আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
356 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
সৈয়দপুর থেকে রাজশাহী  ভ্রমনে আমি কি মুসাফির হয়ে যাবো? আর একজন মেয়ে হিসেবে আমাকে তো ট্রেনের মধ্যেই ইশারায় নামাজ পরতে হবে কিন্তু পশ্চিম দিক কোনটা কিভাবে  বুঝবো? যদি সাদা স্রাব আসে তাহলে ট্রেনে তো ভীর ঠেলে বার বার বাথরুম যাওয়া কষ্টকর সেক্ষেত্রে কিভাবে পবিত্র অবস্থায় তায়াম্মুম করবো?

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

সৈয়দপুর বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার একটি শহর। 
,
সুতরাং এখান থেকে রাজশাহী সফর করলে শরয়ী সফরের দুরত্ব (৭৮ কিলোমিটার) এর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। 
,
তাই এক্ষেত্রে আপনি মুসাফির হবেন,তাই এক্ষেত্রে আপনি কসরের নামাজ পড়বেন।
,
শরীয়তের বিধান হলো চলন্ত যানবাহনে নামাযের সময় হয়ে গেলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সুযোগ থাকলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ে নিবে। দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকলে বসে ইশারা করে নামায পড়ে নিবে। 

এই নামায পরে আর পরবর্তীতে পুনরায় পড়তে হবেনা।


★উল্লেখ্য যে যদি সেজদাহ করা সম্ভব হয়,তাহলে ইশারা করে নামাজ পড়া জায়েয হবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে বায়্যিনাত ২/৩২৪ 


কিবলামুখি হয়ে নামাজ পড়তে হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ     

قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤] 

নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}

যদি গাড়ি কিবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায় তবে নামাযে থাকা অবস্থায় কিবলামুখি ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ হয়, সেদিকে ফিরেই নামায শেষ করবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্বেও কিবলামুখি হয়ে নামায আদায় করতে না পারলে এই নামায পরে কাযা করতে হবে। কিবলামুখি ফিরে নামায আদায় করতে পারলে পরে তা আদায় করার কোন প্রয়োজন নেই।
,
★কেবলা মুখি হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। 

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে  
فى الفتاوى الهندية- ولو ترك تحويل وجهة الى القبلة وهو قادر عليه لا يجزيه (الفتاوى الهندية –كتاب الصلاة ،الباب الخمس العشر فى صلاة المسافر-1/144)

যার সারমর্ম হলো যদি কিবলার দিক হয়ে নামাজ পড়া সম্ভবপর হওয়া সত্ত্বেও কিবলার দিক না হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।
,
আরো জানুনঃ  
,
★ট্রেনে কেবলা কোন দিকে, এই বিষয়ে ট্রেনের কাহারো কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন, এই ব্যাপাতে   বিশেষজ্ঞ দের সহায়তা নিতে পারেন।

অথবা কম্পাসের মাধ্যমে  আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন।
,
★এটি যেহেতু হায়েজ নয়,তাই আপনি প্রতি নামাজের আগে বাথরুমে গিয়ে পবিত্রতা অর্জন করে এসে নামাজ আদায় করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...