আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
427 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (74 points)
edited by
১।আগের প্রশ্নের ৪নাম্বার পয়েন্টের কিছু কথা লিখা বাকি আছে আমার স্ত্রী আমাদের বাচ্চা মারা যাওয়ার আগে  আমার পরকীয়া ধরা খাওয়ার আগে তার বিয়ের  আগের প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে আমি দেখি নাই। আমার স্ত্রীর আবার বাচ্চা হবে ইংশাআল্লাহ প্রায় ৮থেকে ৯ মাস কথা বলা দেখিনি কারণ যে ইমুতে কথা বলতো তা আমার কাছে আছে সেও জানে যে আমার কাছে আছে।আমি আমার বিয়ের আগের প্রেমিকার সাথে পরকিয়া করি এই কারনেই আমার বউ তার প্রেমিকের সঙ্গে পরকিয়া করে।আমার প্রেমিকা আত্মহত্যা করে সেটা আমার বউও জানে। এখন আমার ইংশাআল্লাহ ফিতনায় জরানোর সম্ভবনা নাই। আমার বউয়ের ব্যাপারে ধারনা যে করবে না। তার মা বাবাকে ও ভাইদের কে বলা হয়েছে  তারা এই ব্যাপারে করা শাসন করে। আমি বললে তার মা বাবা ও ভাই তাকে নজরে রাখবে কারন তাদের ফেমিলির একটা ভালো অবস্থান আছে।আমাদের বাড়িতে করার সম্ভবনা নাই  কারন পরকিয়ার কারনে একজন তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিছে। ঐ নারীর সঙ্গে আমার আপন ছোট ভাইয়ের পরকিয়া ছিলো।আমার ভাই ও করবেনা মনে হয় কারন পরকিয়ার কারনে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমার সাথে তার সম্পর্ক অনেক ভালো সে চাইবেনা সম্পর্ক খারাপ হোক বা পরিবারের সবার সাথে।সেও বিদেশ চলে যাবে।এখন আমি বিদেশে যেতে পারবো কিনা?

২।আমি যদি দেশে থাকি সহরে চাকরি করতে হবে কারন ব্যবসায় লস খাইছি এখন আর টাকা দিবেনা বিদেশ না গেলে ভিন্ন করে দিতে পারে জিনিস পত্রের যে দেশে চাকরি করে সংসার চালানো অনেক কষ্টকর। আর যদি চাকরি করি তাহলে বাহিরে থাকতে হবে সে সময় সে তার আগের প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে পারে।এখন আমি বিদেশে যেতে পারবো কিনা?

৩।আর যদি বাড়ির আসে পাশে থাকি তাহলেও সারাদিন বাহিরে কাজ করতে হবে সে সময় সে করতে পারে তাকে পাহারা দেওয়া আমার সম্ভব না।এখন আমি বিদেশে যেতে পারবো কিনা?

৪।আমাদের পরিবারের ও তাদের পরিবারের পরিবেশ ভালো সে অন্য কারো সাথে শারিরীক সম্পর্ক করা র সম্ভবনা কম। আগের প্রেমিক তাকে জোর করে বুকে হাত দিছে কাপরের উপর দিয়ে। সে কোরআন মাজীদ ধরে বলছে অন্য কিছু করে নাই। তার আগের প্রেমিক তার বিয়ের ব্যাপার গোপন রাখছিল এইজন্যই আমার বউ কথা বলছে। জানার পর আর কথা বলবেনা বলছে।
এখন আমি বিদেশে যেতে পারবো কিনা?

৫।যদি নাজায়েজ হয় বিদেশে যাওয়া তাহলে আল্লাহ পাক কে ও ইসলামকে সম্মান রেখে যদি যাই তাহলে ইমানে সমস্যা হবে কি বা মুনাফেকি হবে কি।

৬।জেনে বুঝে গুনাহ করলে কি তওবা আছে?
৭।কুফরি বা শিরকি কথা মনে মনে ভাবছিলাম মনে ছিলোনা শিরক বা কুফরি কাজ হতে পারে। পরে মনে হয় জে সিরক হতে পারে সাথে সাথে অন্য দিকে মন নিয়ে জাই তাহলে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে?
৮।আমার স্ত্রীর nid cardকরার আবেদন করার সময় তাকে জিজ্ঞেস করলে বলে তার রক্তের গ্রুপ o+ আবেদন করে জমা দেওয়ার অনেক পরে জানতে পারি ঠিক রক্তের গ্রুপ অন্ন আরেকটা। অনেকদিন হয়েছে কাজ হয় নাই গতকাল টাকা দিছি আর মেসেজ আসছে ছবি ও ফিংগার দেওয়ার জন্য। এখন আবেদনে রক্তের গ্রুপ বদলানো সম্ভব না। আবার নতুন করে আবেদন করতে আবার টাকা দিতে হতে পারে আবার ঈদের ছুটি চলে আসতে পারে। একটু জরুরি ছিলো আইডি কার্ডটা।কার্ড করার পরে আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ সংশোধন করে নিবো।এই কাজটা করা কি গুনাহ হবে।
★মহিলারা আইডি কার্ডের জন্য ছবি তুলতে পারবে।

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


যেকোনো ক্ষেত্রেই চার মাসের বেশি বিদেশ অবস্থান স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ।
এমনকি দেশেও যদি কেহ স্ত্রী হতে চার মাসের বেশি দূরে থাকে,সেক্ষেত্রেও এটি স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ।

স্বামী-স্ত্রী সর্বদা কাছাকাছি থাকবে, এটাই শরিয়তে কাম্য।
তবে যদি কোনো প্রয়োজনে (যেমন, জেহাদে যাওয়া কিংবা জীবিকা অর্জনের জন্য প্রবাসে যাওয়া) স্বামী দূরে কোথাও যায় তাহলে চার মাসের মধ্যে একবার হলেও স্ত্রীর কাছে ফিরে আসতে হবে।

কারণ নারীরা সাধারণত তাদের স্বামী থেকে চার মাস দূরে থাকতে পারে।
,
হাদিস শরিফে এসেছে,যায়দ বিন আলমাস (রহ.) বলেন,
‘এক রাতে হযরত উমর (রা.) জনগণের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য প্রহরী বেশে বের হয়ে গেলেন। এক বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তিনি ঘর থেকে নারী কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে পেলেন। ঘরের ভিতর এক মহিলা কবিতা আবৃত্তি করছিল। যার অর্থ হলো,রজনী দীর্ঘ হয়েছে এবং তার এক পার্শ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। এদিকে দীর্ঘদিন যাবত আমার প্রেমাস্পদ আমার কাছে নেই যে,তার সাথে আমি আমোদ-প্রমোদ করব। আল্লাহর শপথ! যদি এক আল্লাহর ভয় না থাকত তাহলে এ খাটের চার পাশ নড়ে উঠত।
যখন ভোর হলো হযরত উমর (রা.) রাতের কবিতা আবৃত্তিকারিণী মহিলাকে ডেকে আনার নির্দেশ দিলেন। মহিলা খলিফার দরবারে এসে উপস্থিত হলে হযরত উমর (রা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,তুমি কি গত রাতে এ-জাতীয় কবিতা আবৃত্তি করেছিলে? মহিলা বলল,হ্যাঁ।
উমর (রা.) বললেন কেন? উত্তরে মহিলা বলল,দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামী জিহাদের ময়দানে রয়েছে। অথচ এমুহূর্তে তার নৈকট্য পাওয়া আমার একান্ত কাম্য ছিল,তার বিরহেই আমি এমনটি করেছি৷ হযরত উমর (রা.) এ কথা শুনে তখনই ঐ মহিলার স্বামীর নিকট ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়ে শাহী ফরমান প্রেরণ করলেন। এরপর তিনি তার কন্যা হযরত হাফসা (রা.) এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,হে আমার মেয়ে! নারীরা তাদের স্বামী থেকে কতদিন পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে? (প্রজাদের স্বার্থ রক্ষার ইচ্ছা যদি না হত তবে আমি তোমার নিকট এরুপ প্রশ্ন করতাম না) তখন হাফসা (রা.) বললেন,মেয়েরা তাদের স্বামী থেকে চার মাস পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে। এরপর থেকে হযরত উমর (রা.) চার মাস পরপর মুজাহিদ বাহিনীকে ফেরত নিয়ে আসতেন এবং নতুন বাহিনী পাঠিয়ে দিতেন।’ [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১২৫৯৪]

পাপ থেকে হেফাযত এবং পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকার শর্তে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অল্প দিনের জন্য হলেও দূরে থাকা বৈধ নয়। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও আপনি বিদেশ যেতে চাইলে আপনার স্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হবে। 

(২.৩,৪)
তার যদি আবার পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার প্রবল শংকা হয়,সেক্ষেত্রে তাকে রেখে বিদেশে যাওয়া যাবেনা।
প্রয়োজনে তাকে নিয়ে যেতে পারেন।
অথবা তার থেকে পূর্ণ ওয়াদা নিন যে সে আর পরকয়া করবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রে বিদেশে গেলে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবেনা। মুনাফেকিও হবেনা।

এ জাতীয় কোনো তালাক হবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ, সেক্ষেত্রেও গুনাহ ছেড়ে দিয়ে খালেস দিলে তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

(০৭)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

(০৮)
এই কাজটি করা গুনাহ হবেনা।
মহিলারা আইডি কার্ডের জন্য ছবি তুলতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...