আসসালামু আলাইকুম , আপনাদের কাছ থেকে ফতোয়া পাওয়ার পর আমি সিনিয়রদের কাছ থেকে সাজেশন নেই,,তারা জানায় আমাকে কম করে হলেও ৩০টা নিউজ জমা দিতে হবে,,আর আমার কাছে কেবল আছে ৭টা,এখন আর সময়ও নেই,,ত আমি জানালাম কম নিউজ দিলে কি নাম্বার কম আসবে,,উনি জানালো আমার ফেইল আসবে,,আর সেখানে আমি যখন থেকে কাজ করতে ইচ্ছা পোষন করি এবং সুপারভাইজারের উপর একটু চাপ দেই যে আমার বিভিন্ন ডকুমেন্টস লাগবে,,তখন থেকে উনি আমার উপর বিরক্তি দেখায়,,এমন অনেক দিন হয়েছে কাজের কথা বললে বলতো বসে থাকো,,কাজ করা লাগবে না,,এটা বলে উনি বাইরে চা খেতে চলে যেত,,আমি অসুস্থতা নিয়েও যথেষ্ট চেষ্টা করেছি কাজ চালিয়ে যাওয়ার এবং গুছিয়ে নেয়ার,,কিন্তু তিনি কোন ডকুমেন্টস বের করে দিতে অবহেলা দেখায়,,,মন চাইলে দেয় নয়ত দেয় না,,,আমি ফেইল করলে তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করেই আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।
এই পড়াশোনার পরিবেশটা আমার জন্য ফিতনার পরিবেশ,যত বেশি থাকবো তত পড়াশোনার নামে আমাকে ফ্রি মিক্সিং এ মাস্ট জড়াতে হবে,,পরিবার এমনিতেই পর্দা পছন্দ করে না তার উপর ফেইল করলে বাড়ি থেকেই বোধহয় বের করে দিবে,,আর লাস্ট ইয়ারে ফেইল করলে এক বছর পিছিয়ে যেতে হবে,,অই এক বছর আমাকে আবার ছেলেদের সাথে এসাইনমেন্ট /প্রেজেন্টেশন এর কাজ করতে হবে,এতে হায়া নষ্ট হয়,হারাম হয়,।তাছাড়াও আমাকে আবার ঢাকার মতো জঘন্য জায়গায় ইন্টার্ন করতে আসতে হবে,,এই ফিতনা থেকে বাচার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছি,,এখন আবার যদি এই হারামের মধ্যে পড়ি তাহলে ত সর্বনাশ হয়ে যাবে,,,আমার এই সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে কি আমার সুপারভাইজার এর নিউজ নেয়া উচিত হবে?
ফেইল করলে যে কেবল পরিবার প্রেশার দিবে এমন না,,আমি আরও একবার কঠিন ফিতনার পরিবেশে পড়ে যাবো,,আর সাংবাদিকতা বিভাগ গুলো কেমন সেটা আপনারা উত্তম জানেন,,আমার জীবনটা তেজপাতা হয়ে গেছে এখানে,,অসুস্থতা আর পর্দার জন্য আমি আর পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারছি না,, আমাকে যথেষ্ট ঝক্কির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়,,অই কাজটা করতে আমার বিবেকে বাধতেছে,,সঠিক কোন শরীয়াহ সম্মতি ব্যতীত আমি একটা সিদ্ধান্ত পারছি না,,আশা করি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন ইনশাআল্লাহ