বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُنَا أَنْ نُخْرِجَ الصَّدَقَةَ مِنَ الَّذِي نُعِدُّ لِلْبَيْعِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ব্যবসায়ের জন্য তৈরি করা মালপত্রের যাকাত আদায়ের হুকুম দিতেন।
(আবূ দাঊদ ১৫৬২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৫৯৭।
শরীয়তের বিধান হলোঃ-
দোকান-পাটে যা কিছু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা থাকে তা বাণিজ্য-দ্রব্য। এর মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত আদায় করা ফরয।
ব্যবসার নিয়তে কোনো কিছু ক্রয় করলে তা স্থাবর সম্পত্তি হোক যেমন জমি-জমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর যেমন মুদী সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়ার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি, তা বাণিজ্য-দ্রব্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত দেওয়া ফরয হবে।
★ব্যবসায়ী কোনো পণ্য বাকিতে বিক্রয় করেছে এই পাওনা টাকা পৃথকভাবে বা অন্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে মিলিতভাবে নিসাব পূর্ণ করলে তারও যাকাত দিতে হবে।
পাওনা উসূল হওয়ার পর ওই টাকার যাকাত আদায় করা ফরয হয়। তার আগে আদায় করা জরুরি নয়, তবে আদায় করলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে।
উপরোক্ত ক্ষেত্রে পাওনা উসূল হতে যদি কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে উসুল হওয়ার পর বিগত সকল বছরের যাকাত আদায় করা ফরয হয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি এখনো লাভের অংশ পাননি।
এক্ষেত্রে এই পাওনা টাকা পৃথকভাবে বা আপনার অন্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে মিলিতভাবে নিসাব পূর্ণ হলে তারও যাকাত দিতে হবে।
তবে এই পাওনা টাকার যাকাত এখনই দিতে হবেনা,এটি উসুল হওয়ার পর যাকাত দিতে হবে।
ক্ষেত্রে পাওনা উসূল হতে যদি কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে উসুল হওয়ার পর বিগত সকল বছরের যাকাত আদায় করা ফরয।
সুতরাং এখন এই বছরের যাকাত আপনার স্টকে থাকা কাপড়ের উপর (যেটা ক্রেতার সাথে বিক্রির চুক্তি হয়েছে ) বিনিয়োগ টাকার যাকাত দিলেই আপাতত হবে।
তবে লাভের অংশ পাওয়ার পর সেই টাকারও শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দিয়ে হবে।
এটি অনেকটা পাওনা টাকার মাসয়ালার ন্যায়।