আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
227 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

১. হুজুর আমি একটা ভিডিও দেখেছিলাম নাগর দোলায় তে চড়ে ছিল একটা ছেলে দিয়ে  ভয় এ বিভিন্ন রকমের দুয়া পড়ছিলল

আমিও ১ বছর আগে আমার বিয়ের আগে নাগর দোলায় চড়ে ছিলাম , দিয়ে আমিও ভিডিওর কথা মনে হয়, ওই ভাবে দুয়া পড়বো  আর ভয় ও লাগছিল দিয়ে আমিও বিভিন্ন রকমের দুয়া পড়ছিলাম জোরে জোরে কালেমা সাহাদাত পড়ছিলাম।  সেখানে কিছু মেয়ে ছিল তারা আমার এইরকম দেখে হাসছিল , জানিনা মেয়ে গুলো হিন্দু ছিল নাকি মুসলিম। হুজুর একটু মেয়ে দেখে আরো জোড়ে জোড়ে পড়ছিলাম। কিন্তু কোনো দুয়া বা সূরা কে আমি ঠাট্টা বা তামাশা করিনি হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আমি তো কোনো বিধান কে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করিনি। হুজুর খুবই ভয় হচ্ছে
২। আজকে একজন বলছে আকীকা দেওয়া নিয়ে কথা দিয়ে বলছে মেয়ে ছাগল মেয়ে মানুষের জন্য আকীকা দিতে হবে । এই কথা শুনে সবাই হাসছিল। আমার ও একটু হাসি বেরিয়ে জাই। আমি বললাম তাদের কে এইসব করোনা এই গুলো খুব খারাপ। হুজুর আমি ঠাট্টা বা তামাশা করিনি এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে? আমি তাদের কথা শুনে মাত্র হেসেছি। আমি কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করিনি।

৩. আমি আমার স্ত্রী কে আল্লাহ কসম করে বলেছিলাম আমি আর প্রশ্ন করবনা ।দিয়ে মনে মনে হতে লাগলো আমি প্রশ্ন করবো না ইসলামিক ফাতওয়া তে প্রশ্ন করলে কাফের হয়ে যাবো, এই রকম মনে মনে হচ্ছিল,  আমি মুখে উচ্চরণ করিনি হুজুর। কিন্তু আমি বিশাল পরিমাণে ওয়াসওয়াসা রুগী। এই প্রশ্ন করবো বলে ২ দিন থেকে ভয় হচ্ছে প্রশ্ন করলে যদি কাফের হয়ে জাই । জরুরী দরকার ছিল প্রশ্ন না করে থাকতে পারলাম না । প্রশ্ন করার জন্য কি আমি কাফের হয়ে যাবো খুব ভয় হচ্ছে হুজুর। আমর মনে মনে এমন হচ্ছে। দরকার এ প্রশ্ন করেছি। হুজুর খুব চিন্তা হচ্ছে। ।আমি তো মনে  মনে মনে হয়েছে  প্রশ্ন করার  জন্য কি কাফের হয়ে যাবো??
৩ .১ যদি আবারও প্রশ্ন করি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে,?

৪.  স্ত্রীর সঙ্গে একটু কথা কাটা কাটি হচ্ছিলো, দিয়ে স্ত্রী কে বলেছি , " তুমি তো বিশাল চিজ  রব্বানা" আমাদের গ্রামের দিকে এই ভাষা ব্যাবহার করে। আমার সঙ্গে সঙ্গে ভয় হয়ে জাই , রব্বানা মানে তহ রব  কে বোঝাই । সঙ্গে সঙ্গে ভুল বুঝতে পারি।

হুজর আমি বিশাল ওয়াসওয়াসা রুগী  না জেনে বুঝে বলে ফেলেছি সত্যিই আমি না জেনে বুঝে বলে ফেলেছি এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? হুজুর এটা আমর ভুল করে হয়েছে। ভুল বশত বেরিয়ে গিয়েছে, আর আমি এর মানে জানলে কখনোই বলতাম না। ভুল করে হয়েছে । হুজুর ঈমান চলে যাবে না তো?

 ৫. আমার এই সমস্ত ঘটনা আমি স্ত্রী কে বলেছি আমার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো হুজুর??

৬. কসম করে সেটা যদি ভেঙে জাই তাহলে কাফফারা দিতে হয়।  হুজুর আমি এখনও বেকার ছেলে আমার কাফফারার দেওয়ার সামর্থ্য নেই। হুজুর আমি যদি পরবর্তী তে কাফফারা দিয়ে দি তাহলে হবে তো? হুজুর আমার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে তো?
৬ .১  কাফ ফারা না দিলে কি ঈমান নষ্ট হয়ে যায়?? বা বৈবাহিক সম্পর্ক  ভেঙ জাই।??  নাকি গুণহা হবে?? (জানাবেন plz)

৭. হুজুর আমি মানসিক রোগের ওষধ খাচ্ছি। হুজুর আমার ৫ বছর ৩ বছর আগের কথা সব মনে হয়ে যাচ্ছে কি ভুল করেছি কি করেছি  একটা র পর একটা মনে হয়ে যাচ্ছে আর শুধু ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে বলে হুজুর । এই রকম করে তহ বার বার প্রশ্ন করা যায়না। সইতানের ওয়াসওয়াসা র জন্য আর আমর রোগের জন্য এমন হচ্ছে। হুজুর যদি আবারও মনে হয় তাহলে কি করবো ? এ থেকে বেরোনোর উপায় বলে দিন।

৮. আমি আমার স্ত্রী কে ফোন করেছি , দিয়ে ভালোবেসে বলছি স্ত্রী জিজ্ঞাসা করছে কি করছো আমি বলছি একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছি। আমি কথাটা স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে মজা করে বলেছি, সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো অন্য কোনো মেয়ে কে বলছি নাকি। বলে ভয় হয়ে জাই আসলে আমি সেই কথা টা স্ত্রী কেই বলেছি আমি আমার স্ত্রী কে বিশাল ভালোবাসি । হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন ভাবনার হয়েছে।  আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?

৯. আমি বসে আব্বু র সাতে কথা বলছিলাম। দিয়ে আমি আব্বা কে বলছিলাম ব্যাবসা করবো আমার ইনকাম দরকার। আমার ও আমার স্ত্রীর ইনকাম নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। দিয়ে আব্বু বলছে তোর এক্সাম এর রেজাল্ট হউক। তার পর হবে। দিয়ে কথা বলতে বলতে আব্বু বলছে তোদের আল্লাহর ওপর ভরসা কম, নামাজ পড়ছিস না । আমার ভয় হয়ে জাই আব্বার এ কথা শুনে আমি আব্বা কে বললাম আল্লাহর ওপর অব্বসই ভরসা আছে। দিয়ে আব্বা বলছে আরে আমি কথার কথা বললাম। আমি খুব ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর এমন কথা শুনে ভয় হয়ে জাই! হুজুর আল্লাহর ওপর অববসই ভরসা করি।। হুজুর আমার ও আমার স্ত্রীর ঈমান বজায় আছে তো?

১০. আমার আব্বুর সঙ্গে একজন ব্যাবসা করতো, দিয়ে ওই লোকটা ধোঁকা দিয়েছে তাই আব্বু বলেছে তাহলে কি ওর ঈমান আছে? আমি আব্বু কে বললাম এসব কথা বলতে নেই, দিয়ে আব্বু বলছে হ্যাঁ এইসব বলতে নেই, যদি আব্বু মা কাফের ও হয় তাও আব্বু মা কে কিছু বলা যাবে না । এড়িয়ে চলতে হবে তাও কিছু বলা যাবে না। হুজুর আব্বুর এমন কথার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
*** আমি বললাম ঘটনা টা তার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

১১.আমি আব্বু শুয়ে গল্পঃ করেছিলাম দিয়ে থুথু ফেলতে উঠেছে দিয়ে আমার পেটে বা হতে আব্বু র লিঙ্গ লুঙ্গির ওপর থেকে স্পর্শ হয়েছে মনে হয়। এর জন্য কি হুরমত হবে?

১২. আব্বু আমাকে বলছে তুই এখন তাহাজ্জুদ এর নামাজ পড়বি । আমি বললাম ঠিক আছে , আব্বু বলছে আমরা ছোটো ঈমান এর লোক, আমি বললাম এমন বলছেন কেনো আব্বা বলছে ঈমান ছোটো বড়ো আছে। আব্বু বলতে চেয়েছে দুর্বল ঈমান। কিছু কঠিন পরিস্তিতি তে আল্লাহর ওপর কঠিন ভাবে ভরসা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়ত পারিনা তার জন্য এমন বলেছি। হুজুর আমর আব্বু অবশ্যই আল্লাহর ওপর ভরসা করে,  এমনি এই কথা আলোচনা করার জন্য কি আব্বুর ঈমান চলে যাবে?

১৩. আব্বু বলছে আমি খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী র: কে মানি। এই রকম বললো।  তাই বলে কোনো শিরক করেনা। আমার দাদী নাকি দুয়া করে পীরের ওই খানে। আব্বা হয়েছে , তাই আব্বা বলেছে। হুজুর এক্ষেত্রে তো আব্বার কোনো দোষ নেই দাদীর ভুল। হুজুর আব্বার ঈমান ঠিক আছে তো??

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(১,২,৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

৩.১
যদি আবারও প্রশ্ন করেন, তাহলেও ঈমান চলে যাবেনা।

(০৪)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৫)
আপনার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

(০৬)
আপনি যদি পরবর্তীতে কাফফারা দিয়ে দেন, তাহলেও হবে।আপনার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে। 

(৬.১)
কাফফারা না দিলে ঈমান নষ্ট হয়না, বৈবাহিক সম্পর্কও নষ্ট হয়না।

শুধু গুনাহ হয়।

(০৭)
এক্ষেত্রে করনীয় জানুনঃ- 

(০৮)
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

(০৯)
আপনার ও আপনার স্ত্রীর ঈমান বজায় আছে।

(১০)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনাত আব্বুর এমন কথার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

*আপনি যে বললাম ঘটনা টা, তার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(১১)
এর জন্য কোনোভাবেই হুরমত হবেনা।

পুরুষ পুরুষে কোনোভাবেই হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়না।

(১২)
এমনি এই কথা আলোচনা করার জন্য আপনার আব্বুর ঈমান চলে যাবেনা।

(১৩)
আপনার আব্বার ঈমান ঠিক আছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...