জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
সৈয়দপুর বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার একটি শহর।
,
সুতরাং এখান থেকে রাজশাহী সফর করলে শরয়ী সফরের দুরত্ব (৭৮ কিলোমিটার) এর বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
,
তাই এক্ষেত্রে আপনি মুসাফির হবেন,তাই এক্ষেত্রে আপনি কসরের নামাজ পড়বেন।
,
শরীয়তের বিধান হলো চলন্ত যানবাহনে নামাযের সময় হয়ে গেলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সুযোগ থাকলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ে নিবে। দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকলে বসে ইশারা করে নামায পড়ে নিবে।
এই নামায পরে আর পরবর্তীতে পুনরায় পড়তে হবেনা।
★উল্লেখ্য যে যদি সেজদাহ করা সম্ভব হয়,তাহলে ইশারা করে নামাজ পড়া জায়েয হবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে বায়্যিনাত ২/৩২৪
কিবলামুখি হয়ে নামাজ পড়তে হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤]
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}
যদি গাড়ি কিবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায় তবে নামাযে থাকা অবস্থায় কিবলামুখি ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ হয়, সেদিকে ফিরেই নামায শেষ করবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্বেও কিবলামুখি হয়ে নামায আদায় করতে না পারলে এই নামায পরে কাযা করতে হবে। কিবলামুখি ফিরে নামায আদায় করতে পারলে পরে তা আদায় করার কোন প্রয়োজন নেই।
,
★কেবলা মুখি হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
فى الفتاوى الهندية- ولو ترك تحويل وجهة الى القبلة وهو قادر عليه لا يجزيه (الفتاوى الهندية –كتاب الصلاة ،الباب الخمس العشر فى صلاة المسافر-1/144)
যার সারমর্ম হলো যদি কিবলার দিক হয়ে নামাজ পড়া সম্ভবপর হওয়া সত্ত্বেও কিবলার দিক না হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।
,
আরো জানুনঃ
,
★ট্রেনে কেবলা কোন দিকে, এই বিষয়ে ট্রেনের কাহারো কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন, এই ব্যাপাতে বিশেষজ্ঞ দের সহায়তা নিতে পারেন।
অথবা কম্পাসের মাধ্যমে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন।
,
★এটি যেহেতু হায়েজ নয়,তাই আপনি প্রতি নামাজের আগে বাথরুমে গিয়ে পবিত্রতা অর্জন করে এসে নামাজ আদায় করবেন।