আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
১. উস্তায কোথাও কেটে গেলে কাটাস্থান থেকে রক্ত বের হওয়া বন্ধ হওয়ার পর হাত পানি দিয়ে ধৌয়ার পর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পরও কাটাস্থান থেকে পানির মত কিছু বের হয়, এই পানি কে কি নাপাক ধরবো? পানির মত একদম পাতলা না একটু অন্য রকম তরল পদার্থ। এটা কি নাপাক?


২. মহিলাদের ইস্তিহাঞ্জায় প্রস্রাবের মূল স্থান অবধি কি পানি প্রবেশ করিয়ে ধৌত করা জরুরি? শুধুমাত্র বাহ্যিক দিকটা পরিষ্কার করলে তো নাপাকি মূল স্থান থেকে গড়িয়ে বাইরে আসার সম্ভাবনা থেকে যায় তাই না? আমি একদম মূল স্থান অবধি আঙুলের সাহায্যে পানি প্রবেশ করিয়ে পরিষ্কার করি। এক্ষেত্রে কি সিয়াম নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ? একটা ফতোয়াতে দেখছিলাম ভেজা আঙ্গুল প্রবেশ করানো যাবে না। কিন্তু আঙ্গুল তো জরায়ুর ভিতরে কিংবা প্রস্রাবের স্থানে ভিতরে না বরং মূল স্থান অবধিই পৌঁছায়।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/6428/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো  রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ

শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ

আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)

ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا

যার সারমর্ম হলো  কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/১৩৪)

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই পানি যদি বের হয়ে গড়িয়ে পড়ে,সেক্ষেত্রে এটিকে নাপাক ধরবেন,অযু ভেঙ্গে গিয়েছে বলে ধরে নিবেন।

আর যদি এই পানি যদি বের হয়ে গড়িয়ে না পড়ে,সেক্ষেত্রে এটিকে নাপাক ধরতে হবেন,অযু ভেঙ্গে যাবেনা।

(০২)
মহিলাদের ইস্তিঞ্জায় প্রস্রাবের মূল স্থান অবধি পানি প্রবেশ করিয়ে ধৌত করা জরুরি নয়।

এক্ষেত্রে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলাই যথেষ্ট  
অথবা প্রস্রাবের মূল স্থানে পানি পৌছিয়ে ধোয়াই যথেষ্ট। 
ছিদ্রের ভিতরে পানি পৌছানো জরুরি নয়।

রোযা অবস্থায় ছিদ্রের অভ্যন্তরে পানি পৌছে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। 

সুতরাং আপনি মূল স্থান অবধি আঙুলের সাহায্যে পানি পৌছয়ে পরিষ্কার করতে পারবেন।
তবে কোনোভাবেই ছিদ্রের ভিতরে যেনো পানি না পৌছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...