আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

গত ২১ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত স্রাব ময়লা কালার হয়েছিলো, তারপর অল্প সময়ের জন্য স্রাব সাদা দেখা গিয়েছিলো। এরপর হঠাৎ , ২৩ মার্চ থেকে স্রাব লাল হয়ে গিয়ে পিরিয়ড শুরু হয় কিন্তু পিরিয়ডে নরমাল ব্লাড যায়নি বরং স্রাবের সাথে মিশে ছোট ছোট দলার মতো গিয়েছিলো। এভাবে ৭দিন অর্থাৎ ২৯ মার্চ পর্যন্ত চলল । ২৯ মার্চ, আসর থেকে স্রাব সাদা ব্যথিত অন্য রঙের স্রাব দেখিনি । ২৯ মার্চ হায়েয থেকে পবিত্র হয়ে যাওয়ার পর, ৩০ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত (অর্থাৎ ১২ দিন) রোজা,সালাত কন্টিনিউ করেছি। ১১ এপ্রিল থেকে আবার হঠাৎ খয়েরি স্রাব যাওয়া শুরু করেছে এবং এখনো তা চলমান। যেহেতু, দুই হায়েজের মধ্যবর্তী সময় কমপক্ষে ১৫দিন হতে হয়, সেহেতু, এখনো ১৫দিন না হওয়ায় আমি সালাত,রোজা কন্টিনিউ করছি ।

★ যদি এভাবেই চলমান থাকে, তাহলে আমি কখন থেকে হায়েযের দিন গণনা শুরু করবো ?
★ এখন এ বিষয়ে মাসা'আলা কি?
★আমার সালাত,রোজা কি হচ্ছে?

( দয়া করে দ্রুত উত্তর দিবেন, নাহয় সালাত আদায় করবো কি করবো না - এ বিষয়ে অনেক কনফিউশান হচ্ছে)

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে গত ২১ শে মার্চ থেকে ২৯ শে মার্চ জোহর পর্যন্ত আপনার হায়েজ হিসেবে কাউন্ট হবে।
এর পর আসর থেকে আপনার পবিত্রতা শুরু হয়েছে।

সুতরাং ১১ এপ্রিল থেকে আপনার যে আবার খয়েরি স্রাব যাওয়া শুরু করেছে এবং যাহা এখনো তা চলমান।
এটি যেহেতু পবিত্রতা ১৫ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই এসেছে,তাই এটি ইস্তেহাজা। 
এসময়ে নামাজ রোযা চলমান রাখতে হবে। 

১৩ ই এপ্রিল আসরের ওয়াক্তে আপনার পবিত্রতার ১৫ দিন পূর্ণ হবে।
সেই হিসেবে ১৩ ই এপ্রিল আসরের পরেও এ ধরনের স্রাব চলমান থাকলে ১৩ ই এপ্রিল আসরের পর থেকে হিসাব করে তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হলে এটি হায়েজ বলে গন্য হবে।
সেই হিসেবে ১৩ ই এপ্রিল আসর থেকে নামাজ বন্ধ রাখতে হবে,১৪ ই এপ্রিল থেকে রোযা বন্ধ রাখতে হবে।

তিন দিন তিন রাতের কম হলে এটিও ইস্তেহাজা বলেই গন্য হবে।
সেক্ষেত্রে নামাজ রোযা চলমান রাখতে হবে। 

এটি তিনদিনের মধ্যে বন্ধ হবে না নাকি চলমান থাকবে,এটি স্রাব আসার সেই সময়ের অবস্থা থেকে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে নির্ণয় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...