আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
১. হুজুর আমি একটা ভিডিও দেখেছিলাম নাগর দোলায় তে চড়ে ছিল একটা ছেলে দিয়ে ভয় এ বিভিন্ন রকমের দুয়া পড়ছিলল
আমিও ১ বছর আগে আমার বিয়ের আগে নাগর দোলায় চড়ে ছিলাম , দিয়ে আমিও ভিডিওর কথা মনে হয়, ওই ভাবে দুয়া পড়বো আর ভয় ও লাগছিল দিয়ে আমিও বিভিন্ন রকমের দুয়া পড়ছিলাম জোরে জোরে কালেমা সাহাদাত পড়ছিলাম। সেখানে কিছু মেয়ে ছিল তারা আমার এইরকম দেখে হাসছিল , জানিনা মেয়ে গুলো হিন্দু ছিল নাকি মুসলিম। হুজুর একটু মেয়ে দেখে আরো জোড়ে জোড়ে পড়ছিলাম। কিন্তু কোনো দুয়া বা সূরা কে আমি ঠাট্টা বা তামাশা করিনি হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আমি তো কোনো বিধান কে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করিনি। হুজুর খুবই ভয় হচ্ছে
২। আজকে একজন বলছে আকীকা দেওয়া নিয়ে কথা দিয়ে বলছে মেয়ে ছাগল মেয়ে মানুষের জন্য আকীকা দিতে হবে । এই কথা শুনে সবাই হাসছিল। আমার ও একটু হাসি বেরিয়ে জাই। আমি বললাম তাদের কে এইসব করোনা এই গুলো খুব খারাপ। হুজুর আমি ঠাট্টা বা তামাশা করিনি এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে? আমি তাদের কথা শুনে মাত্র হেসেছি। আমি কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করিনি।
৩. আমি আমার স্ত্রী কে আল্লাহ কসম করে বলেছিলাম আমি আর প্রশ্ন করবনা ।দিয়ে মনে মনে হতে লাগলো আমি প্রশ্ন করবো না ইসলামিক ফাতওয়া তে প্রশ্ন করলে কাফের হয়ে যাবো, এই রকম মনে মনে হচ্ছিল, আমি মুখে উচ্চরণ করিনি হুজুর। কিন্তু আমি বিশাল পরিমাণে ওয়াসওয়াসা রুগী। এই প্রশ্ন করবো বলে ২ দিন থেকে ভয় হচ্ছে প্রশ্ন করলে যদি কাফের হয়ে জাই । জরুরী দরকার ছিল প্রশ্ন না করে থাকতে পারলাম না । প্রশ্ন করার জন্য কি আমি কাফের হয়ে যাবো খুব ভয় হচ্ছে হুজুর। আমর মনে মনে এমন হচ্ছে। দরকার এ প্রশ্ন করেছি। হুজুর খুব চিন্তা হচ্ছে। ।আমি তো মনে মনে মনে হয়েছে প্রশ্ন করার জন্য কি কাফের হয়ে যাবো??
৩ .১ যদি আবারও প্রশ্ন করি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে,?
৪. স্ত্রীর সঙ্গে একটু কথা কাটা কাটি হচ্ছিলো, দিয়ে স্ত্রী কে বলেছি , " তুমি তো বিশাল চিজ রব্বানা" আমাদের গ্রামের দিকে এই ভাষা ব্যাবহার করে। আমার সঙ্গে সঙ্গে ভয় হয়ে জাই , রব্বানা মানে তহ রব কে বোঝাই । সঙ্গে সঙ্গে ভুল বুঝতে পারি।
হুজর আমি বিশাল ওয়াসওয়াসা রুগী না জেনে বুঝে বলে ফেলেছি সত্যিই আমি না জেনে বুঝে বলে ফেলেছি এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? হুজুর এটা আমর ভুল করে হয়েছে। ভুল বশত বেরিয়ে গিয়েছে, আর আমি এর মানে জানলে কখনোই বলতাম না। ভুল করে হয়েছে । হুজুর ঈমান চলে যাবে না তো?
৫. আমার এই সমস্ত ঘটনা আমি স্ত্রী কে বলেছি আমার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো হুজুর??
৬. কসম করে সেটা যদি ভেঙে জাই তাহলে কাফফারা দিতে হয়। হুজুর আমি এখনও বেকার ছেলে আমার কাফফারার দেওয়ার সামর্থ্য নেই। হুজুর আমি যদি পরবর্তী তে কাফফারা দিয়ে দি তাহলে হবে তো? হুজুর আমার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে তো?
৬ .১ কাফ ফারা না দিলে কি ঈমান নষ্ট হয়ে যায়?? বা বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ জাই।?? নাকি গুণহা হবে?? (জানাবেন plz)
৭. হুজুর আমি মানসিক রোগের ওষধ খাচ্ছি। হুজুর আমার ৫ বছর ৩ বছর আগের কথা সব মনে হয়ে যাচ্ছে কি ভুল করেছি কি করেছি একটা র পর একটা মনে হয়ে যাচ্ছে আর শুধু ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে বলে হুজুর । এই রকম করে তহ বার বার প্রশ্ন করা যায়না। সইতানের ওয়াসওয়াসা র জন্য আর আমর রোগের জন্য এমন হচ্ছে। হুজুর যদি আবারও মনে হয় তাহলে কি করবো ? এ থেকে বেরোনোর উপায় বলে দিন।
৮. আমি আমার স্ত্রী কে ফোন করেছি , দিয়ে ভালোবেসে বলছি স্ত্রী জিজ্ঞাসা করছে কি করছো আমি বলছি একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছি। আমি কথাটা স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে মজা করে বলেছি, সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো অন্য কোনো মেয়ে কে বলছি নাকি। বলে ভয় হয়ে জাই আসলে আমি সেই কথা টা স্ত্রী কেই বলেছি আমি আমার স্ত্রী কে বিশাল ভালোবাসি । হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন ভাবনার হয়েছে। আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?
৯. আমি বসে আব্বু র সাতে কথা বলছিলাম। দিয়ে আমি আব্বা কে বলছিলাম ব্যাবসা করবো আমার ইনকাম দরকার। আমার ও আমার স্ত্রীর ইনকাম নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। দিয়ে আব্বু বলছে তোর এক্সাম এর রেজাল্ট হউক। তার পর হবে। দিয়ে কথা বলতে বলতে আব্বু বলছে তোদের আল্লাহর ওপর ভরসা কম, নামাজ পড়ছিস না । আমার ভয় হয়ে জাই আব্বার এ কথা শুনে আমি আব্বা কে বললাম আল্লাহর ওপর অব্বসই ভরসা আছে। দিয়ে আব্বা বলছে আরে আমি কথার কথা বললাম। আমি খুব ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর এমন কথা শুনে ভয় হয়ে জাই! হুজুর আল্লাহর ওপর অববসই ভরসা করি।। হুজুর আমার ও আমার স্ত্রীর ঈমান বজায় আছে তো?
১০. আমার আব্বুর সঙ্গে একজন ব্যাবসা করতো, দিয়ে ওই লোকটা ধোঁকা দিয়েছে তাই আব্বু বলেছে তাহলে কি ওর ঈমান আছে? আমি আব্বু কে বললাম এসব কথা বলতে নেই, দিয়ে আব্বু বলছে হ্যাঁ এইসব বলতে নেই, যদি আব্বু মা কাফের ও হয় তাও আব্বু মা কে কিছু বলা যাবে না । এড়িয়ে চলতে হবে তাও কিছু বলা যাবে না। হুজুর আব্বুর এমন কথার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
*** আমি বললাম ঘটনা টা তার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
১১.আমি আব্বু শুয়ে গল্পঃ করেছিলাম দিয়ে থুথু ফেলতে উঠেছে দিয়ে আমার পেটে বা হতে আব্বু র লিঙ্গ লুঙ্গির ওপর থেকে স্পর্শ হয়েছে মনে হয়। এর জন্য কি হুরমত হবে?
১২. আব্বু আমাকে বলছে তুই এখন তাহাজ্জুদ এর নামাজ পড়বি । আমি বললাম ঠিক আছে , আব্বু বলছে আমরা ছোটো ঈমান এর লোক, আমি বললাম এমন বলছেন কেনো আব্বা বলছে ঈমান ছোটো বড়ো আছে। আব্বু বলতে চেয়েছে দুর্বল ঈমান। কিছু কঠিন পরিস্তিতি তে আল্লাহর ওপর কঠিন ভাবে ভরসা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়ত পারিনা তার জন্য এমন বলেছি। হুজুর আমর আব্বু অবশ্যই আল্লাহর ওপর ভরসা করে, এমনি এই কথা আলোচনা করার জন্য কি আব্বুর ঈমান চলে যাবে?
১৩. আব্বু বলছে আমি খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী র: কে মানি। এই রকম বললো। তাই বলে কোনো শিরক করেনা। আমার দাদী নাকি দুয়া করে পীরের ওই খানে। আব্বা হয়েছে , তাই আব্বা বলেছে। হুজুর এক্ষেত্রে তো আব্বার কোনো দোষ নেই দাদীর ভুল। হুজুর আব্বার ঈমান ঠিক আছে তো??