আল্লাহ কি করো তার মানে আল্লাহকে বলা হয়েছে)  তার পরের লাইন ভালো ভাবে পারি না শুধু এতটুকু মনে পরে  

………………বিয়া করো।

এরপর থেকে আমার মনে হয় এটি কি আমি মুখে উচ্চারন করলাম না মনে মনে বললাম। বার বার চেস্টা করতে থাকি তা বুঝার জন্য। মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে মুখে উচ্চারিত হয়ে গেছে। এখন আমি চিন্তিত।   

(২) আমি পড়েছি কোন মুসলমান কে কাফের বলা কুফরি কাজ। মানুষকে দেখলে মাঝে মাঝে মনে পরে সে কাফে* । অনেক চেষ্টা করে মুখ আটকে রাখার চেষ্টা করি।

গতকাল একজন মানুষের প্রতি বিরক্ত হয়ে মনে মনে তার প্রতি রাগ হয়। তখনি আমার কফ আসে আমি তা ফেলার সময় মুখ থেকে নরম্ ভাবে  কাফে* উচ্চারণ হয়েছে। আমি এটি বলতে চাইনি কিন্তু হটাত মনে পড়লে তখন আর আটকানো কঠিন হয়ে পড়ে। এখন আমি কি করবো ?

(৩) বাজার থেকে বাসায় ফিরলে, বিবি সাহেব বাজার নিয়ে আমাকে বলে ছাড়েন আমি তখন বলি ই হু (তার মানে বুঝাতে চাইছি না আমি বাজার এর বেগ  নিয়ে যাই।) এতে কি কোন সমস্যা হবে?

(৪) এই লেখার জন্য কি কোন সমস্যা হবে?

 

আমাকে পরামর্শ দেন আমি কি করতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূল
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِنْدَ اللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ ۚ كَذَٰلِكَ كُنْتُمْ مِنْ قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا [٤:٩٤]

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে সফর কর,তখন যাচাই করে নিও এবং যে,তোমাদেরকে সালাম করে তাকে বলো না যে, তুমি মুসলমান নও। তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদ অন্বেষণ কর,বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরা ও তো এমনি ছিলে ইতিপূর্বে; অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। অতএব, এখন অনুসন্ধান করে নিও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খবর রাখেন। {সূরা নিসা-৯৪}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك 

হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮} 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে আপনাত ঈমান চলে যাবেনা।
চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০২)
এক্ষেত্রে আপনি তওবা করবেন।

(০৩)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এই লেখার জন্য কোন সমস্যা হবেনা।

আপনার জন্য পরামর্শ থাকবে, আপনি এহেন বিষয় নিয়ে ভাবেননা।
এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা, তাও এসব বিষয় মাথায় আসলে বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...