আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
#১

আমি চাচ্ছি লার্নিং গেম তৈরি করতে, যাতে গেম খেললেও সময় অপচয় না হয়ে সেই সময়টা পড়াশোনার পিছনে ব্যয় হয়। অর্থ্যাৎ বিনোদনও হবে সাথে জ্ঞানার্জনও হবে। জ্ঞানার্জনই মুল উদ্দেশ্য। এখন  এরকম গেম তৈরি করে গেম খেলার জন্য প্রত্যেকের থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নেয়া কি বৈধ হবে?

বিষয়টা এরকম: আমি একটি লাইব্রেরী তৈরি করলাম  এবং সেখানে সবার জন্য মাসে ৫০ টাকা ফি সিস্টেম রাখলাম। ৫০ টাকা ফি দিয়ে বা ১০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে সে লাইব্রেরী থেকে যেকোন বই পড়তে পারবে। যেহেতু লাইব্রেরী তৈরিতে এবং রক্ষণাবেক্ষনে আমার টাকা ব্যয় হবে, সেজন্য আমি সবার নিকট থেকে ফি সংগ্রহ করবো, এটা কি বৈধ হবে?

ঠিক  একই ভাবে আমি গেমের জন্যও ফি আদায় করবো। আর অবশ্যই গেম হারাম মুক্ত হবে, ইনশাআল্লাহ।

#২

আমার গেমস রেফার করার জন্য আমি রেফারকারীদের নির্দিষ্ট পার্সেন্ট আকারে লাভ  দিব। রেফারের রেফার থেকে কিছুই দিব না।
ঠিক এরকম:

উক্ত লাইব্রেরীতে মানুষ এনে দেয়ার জন্য আমি একজনকে ধরুন ১০% হারে লাভ  দিব। অর্থ্যাৎ যাকে আমার লাইব্রেরীতে আনা হয়েছে সে যতবার ৫০ টাকা ফি দিবে ততবার যে ঐ লোকটাকে এনে দিয়েছে ততবার তাকে ৫ টাকা করে লাভ দিব। কেননা আমি মনে করছি, যদি আমি রেফারকারীকে মাত্র ১ বার লাভ দেই তাহলে রেফারকারী তার প্রাপ্য ঠিক মতো পাবে না। যেহেতু সে আমার জন্য লোক এনে দিচ্ছে সেহেতু যাকে এনে দেয়া হয়েছে সে যতবার আমাকে ফি দিবে আমি ততবারই রেফারকারীকে ফি দিব।
এভাবে আমি গেমস রেফারের জন্য দিতে চাচ্ছি। এভাবে দেয়া কি বৈধ হবে?

যদি বৈধ না হয় তাহলে রেফারের বৈধ পদ্ধতি কি এবং আমি কতবার রেফারকারীকে পুরষ্কৃত করতে পারবো?

জাযাকাল্লাহু খয়রন........

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ) 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)
বিস্তারিত জানুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হারাম বিষয়কে পরিত্যাগ করে শিক্ষা মূলক গেম আপনি গেম তৈরী করতে পারবেন।

(২)
রেফারের বিষয়টি শুধুমাত্র 
প্রথমবারই জায়েয হতে পারে। পরবর্তীতে ইনভেষ্ট করলে আর বোনাস জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...