জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .
আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।
(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)
একটি মূলনীতি হলো,
الأصل في كل حادث تقديره بأقرب زمن .
সারমর্মঃ
প্রত্যেক বের হওয়া বস্তুর ক্ষেত্রে যদি ওয়াক্ত নির্ণয় সম্ভব না হয়,তাহলে সেটি নিকটতম ওয়াক্তের সাথে সম্পৃক্ত হবে।
ومعنى القاعدة : أنه إذا حدث أمر ما ، وأمكن أن يكون وقته قريباً أو بعيداً ، وليس هناك ما يرجح أيا من الاحتمالين ؛ فوقته المعتبر هو أقرب الوقتين لحدوثه ؛ لأن هذا الوقت هو الذي تيقنا أنه حدث فيه ، والآخر مشكوك فيه .
এই কায়েদার অর্থ হলোঃ
যদি কোনো জিনিস বের হয়,এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে এর বের হওয়ার ওয়াক্ত নিকটেও হতে পারে,দূরেও হতে পারে,এবং সেখানে কোনো একটিকে প্রাধান্য দেয়ার মতো কোনো দলিল ইত্যাদি না পাওয়া যায়,তাহলে নিকটতম ওয়াক্তই উদ্দেশ্য হবে।
ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ
لو رأت المرأة الحيض ، ولم تعلم زمن نزوله ، هل كان قبل الغروب أو كان بعده ؟ ففي هذه الحال يحمل وقت نزول الدم على أقرب الوقتين ، وأقرب الوقتين في مسألتك : أن الدم نزل بعد الغروب .
সারমর্মঃ
কোনো মহিলা যদি হায়েজ দেখে,সেটি বের হওয়ার সময় না জানে,যে এটি কি সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এসেছে না কি তার আগে?
তাহলে নিকটতম ওয়াক্তের সাথে বিষয়টি সম্পৃক্ত হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হায়েজের শেষদিকে যদি দেখেন রাতের বেলা এখনো পবিত্রতা অর্জন হয়নি কিন্তু সকালে দেখেন যে আপনি পবিত্র হয়েছেন। তাহলে আপনার প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
আপন যদি প্রবল ধারনা হয় যে এটি সূর্য উদয়ের আগেই আগেই বন্ধ হয়েছে, তাহলে ফজরের কাজা আবশ্যক হবে।
আর যদি তার প্রবল ধারনা হয় যে এটি সূর্য উদয় হওয়ার পরে বন্ধ হয়েছে, তাহলে ফজর নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
আর যদি তার কোনো দিকেই প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে নিকটতম ওয়াক্ত ধরে সতর্কতামূলক ফজরের কাজা আদায় করবেন।
আরো জানুনঃ-